যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে গেল স্বামী

রংপুরের বদরগঞ্জে দু’লাখ টাকা যৌতুক আনতে অস্বীকার করায় স্ত্রী মীনা বেগমকে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে গেছেন স্বামী আশিকুর রহমান। গত শনিবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুরাতন জমিদারবাড়ী সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার লোকজন ওই নারীকে অচেতন অবস্থান পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করেন। পরে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ গুরুতর অবস্থায় মীনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মীনা বেগম স্বামী আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- প্রায় চার বছর আগে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হোসেন আলীর মেয়ে মীনা বেগমের বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার কান্দুড়ার ছেলে আশিকুর রহমানের। বিয়ের পর মীনা বেগম স্বামীর বাড়িতে এসে জানতে পারেন আশিকুর রহমান এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছেন এবং সেসব স্ত্রীর সন্তান রয়েছে। এসব জেনেও তিনি স্বামীর ঘর-সংসার করতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি এক মেয়ে সন্তানেরও জন্ম দেন। কিন্তু সন্তান জন্ম নেবার পর আশিকুর রহমান দু’লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে বসেন মীনার পরিবারের কাছে।

তবে মীনা পারিবারিক অক্ষমতার কথা চিন্তা করে সেই টাকা আনতে অস্বীকার করলে প্রতিনিয়ত তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এরপরও তিনি স্বামীর সংসারে পড়ে থাকায় আশিকুর রহমান আবারও অন্যত্র বিয়ে করেন এবং নানাভাবে নির্যাতন করে মীনাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ফলে তিনি সন্তানসহ বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে প্রায় বছর খানেক কাটানোর পর ৯ জানুয়ারি আশিকুর রহমান স্ত্রী মীনাকে ফোন করে কৌশলে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে আশিকুর রহমান স্ত্রী মীনার কাছে আবারো দু’লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে গেল স্বামী

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জে দু’লাখ টাকা যৌতুক আনতে অস্বীকার করায় স্ত্রী মীনা বেগমকে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে গেছেন স্বামী আশিকুর রহমান। গত শনিবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুরাতন জমিদারবাড়ী সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এলাকার লোকজন ওই নারীকে অচেতন অবস্থান পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করেন। পরে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ গুরুতর অবস্থায় মীনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মীনা বেগম স্বামী আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- প্রায় চার বছর আগে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হোসেন আলীর মেয়ে মীনা বেগমের বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার কান্দুড়ার ছেলে আশিকুর রহমানের। বিয়ের পর মীনা বেগম স্বামীর বাড়িতে এসে জানতে পারেন আশিকুর রহমান এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছেন এবং সেসব স্ত্রীর সন্তান রয়েছে। এসব জেনেও তিনি স্বামীর ঘর-সংসার করতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি এক মেয়ে সন্তানেরও জন্ম দেন। কিন্তু সন্তান জন্ম নেবার পর আশিকুর রহমান দু’লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে বসেন মীনার পরিবারের কাছে।

তবে মীনা পারিবারিক অক্ষমতার কথা চিন্তা করে সেই টাকা আনতে অস্বীকার করলে প্রতিনিয়ত তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এরপরও তিনি স্বামীর সংসারে পড়ে থাকায় আশিকুর রহমান আবারও অন্যত্র বিয়ে করেন এবং নানাভাবে নির্যাতন করে মীনাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ফলে তিনি সন্তানসহ বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে প্রায় বছর খানেক কাটানোর পর ৯ জানুয়ারি আশিকুর রহমান স্ত্রী মীনাকে ফোন করে কৌশলে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে আশিকুর রহমান স্ত্রী মীনার কাছে আবারো দু’লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।