অর্ধেক জনবলে চলবে অফিস, প্রজ্ঞাপন জারি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ২৪ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে অফিস। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাইফুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

আদালতের বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। এছাড়াও ব্যাংক-বীমা, ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

এর আগে গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাবিরুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে পাঁচটি নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়।

সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বা অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগ দেবেন, তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং শিল্প কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনসহ সাধারণ লোকসমাগমের স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এর আগে ১০ জানুয়ারি সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে ১১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর জন্য সরকার নতুন করে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ২১ জানুয়ারি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না।

১১ দফা দেয়ার পরেও সাধারণ মানুষ তা মানছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার বিধিনিষেধ দিলেও মানুষ সেভাবে মানছে না। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলেই সংক্রমণ বাড়ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণেই ফের স্কুল বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মেলা, পর্যটনকেন্দ্র, বিপিএল খেলাসহ সবকিছু চালু রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেখানেই যাক টিকার সনদ দেখাতে হবে। এর বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

অর্ধেক জনবলে চলবে অফিস, প্রজ্ঞাপন জারি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ২৪ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে অফিস। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাইফুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।

আদালতের বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। এছাড়াও ব্যাংক-বীমা, ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

এর আগে গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাবিরুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে পাঁচটি নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়।

সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বা অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগ দেবেন, তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং শিল্প কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনসহ সাধারণ লোকসমাগমের স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এর আগে ১০ জানুয়ারি সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে ১১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর জন্য সরকার নতুন করে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ২১ জানুয়ারি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না।

১১ দফা দেয়ার পরেও সাধারণ মানুষ তা মানছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার বিধিনিষেধ দিলেও মানুষ সেভাবে মানছে না। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলেই সংক্রমণ বাড়ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণেই ফের স্কুল বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মেলা, পর্যটনকেন্দ্র, বিপিএল খেলাসহ সবকিছু চালু রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেখানেই যাক টিকার সনদ দেখাতে হবে। এর বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়।