গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির হতে হবে না খালেদাকে

চার্জ শুনানি ১৩ মার্চ

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে না। গতকাল ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত স্পেশাল জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আলী হোসেন আসামিপক্ষের আবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেসবাহ আদালতে সশরীরে উপস্থিতি মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনপত্রে বলা হয়, সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারের বাইরে আছেন। তিনি অসুস্থ এবং চলাফেরা করার অবস্থায় নেই।

এসময় জয়নাল আবেদিন মেসবাহ এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির পিছিয়ে দেয়ার আবেদন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিপক্ষের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আগামী ১৩ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

এ নিয়ে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৩৭ বার মুলতবি করা হলো। এদিন শুনানিকালে জামিনে মুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপির ৪ নেতা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেন। ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার পর মামলায় বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির হতে হবে না খালেদাকে

চার্জ শুনানি ১৩ মার্চ

আদালত বার্তা পরিবেশক

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে না। গতকাল ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত স্পেশাল জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আলী হোসেন আসামিপক্ষের আবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেসবাহ আদালতে সশরীরে উপস্থিতি মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনপত্রে বলা হয়, সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারের বাইরে আছেন। তিনি অসুস্থ এবং চলাফেরা করার অবস্থায় নেই।

এসময় জয়নাল আবেদিন মেসবাহ এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির পিছিয়ে দেয়ার আবেদন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিপক্ষের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আগামী ১৩ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

এ নিয়ে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৩৭ বার মুলতবি করা হলো। এদিন শুনানিকালে জামিনে মুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপির ৪ নেতা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেন। ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার পর মামলায় বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ।