বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন কী

বাঘ রক্ষার লক্ষ্যে বাঘসমৃদ্ধ ১৩টি দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক চতুর্থ এশিয়া মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে বাঘ রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছেÑ এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কী করছে। পরিবেশমন্ত্রী বলছেন, বন্য বাঘ সংরক্ষণের দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু আইন ও পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন; কিন্তু দেশে বাঘের সংখ্যা কত হওয়া উচিত ছিল আর কতটি আছে সে বিষয়ে কিছু তার বক্তব্য থেকে জানা যায়নি।

প্রথম বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে। সেই সম্মেলনে বলা হয়েছিলÑ ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। ২০১০ সালে করা এক যৌথ জরিপ অনুযায়ী, তখন বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। প্রথম বাঘ সম্মেলনের পর দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে কমেছে; কিন্তু ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভারতে বাঘের সংখ্যা ঠিকই বেড়েছে।

সরকারের হিসাব অনুযায়ীÑ সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের আয়তন বেড়েছে। ২০১৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। বনের আয়তন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়া সত্ত্বেও বাঘের সংখ্যা কাক্সিক্ষত হারে বাড়েনি কেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

কেবল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিলে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার কাজে বন বিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। করতে হবে অর্থায়ন। বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন কী

বাঘ রক্ষার লক্ষ্যে বাঘসমৃদ্ধ ১৩টি দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বাঘ সংরক্ষণবিষয়ক চতুর্থ এশিয়া মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে বাঘ রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছেÑ এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কী করছে। পরিবেশমন্ত্রী বলছেন, বন্য বাঘ সংরক্ষণের দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি এ সংক্রান্ত কিছু আইন ও পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেছেন; কিন্তু দেশে বাঘের সংখ্যা কত হওয়া উচিত ছিল আর কতটি আছে সে বিষয়ে কিছু তার বক্তব্য থেকে জানা যায়নি।

প্রথম বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে। সেই সম্মেলনে বলা হয়েছিলÑ ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। ২০১০ সালে করা এক যৌথ জরিপ অনুযায়ী, তখন বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। প্রথম বাঘ সম্মেলনের পর দেশে বাঘের সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে কমেছে; কিন্তু ভুটান, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভারতে বাঘের সংখ্যা ঠিকই বেড়েছে।

সরকারের হিসাব অনুযায়ীÑ সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের আয়তন বেড়েছে। ২০১৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। বনের আয়তন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়া সত্ত্বেও বাঘের সংখ্যা কাক্সিক্ষত হারে বাড়েনি কেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

কেবল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিলে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার কাজে বন বিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। করতে হবে অর্থায়ন। বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে।