সিরিয়ায় আইএস-কুর্দি তীব্র সংঘাত, নিহত ৯০

সিরিয়ায় আইএস গোষ্ঠী এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো লড়াই চলছিল। এর মধ্যে আইএস একটি কারাগারে হামলা চালায়। এতে প্রায় ৯০ জন লোক মারা যায়। প্রায় তিন বছর আগে সিরিয়ায় খিলাফত হারানোর পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর হাসাকেহের ঘোয়ারান কারাগারে চালানো এই হামলা দায়েশের সবচেয়ে বড়। গালফ টুডে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, সহিংসতায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ২৮ জন সদস্য, পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক এবং আইএসের ৫৬ সদস্য নিহত হয়েছেন।

অবজারভেটরি জানিয়েছে, আইএস বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কারাগারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছে। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অন্তত ৩ হাজার ৫০০ সন্দেহভাজন সদস্য রয়েছেন। যাদের মধ্যে আবার কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।

ব্রিটেনভিত্তিক মনিটর বলেছে, হামলার পর আইএস সেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং শত শত সহকর্মী যোদ্ধাকে মুক্ত করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অভ্যন্তরের একটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে। তবে কয়েক ডজন এখনও পলাতক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান সহায়তায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনী কারাগারটিকে ঘিরে ফেলেছে এবং আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে লড়াই করছে। কুর্দি-অধ্যুষিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) বলেছে, ঘোয়ারানের উত্তরে প্রতিবেশী এলাকায় ‘ভীষণ সংঘর্ষ’ শুরু হয়েছে। সেখানে তারা অভিযান চালিয়ে ২০ জনেরও বেশি আইএস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, কুর্দি যোদ্ধারা জেলের কাছে আইএস যোদ্ধাদের খোঁজে বাড়িতে অভিযান চালাতে দেখা গেছে। এসময় কুর্দি জোটের হেলিকপ্টারগুলো মাথার ওপর দিয়ে উড়ছিল। এক জায়গায় কুর্দি যোদ্ধারা সন্দেহভাজন আইএস যোদ্ধাদের পাঁচটি রক্তাক্ত মৃতদেহ রাস্তার ধারে জড়ো করেছে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

সিরিয়ায় আইএস-কুর্দি তীব্র সংঘাত, নিহত ৯০

সিরিয়ায় আইএস গোষ্ঠী এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো লড়াই চলছিল। এর মধ্যে আইএস একটি কারাগারে হামলা চালায়। এতে প্রায় ৯০ জন লোক মারা যায়। প্রায় তিন বছর আগে সিরিয়ায় খিলাফত হারানোর পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর হাসাকেহের ঘোয়ারান কারাগারে চালানো এই হামলা দায়েশের সবচেয়ে বড়। গালফ টুডে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, সহিংসতায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ২৮ জন সদস্য, পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক এবং আইএসের ৫৬ সদস্য নিহত হয়েছেন।

অবজারভেটরি জানিয়েছে, আইএস বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কারাগারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছে। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অন্তত ৩ হাজার ৫০০ সন্দেহভাজন সদস্য রয়েছেন। যাদের মধ্যে আবার কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।

ব্রিটেনভিত্তিক মনিটর বলেছে, হামলার পর আইএস সেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং শত শত সহকর্মী যোদ্ধাকে মুক্ত করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অভ্যন্তরের একটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে। তবে কয়েক ডজন এখনও পলাতক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান সহায়তায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনী কারাগারটিকে ঘিরে ফেলেছে এবং আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে লড়াই করছে। কুর্দি-অধ্যুষিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) বলেছে, ঘোয়ারানের উত্তরে প্রতিবেশী এলাকায় ‘ভীষণ সংঘর্ষ’ শুরু হয়েছে। সেখানে তারা অভিযান চালিয়ে ২০ জনেরও বেশি আইএস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, কুর্দি যোদ্ধারা জেলের কাছে আইএস যোদ্ধাদের খোঁজে বাড়িতে অভিযান চালাতে দেখা গেছে। এসময় কুর্দি জোটের হেলিকপ্টারগুলো মাথার ওপর দিয়ে উড়ছিল। এক জায়গায় কুর্দি যোদ্ধারা সন্দেহভাজন আইএস যোদ্ধাদের পাঁচটি রক্তাক্ত মৃতদেহ রাস্তার ধারে জড়ো করেছে।