বসিলায় লাউতলা খালের দুই পাড়ের ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলায় লাউতলা খালের দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময় দুই তলা একটি পাকা ভবনসহ ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল সকালে ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান চলাকলে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে। খালটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যা থাকার কথা বাস্তবে তার কিছুই নেই, অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্বই বিলীন করে দেয়া হয়েছে। তাই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট খালটিকে উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’

অভিযানে দুই তলা একটি ভবনের সম্পূর্ণ, ৩টি ভবনের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়াও একটি কাঁচাবাজারের অবকাঠামো এবং টিনের ছাপড়ায় নির্মিত ৪০টিরও অধিক টং দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নগরীকে জলজট এবং জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে যেকোন মূল্যে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে।’ প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

অভিযান চলাকালে ডিএনসিসি মেয়র বসিলাতেই তার ভ্রাম্যমাণ অফিসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় অন্য দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে খালগুলো হস্তান্তরের আগে দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই খালগুলো দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত অবস্থায় উপনীত হয়েছে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বসিলায় লাউতলা খালের দুই পাড়ের ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলায় লাউতলা খালের দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময় দুই তলা একটি পাকা ভবনসহ ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল সকালে ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান চলাকলে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে। খালটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যা থাকার কথা বাস্তবে তার কিছুই নেই, অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্বই বিলীন করে দেয়া হয়েছে। তাই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট খালটিকে উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’

অভিযানে দুই তলা একটি ভবনের সম্পূর্ণ, ৩টি ভবনের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়াও একটি কাঁচাবাজারের অবকাঠামো এবং টিনের ছাপড়ায় নির্মিত ৪০টিরও অধিক টং দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নগরীকে জলজট এবং জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে যেকোন মূল্যে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে।’ প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

অভিযান চলাকালে ডিএনসিসি মেয়র বসিলাতেই তার ভ্রাম্যমাণ অফিসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় অন্য দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে খালগুলো হস্তান্তরের আগে দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই খালগুলো দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত অবস্থায় উপনীত হয়েছে।