গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফের বিতর্ক, উত্তরপ্রদেশে শুরু পালাবদলের রাজনীতি

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ৪০ আসনের গোয়া রাজ্যে জোটের প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরোধ। তবে এই বিবাবদকে আর তেমন গুরুত্ব দিতে চান না গোয়ায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম ।

সম্প্রতি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে জোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জোটের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে মেসেজ করেছিলেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রহী নন রাহুল গান্ধী।

গত বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি কংগ্রেস বিজেপির থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে না পারে, তবে গোয়ায় কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা পি চিদাম্বরমের উচিত ইস্তফা দেয়া’। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন ভর্মা ‘আমি ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ দিল্লিতে পি চিদাম্বরমের বাড়ি গিয়েছিলাম এবং ওনার সঙ্গে দেখা করি। আমি গোয়া নিয়েই সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম।’ তৃণমূলের এই আক্রমণের পাল্টা জবাবেই গত শনিবার কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, তৃণমূল এমন এক জোটসঙ্গী যাকে ভরসা করা যায় না।’

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। এই তিনদিনেই গোয়ায় দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে চন্দ্রশেখর ও যোগীর মধ্যে দেখার মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেতে পারে। ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যোগীর বিরুদ্ধে জোট ছাড়াই নির্বাচনে লড়বেন চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, আমরা যোগী রাজ্য পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছি।

১৫ জানুয়ারি চন্দ্রশেখর বলেন, ইউপিতে বিজেপিকে আমারা এবার ক্ষমতায় আসতে দেবো না। সেজন্য তিনি একমাস ধরে অখিলেশের সঙ্গে একটানা কথা বলেছেন। অখিলেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি দলিতদের সঙ্গে জোট করবেন না। অখিলেশ তাকে অপমান করেছে। তিনি অখিলেশের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত নেয়ার যে তারা জোটে যোগ দেবেন কি-না, কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত উত্তর দেননি। আজাদ বলেছিলেন যে অখিলেশের দলিতদের দরকার নেই। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা এখন এসপির সঙ্গে জোট করবেন না এবং তারা নিজেরাই নির্বাচনে লড়বেন।

ওদিকে কংগ্রেস বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মায়াবতী বলেছেন, কংগ্রেস কেবল অ-বিজেপি ভোটগুলোকে বিভক্ত করবে এবং জনগণকে বিএসপিকে ভোট দেয়ার জন্য আবেদন জানাবে। মায়াবতী টুইট করে বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থা এতটাই খারাপ তাই কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে একতরফাভাবে আপনারা বিএসপিকে ভোট দিন।’

উল্লেখ্য, বিএসপি প্রধান মায়াবতী এ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও দলের হয়ে তিনি প্রচারে সক্রিয় থাকবেন বলে মনে করেছিলেন প্রায় সব রাজনৈতিক বিশ্লেষকই। নির্বাচনী প্রচারে ময়দানে নামতে সেই অর্থে তাকে দেখা যাচ্ছে না।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ১৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির তরফে প্রার্থী হতে পারেন অপর্ণা। ফলে, অমিত শাহ’র সঙ্গে তার সাক্ষাৎ নিতান্ত ‘সৌজন্য’ নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যদিও এ নিয়ে বিজেপির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ভারতের বিধানসভা নির্বাচন

গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফের বিতর্ক, উত্তরপ্রদেশে শুরু পালাবদলের রাজনীতি

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ৪০ আসনের গোয়া রাজ্যে জোটের প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরোধ। তবে এই বিবাবদকে আর তেমন গুরুত্ব দিতে চান না গোয়ায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম ।

সম্প্রতি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে জোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জোটের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে মেসেজ করেছিলেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রহী নন রাহুল গান্ধী।

গত বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি কংগ্রেস বিজেপির থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে না পারে, তবে গোয়ায় কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা পি চিদাম্বরমের উচিত ইস্তফা দেয়া’। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন ভর্মা ‘আমি ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ দিল্লিতে পি চিদাম্বরমের বাড়ি গিয়েছিলাম এবং ওনার সঙ্গে দেখা করি। আমি গোয়া নিয়েই সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম।’ তৃণমূলের এই আক্রমণের পাল্টা জবাবেই গত শনিবার কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, তৃণমূল এমন এক জোটসঙ্গী যাকে ভরসা করা যায় না।’

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। এই তিনদিনেই গোয়ায় দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচনে চন্দ্রশেখর ও যোগীর মধ্যে দেখার মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেতে পারে। ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যোগীর বিরুদ্ধে জোট ছাড়াই নির্বাচনে লড়বেন চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, আমরা যোগী রাজ্য পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছি।

১৫ জানুয়ারি চন্দ্রশেখর বলেন, ইউপিতে বিজেপিকে আমারা এবার ক্ষমতায় আসতে দেবো না। সেজন্য তিনি একমাস ধরে অখিলেশের সঙ্গে একটানা কথা বলেছেন। অখিলেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি দলিতদের সঙ্গে জোট করবেন না। অখিলেশ তাকে অপমান করেছে। তিনি অখিলেশের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত নেয়ার যে তারা জোটে যোগ দেবেন কি-না, কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত উত্তর দেননি। আজাদ বলেছিলেন যে অখিলেশের দলিতদের দরকার নেই। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা এখন এসপির সঙ্গে জোট করবেন না এবং তারা নিজেরাই নির্বাচনে লড়বেন।

ওদিকে কংগ্রেস বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মায়াবতী বলেছেন, কংগ্রেস কেবল অ-বিজেপি ভোটগুলোকে বিভক্ত করবে এবং জনগণকে বিএসপিকে ভোট দেয়ার জন্য আবেদন জানাবে। মায়াবতী টুইট করে বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থা এতটাই খারাপ তাই কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে একতরফাভাবে আপনারা বিএসপিকে ভোট দিন।’

উল্লেখ্য, বিএসপি প্রধান মায়াবতী এ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও দলের হয়ে তিনি প্রচারে সক্রিয় থাকবেন বলে মনে করেছিলেন প্রায় সব রাজনৈতিক বিশ্লেষকই। নির্বাচনী প্রচারে ময়দানে নামতে সেই অর্থে তাকে দেখা যাচ্ছে না।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ১৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির তরফে প্রার্থী হতে পারেন অপর্ণা। ফলে, অমিত শাহ’র সঙ্গে তার সাক্ষাৎ নিতান্ত ‘সৌজন্য’ নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যদিও এ নিয়ে বিজেপির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।