যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৭ কোটি টাকা উদ্ধারের উদ্যোগ নেই

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষাবোর্ডের লোপাটকৃত ৭ কোটি টাকা উদ্ধারে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা নেই। অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বহুল আলোচিত বিষয়টি। আত্মস্বীকৃত অপরাধী বোর্ড কর্মচারী আবদুস সালাম গত বছর অক্টোবরে দুই দফায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ফেরত দিলেও আজ পর্যন্ত আর কোন টাকা পরিশোধ করেননি। সে টাকা আদায় বা উদ্ধারে শিক্ষাবোর্ডের কোন উদ্যোগ নেই। দুদকে মামলা হয়েছে এমন অজুহাতে বোর্ড কর্তৃপক্ষ হাত গুঁটিয়ে বসে আছে।

মাসাধিককাল দুদক যশোর অফিসের উপপরিচালক বদলি হলেও নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মামলা বা টাকা উদ্ধার কার্যক্রমে গতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় একটি পক্ষ প্রচার চালাচ্ছে যে, ওই ঘটনায় আর কিছু হবে না। এ অবস্থায় চেক জালিয়াতির ঘটনা যারা ঝুঁকি নিয়ে উদ্ঘাটন করেছিলেন তারা সংশয়ে রয়েছেন। আর চাকরি বিধির ভয় দেখানোয় মুখ খুলতে পারছেন না বোর্ডের কর্মচারীরা।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আত্মস্বীকৃত অর্থ লোপাটকারী কথিত নিখোঁজ আবদুস সালাম ঠিকাদারি কাজে খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরায় যাতায়াত করছে। মাঝে মাঝে বাড়ি এসে কিছু হবে না মর্মে হুঙ্কার দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে মামলার অন্য আসামি ভেনাস প্রিন্টিংয়ের মালিক বাবুর শ্যালক হেলাল ও ম্যানেজার ইকবাল প্রায়ই শিক্ষাবোর্ডের নানা তদবির নিয়ে যাচ্ছে। বোর্ড প্রশাসন এসব বিষয়ে নির্বিকার।

গত বছর অক্টোবর মাসে কয়েক দফায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৭ কোটির অধিক টাকা ৩৮টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট করা হয়। ১ম দফায় ৯টি চেকে এবং এর একদিন পর আরও একটি চেক জালিয়াতির ধরা পড়ে। সে সময় বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিষয়টি তদন্তের আবেদন জানায়। তদন্তের শুরুতেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ১কটি মামলা করে।

এ সময় তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর, সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মেসার্স শাহীলাল স্টোরের মালিককে অভিযুক্ত করে মামলা হয়। তদন্ত শুরু হলে কয়েক দফায় ২৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। মামলার তদš কারী কর্মকর্তা নিয়োগ হন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক নাজমুস ছায়াদাত। মামলার কাজ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন (ডিসেম্বর) তদন্তকারী বদলি হন এবং নতুন উপপরিচালক হিসেবে আল আমিন যোগদান করেন।

তার যোগদান এক মাস পূর্ণ হতে চললেও এখনো পর্যন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন তথ্য দেয়ার অধিকার তার নেই। প্রয়োজনে খুলনা দুদক অফিসের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

যশোর দুদকে অক্টোবরে মামলা হওয়ার পর কর্মচারী আবদুস সালাম প্রথমে অজ্ঞাত স্থান থেকে চেক জালিয়াতির দায় স্বীকার করে পত্র এবং ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার পে-অর্ডার পাঠান। সেটি গ্রহণ করেন শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান। পত্রে সালাম টাকা শোধের জন্যে সময় প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ১৮ অক্টোবরে আর একটি পে-অর্ডারে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ফেরত দেন। এটি গ্রহণ করেন তৎকালীন সচিব। এরপর চেয়ারম্যান সচিব বদলি হয়েছেন। নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব ও সচিব প্রফেসর মো. আবদুল খালেক সরকার যোগদান করেছেন ডিসেম্বরে। তাদের যোগদান দুই মাস পূর্ণ হতে চললো। সালামের সর্বশেষ টাকা দেয়ার সময়ও প্রায় সাড়ে ৩ মাস হতে গেলো তবুও আর কোন টাকা বোর্ডের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। এই দীর্ঘ নীরবতায় হতাশ শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ। বোর্ড কর্তৃপক্ষ চাকরি বিধির কথা বলে আর যারা মিডিয়াতে কথা বলতো, তাদের ভয় দেখিয়েছে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ আর মুখ খুলতে চাইছে না। এরপর অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। তাদের মতে হঠাৎ সবকিছু ঝিমিয়ে যাওয়ায় তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা সক্রিয় হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকজন বলেন, যে বাবু সব চেক জালিয়াতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত, সেই বাবুর ম্যানেজার ইকবাল একটি চেক ছাড় করাতে তদবির নিয়ে প্রায়ই বোর্ডে যাচ্ছে। সঙ্গে থাকছে বাবুর শ্যালক হেলাল। ঘটনা অনেকে জানলেও তাদের প্রবেশে কোন বাধা দিচ্ছে না। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালেও তারা এ ব্যাপারে উদাসীন।

টাকা উদ্ধার বা সালামের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে বর্তমান সচিব প্রফেসর আবদুল খালেক সরকার বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তিনি জেনেছেন বোর্ডের টাকা লোপাটের কথা। এ বিষয়ে তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা বলেছেন। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, দুদকে মামলা রয়েছে তাই এখন আর কিছু করণীয় নেই।

টাকা উদ্ধারের তৎপরতা বা কোন নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব বলেন, মামলা রয়েছে তাই এই শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত। সেখান থেকেও কোন নির্দেশ আসেনি। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রকৃত অপরাধীর বিচার হোক, শিক্ষাবোর্ডের টাকা ফেরত আসুক।

আরও খবর
কবিতায় প্রতিবাদের ভাষায় মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়, তা আর কিছুতেই হয় না : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষ জনবল না থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল হচ্ছে : আইনমন্ত্রী
চার বছরে ২২৮ এনজিওর নিবন্ধন বাতিল
তারা প্রতারণায়ও বহুরূপী
ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর : তাপস
পটিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধৃর্ষণের অভিযোগ
চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয় ‘দুুর্নীতির সঙ্গে আমার পরিবার জড়িত নয়’-দীপু মনি
সিমেন্ট কোম্পানির পরামর্শে আত্মগোপনে যান ট্রাকচালক জসিম
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে : আইভী
নরসিংদী ও ধামরাইয়ে ইটভাটায় জরিমানা
সরগরম জাতীয় রাজনীতি চলছে পট পরিবর্তনের খেলা

শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২ , ১৪ মাঘ ১৪২৮, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৭ কোটি টাকা উদ্ধারের উদ্যোগ নেই

যশোর অফিস

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষাবোর্ডের লোপাটকৃত ৭ কোটি টাকা উদ্ধারে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা নেই। অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বহুল আলোচিত বিষয়টি। আত্মস্বীকৃত অপরাধী বোর্ড কর্মচারী আবদুস সালাম গত বছর অক্টোবরে দুই দফায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ফেরত দিলেও আজ পর্যন্ত আর কোন টাকা পরিশোধ করেননি। সে টাকা আদায় বা উদ্ধারে শিক্ষাবোর্ডের কোন উদ্যোগ নেই। দুদকে মামলা হয়েছে এমন অজুহাতে বোর্ড কর্তৃপক্ষ হাত গুঁটিয়ে বসে আছে।

মাসাধিককাল দুদক যশোর অফিসের উপপরিচালক বদলি হলেও নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মামলা বা টাকা উদ্ধার কার্যক্রমে গতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় একটি পক্ষ প্রচার চালাচ্ছে যে, ওই ঘটনায় আর কিছু হবে না। এ অবস্থায় চেক জালিয়াতির ঘটনা যারা ঝুঁকি নিয়ে উদ্ঘাটন করেছিলেন তারা সংশয়ে রয়েছেন। আর চাকরি বিধির ভয় দেখানোয় মুখ খুলতে পারছেন না বোর্ডের কর্মচারীরা।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আত্মস্বীকৃত অর্থ লোপাটকারী কথিত নিখোঁজ আবদুস সালাম ঠিকাদারি কাজে খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরায় যাতায়াত করছে। মাঝে মাঝে বাড়ি এসে কিছু হবে না মর্মে হুঙ্কার দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে মামলার অন্য আসামি ভেনাস প্রিন্টিংয়ের মালিক বাবুর শ্যালক হেলাল ও ম্যানেজার ইকবাল প্রায়ই শিক্ষাবোর্ডের নানা তদবির নিয়ে যাচ্ছে। বোর্ড প্রশাসন এসব বিষয়ে নির্বিকার।

গত বছর অক্টোবর মাসে কয়েক দফায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৭ কোটির অধিক টাকা ৩৮টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট করা হয়। ১ম দফায় ৯টি চেকে এবং এর একদিন পর আরও একটি চেক জালিয়াতির ধরা পড়ে। সে সময় বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিষয়টি তদন্তের আবেদন জানায়। তদন্তের শুরুতেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ১কটি মামলা করে।

এ সময় তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর, সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মেসার্স শাহীলাল স্টোরের মালিককে অভিযুক্ত করে মামলা হয়। তদন্ত শুরু হলে কয়েক দফায় ২৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। মামলার তদš কারী কর্মকর্তা নিয়োগ হন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক নাজমুস ছায়াদাত। মামলার কাজ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন (ডিসেম্বর) তদন্তকারী বদলি হন এবং নতুন উপপরিচালক হিসেবে আল আমিন যোগদান করেন।

তার যোগদান এক মাস পূর্ণ হতে চললেও এখনো পর্যন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন তথ্য দেয়ার অধিকার তার নেই। প্রয়োজনে খুলনা দুদক অফিসের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

যশোর দুদকে অক্টোবরে মামলা হওয়ার পর কর্মচারী আবদুস সালাম প্রথমে অজ্ঞাত স্থান থেকে চেক জালিয়াতির দায় স্বীকার করে পত্র এবং ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার পে-অর্ডার পাঠান। সেটি গ্রহণ করেন শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান। পত্রে সালাম টাকা শোধের জন্যে সময় প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ১৮ অক্টোবরে আর একটি পে-অর্ডারে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ফেরত দেন। এটি গ্রহণ করেন তৎকালীন সচিব। এরপর চেয়ারম্যান সচিব বদলি হয়েছেন। নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব ও সচিব প্রফেসর মো. আবদুল খালেক সরকার যোগদান করেছেন ডিসেম্বরে। তাদের যোগদান দুই মাস পূর্ণ হতে চললো। সালামের সর্বশেষ টাকা দেয়ার সময়ও প্রায় সাড়ে ৩ মাস হতে গেলো তবুও আর কোন টাকা বোর্ডের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। এই দীর্ঘ নীরবতায় হতাশ শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ। বোর্ড কর্তৃপক্ষ চাকরি বিধির কথা বলে আর যারা মিডিয়াতে কথা বলতো, তাদের ভয় দেখিয়েছে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ আর মুখ খুলতে চাইছে না। এরপর অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। তাদের মতে হঠাৎ সবকিছু ঝিমিয়ে যাওয়ায় তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা সক্রিয় হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকজন বলেন, যে বাবু সব চেক জালিয়াতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত, সেই বাবুর ম্যানেজার ইকবাল একটি চেক ছাড় করাতে তদবির নিয়ে প্রায়ই বোর্ডে যাচ্ছে। সঙ্গে থাকছে বাবুর শ্যালক হেলাল। ঘটনা অনেকে জানলেও তাদের প্রবেশে কোন বাধা দিচ্ছে না। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালেও তারা এ ব্যাপারে উদাসীন।

টাকা উদ্ধার বা সালামের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে বর্তমান সচিব প্রফেসর আবদুল খালেক সরকার বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তিনি জেনেছেন বোর্ডের টাকা লোপাটের কথা। এ বিষয়ে তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা বলেছেন। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, দুদকে মামলা রয়েছে তাই এখন আর কিছু করণীয় নেই।

টাকা উদ্ধারের তৎপরতা বা কোন নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব বলেন, মামলা রয়েছে তাই এই শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত। সেখান থেকেও কোন নির্দেশ আসেনি। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রকৃত অপরাধীর বিচার হোক, শিক্ষাবোর্ডের টাকা ফেরত আসুক।