করোনা : সংসার চালাতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হচ্ছে শিশু-কিশোররা

মাধবদীতে করোনার সময়েও বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, ঢালাই কারখানা,পাওয়ার লুম ও তাঁতশিল্প কারখানায় বাড়ছে শিশু শ্রমিক। নিম্ন আয়ের মানুষের সংসার চালাতে আদরের শিশুদের এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে দিতে বাধ্য হয়। এসব কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। বেশ কয়েকটি কারখানায় কাজের পরিবেশও শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে হাঁচি, কাশিসহ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

মাধবদীর আটপাইকা,বালুচর,আনন্দী,বালুসাইর ও বাবুরহাট এলকার অনেক কারখানায় ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। আনন্দী গাংপাড় শফিকের ঢালাই কারখানায় কর্মরত অনিক (১২)জানায় তার বাড়ি বালাপুর গ্রামে তার বাবা মোসলেম মিয়া পাওয়ারলোম শ্রমিক। অনিকের ছোট তিন ভাই এক বোন প্রাইমারিতে লেখাপড়া করে। বাবার একা রোজগারে সংসার চলে না তাই সে এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধ্য হয়েছেন। অনেক কারখানায়ই নলির মেশিন, ডাইং এবং সানাতে সুতা ঢুকানোর কাজেও অনেক শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। কর্মরত শিশুদের অনেকের বাইরে কাজ করার মতো শীতের কাপড়ও নেই বলে জানিয়েছে শেখেরচর বাবুর হাটের নুরুল ইসলাম হাজীর তাঁত কারখানার শ্রমিক মনির (১০)তার বাড়ি পৌলানপুর। ছয় বছর বয়সে তার বাবাকে হারিয়ে সে এ কাজে এসেছে। ছবিতে মামুন (১১)আটপাইকা আসলাম ঝাঁলাই কারখানায় কর্মরত। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে দেড় বছর যাবত সে কাজ করে। সম্প্রতি চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দূরের মানুষ চিনতে পারে না।

শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২ , ১৪ মাঘ ১৪২৮, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

করোনা : সংসার চালাতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত হচ্ছে শিশু-কিশোররা

প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)

মাধবদীতে করোনার সময়েও বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, ঢালাই কারখানা,পাওয়ার লুম ও তাঁতশিল্প কারখানায় বাড়ছে শিশু শ্রমিক। নিম্ন আয়ের মানুষের সংসার চালাতে আদরের শিশুদের এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে দিতে বাধ্য হয়। এসব কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। বেশ কয়েকটি কারখানায় কাজের পরিবেশও শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে হাঁচি, কাশিসহ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

মাধবদীর আটপাইকা,বালুচর,আনন্দী,বালুসাইর ও বাবুরহাট এলকার অনেক কারখানায় ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। আনন্দী গাংপাড় শফিকের ঢালাই কারখানায় কর্মরত অনিক (১২)জানায় তার বাড়ি বালাপুর গ্রামে তার বাবা মোসলেম মিয়া পাওয়ারলোম শ্রমিক। অনিকের ছোট তিন ভাই এক বোন প্রাইমারিতে লেখাপড়া করে। বাবার একা রোজগারে সংসার চলে না তাই সে এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধ্য হয়েছেন। অনেক কারখানায়ই নলির মেশিন, ডাইং এবং সানাতে সুতা ঢুকানোর কাজেও অনেক শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। কর্মরত শিশুদের অনেকের বাইরে কাজ করার মতো শীতের কাপড়ও নেই বলে জানিয়েছে শেখেরচর বাবুর হাটের নুরুল ইসলাম হাজীর তাঁত কারখানার শ্রমিক মনির (১০)তার বাড়ি পৌলানপুর। ছয় বছর বয়সে তার বাবাকে হারিয়ে সে এ কাজে এসেছে। ছবিতে মামুন (১১)আটপাইকা আসলাম ঝাঁলাই কারখানায় কর্মরত। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে দেড় বছর যাবত সে কাজ করে। সম্প্রতি চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দূরের মানুষ চিনতে পারে না।