প্রশ্নফাঁস চক্রের শেকড় অনুসন্ধান করতে হবে

দেশে এক সময় পরীক্ষা আর প্রশ্নফাঁস সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভর্তি পরীক্ষা, পাবলিক পরীক্ষা, নিয়োগ পরীক্ষাÑ এমন কোন পরীক্ষা ছিল না যেখানে প্রশ্নফাঁস হতো না। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়েছে। তবে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায়ই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটছে।

প্রতিরক্ষা মহা-হিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ‘অডিটর’ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশ গত শুক্রবার রাজধানী থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের (সিজিএ) বরখাস্তকৃত এক কর্মকর্তা ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।

প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে এর আগে শিক্ষক, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জড়িত থাকতে দেখা গেছে। এখন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। চক্রটি কি কেবল জনা-দশের সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাকি এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছেÑ সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

বিভিন্ন চক্র তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নানান কৌশলে প্রশ্নফাঁস করছে। অনেক ক্ষেত্রে উত্তরও সরবরাহ করছে। তাদের সহায়তায় অসাধু ও অযোগ্যরা নিয়োগ পরীক্ষার বৈতরণী পার হচ্ছে। আর কপাল পুড়ছে মেধাবীদের। প্রশ্নফাঁসের অনেক ঘটনাই থেকে যায় অজানা। ঘটনা প্রকাশ পেলে, এর জের ধরে পরীক্ষা বাতিল হলে লাখো পরীক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। আশার কথা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ শতাধিক ব্যক্তির বিচার শুরু হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশে এ ধরনের যত চক্র আছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এসব চক্রের পেছনে আর কোনো শক্তি আছে কিনাÑ সেটাও জানতে হবে। পাশাপাশি যারা অসাধু উপায়ে পরীক্ষায় পাস করতে চায় তাদেরও বিচার করতে হবে। যে কোন মূল্যে পরীক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

প্রশ্নফাঁস চক্রের শেকড় অনুসন্ধান করতে হবে

দেশে এক সময় পরীক্ষা আর প্রশ্নফাঁস সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভর্তি পরীক্ষা, পাবলিক পরীক্ষা, নিয়োগ পরীক্ষাÑ এমন কোন পরীক্ষা ছিল না যেখানে প্রশ্নফাঁস হতো না। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়েছে। তবে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায়ই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটছে।

প্রতিরক্ষা মহা-হিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ‘অডিটর’ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশ গত শুক্রবার রাজধানী থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের (সিজিএ) বরখাস্তকৃত এক কর্মকর্তা ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।

প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে এর আগে শিক্ষক, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জড়িত থাকতে দেখা গেছে। এখন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল। চক্রটি কি কেবল জনা-দশের সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাকি এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছেÑ সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

বিভিন্ন চক্র তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নানান কৌশলে প্রশ্নফাঁস করছে। অনেক ক্ষেত্রে উত্তরও সরবরাহ করছে। তাদের সহায়তায় অসাধু ও অযোগ্যরা নিয়োগ পরীক্ষার বৈতরণী পার হচ্ছে। আর কপাল পুড়ছে মেধাবীদের। প্রশ্নফাঁসের অনেক ঘটনাই থেকে যায় অজানা। ঘটনা প্রকাশ পেলে, এর জের ধরে পরীক্ষা বাতিল হলে লাখো পরীক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। আশার কথা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ শতাধিক ব্যক্তির বিচার শুরু হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশে এ ধরনের যত চক্র আছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এসব চক্রের পেছনে আর কোনো শক্তি আছে কিনাÑ সেটাও জানতে হবে। পাশাপাশি যারা অসাধু উপায়ে পরীক্ষায় পাস করতে চায় তাদেরও বিচার করতে হবে। যে কোন মূল্যে পরীক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।