‘স্কুলে শতভাগ ভর্তি এখনও পূরণ হয়নি’

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নসহ সামগ্রিক হালচাল নিয়ে কিশোরগঞ্জে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) পর্যালোচনা সভা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ডিপিএফ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক ছাড়াও আলোচনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন ডিপিএফ সম্পাদক মীর আশরাফ আলী।

সভায় বলা হয়, সরকার শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করলেও এখনও তা পূরণ হচ্ছে না। কারণ অনেক হতদরিদ্র পরিবারের শিশুকে পরিবারের জন্য শিশুশ্রম বিক্রি করতে হচ্ছে।

কেবল বিদ্যালয়ে দেড় শ’ টাকা উপবৃত্তি দিয়ে তাদের ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সন্তোষজনক আর্থিক সহায়তা দিলে হয়ত তাদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা সম্ভব হবে। তবে বক্তাগণ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা আগের পর্যায়ে নেই। এখন শিক্ষা কার্যক্রমে সৃজনশীলতা এসেছে। ক্লাসে আনন্দের পরিবেশ বেড়েছে। শ্রেণী কক্ষগুলো শিক্ষণীয় বাণী ও চিত্রকলা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

জ্ঞান জগতের পরিধি বাড়ছে। প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে, উন্নত হচ্ছে। এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। তবে শিক্ষকদের সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও প্রশিক্ষণ দরকার। প্রাইমারি শিক্ষকরা নিজ বাড়িতে থেকে শিক্ষকতা করতে পারছেন। এতে তাদের অনেক পারিবারিক ও আর্থিক সুবিধা হচ্ছে। তাদের গ্রেডও উন্নত করা হয়েছে। ফলে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হতে হবে।

নিজের কাজের নিজেই তদারকি করে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে বলে সভায় তাগিদ দেয়া হয়। এখন সরকার শিক্ষা উন্নয়নে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানসহ একটি স্তর পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। কোচিং বন্ধ করতে হলে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে বলেও বক্তাগণ মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২ , ১৪ মাঘ ১৪২৮, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

‘স্কুলে শতভাগ ভর্তি এখনও পূরণ হয়নি’

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নসহ সামগ্রিক হালচাল নিয়ে কিশোরগঞ্জে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) পর্যালোচনা সভা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ডিপিএফ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক ছাড়াও আলোচনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন ডিপিএফ সম্পাদক মীর আশরাফ আলী।

সভায় বলা হয়, সরকার শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করলেও এখনও তা পূরণ হচ্ছে না। কারণ অনেক হতদরিদ্র পরিবারের শিশুকে পরিবারের জন্য শিশুশ্রম বিক্রি করতে হচ্ছে।

কেবল বিদ্যালয়ে দেড় শ’ টাকা উপবৃত্তি দিয়ে তাদের ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সন্তোষজনক আর্থিক সহায়তা দিলে হয়ত তাদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা সম্ভব হবে। তবে বক্তাগণ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা আগের পর্যায়ে নেই। এখন শিক্ষা কার্যক্রমে সৃজনশীলতা এসেছে। ক্লাসে আনন্দের পরিবেশ বেড়েছে। শ্রেণী কক্ষগুলো শিক্ষণীয় বাণী ও চিত্রকলা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

জ্ঞান জগতের পরিধি বাড়ছে। প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে, উন্নত হচ্ছে। এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। তবে শিক্ষকদের সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও প্রশিক্ষণ দরকার। প্রাইমারি শিক্ষকরা নিজ বাড়িতে থেকে শিক্ষকতা করতে পারছেন। এতে তাদের অনেক পারিবারিক ও আর্থিক সুবিধা হচ্ছে। তাদের গ্রেডও উন্নত করা হয়েছে। ফলে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হতে হবে।

নিজের কাজের নিজেই তদারকি করে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে বলে সভায় তাগিদ দেয়া হয়। এখন সরকার শিক্ষা উন্নয়নে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানসহ একটি স্তর পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। কোচিং বন্ধ করতে হলে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার মান বাড়াতে হবে বলেও বক্তাগণ মন্তব্য করেছেন।