সেশনজট নয়, জীবনজটে বন্দী শিক্ষার্থীরা

বিশ্ব চিরাচরিত যে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত ছিল এবং অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবী বিগত দশকগুলোতে যে অগ্রগতির ধারায় এগোচ্ছিল, কোভিড-১৯-এর কারণে ব্যাপকভাবে তার নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে; যা ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক সেশনজট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো। কিন্তু ইতিহাসে কখনও এত বড় শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি আর হয়নি।

গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৬০টিরও বেশি দেশের স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বর্তমানে ২০২২ সালে আবারও শুরু হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের রীতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মোট শিক্ষার্থীর ৯৪ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ৯৯ ভাগই নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যআয়ের দেশের শিক্ষার্থী।

বিশেষ করে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিক্ষার্থীরা আজ বেশি ক্ষতির মুখে পড়লো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে সেশনজট মুক্ত ছিলো বলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের চাকরি টার্গেট রেখে উচ্চতর পড়াশোনা জগতে আসলো। কিন্তু এখন তো সেশনজটকে বাদ দিয়ে জীবনজটে আঁটকে গেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

আজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে পড়াশোনাকে বিদায় জানিয়ে প্রবাস জীবনকে স্বাগত জানাচ্ছে। কারণ আর কত পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার অনিশ্চিত স্বপ্ন দেখাবে। কিন্তু তারপরও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতে কোনো বিকল্প পথ আসতেছে না। অন্তত শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রেখে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষিত বেকার দূর হবে না। তাই অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম

শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২ , ১০ মাঘ ১৪২৮ ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

সেশনজট নয়, জীবনজটে বন্দী শিক্ষার্থীরা

বিশ্ব চিরাচরিত যে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত ছিল এবং অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবী বিগত দশকগুলোতে যে অগ্রগতির ধারায় এগোচ্ছিল, কোভিড-১৯-এর কারণে ব্যাপকভাবে তার নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে; যা ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক সেশনজট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো। কিন্তু ইতিহাসে কখনও এত বড় শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্ষতি আর হয়নি।

গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৬০টিরও বেশি দেশের স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বর্তমানে ২০২২ সালে আবারও শুরু হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের রীতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মোট শিক্ষার্থীর ৯৪ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ৯৯ ভাগই নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যআয়ের দেশের শিক্ষার্থী।

বিশেষ করে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শিক্ষার্থীরা আজ বেশি ক্ষতির মুখে পড়লো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অতীতে সেশনজট মুক্ত ছিলো বলে অনেক শিক্ষার্থী তাদের চাকরি টার্গেট রেখে উচ্চতর পড়াশোনা জগতে আসলো। কিন্তু এখন তো সেশনজটকে বাদ দিয়ে জীবনজটে আঁটকে গেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

আজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে পড়াশোনাকে বিদায় জানিয়ে প্রবাস জীবনকে স্বাগত জানাচ্ছে। কারণ আর কত পড়াশোনা শেষে চাকরি পাওয়ার অনিশ্চিত স্বপ্ন দেখাবে। কিন্তু তারপরও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতে কোনো বিকল্প পথ আসতেছে না। অন্তত শ্রেণী পাঠদান বন্ধ রেখে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষিত বেকার দূর হবে না। তাই অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের রক্ষা করুন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম

শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ