শীতের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এতে গত সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে শিশুসহ নানা বয়সের প্রায় দেড় লাখের মতো আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এটা শুধু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তির তথ্য। এর বাইরেও হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও প্রাইভেট চেম্বারে বা হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগী রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শুধু শীতের সময়ই আক্রমণ করে। এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। বয়স্ক ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায়ই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যায়। দেশের অনেক হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু যতটুক সক্ষমতা আছে ততটুকুই যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসায় যেন ত্রুটি না হয়। যথার্থ চিকিৎসা পেলে একদিকে যেমন রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়, অন্যদিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভিড়ও কমে। সেখানে তাদের দীর্ঘ সময় অবস্থান করার প্রয়োজন পড়ে না। সুচিকিৎসাই হতে পারে সংকট মোকাবিলার কার্যকর হাতিয়ার।
তাছাড়া করোনার কারণে সাধারণ সর্দি-কাশিতে অনেকে আতঙ্কিত হতে পারে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। বাড়িতেই যেন প্রথিমিক চিকিৎসা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে যাতে ভিড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলছে। তাই হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত মানুষের পক্ষে হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। তাছাড়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। সেখান থেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
একটু সতর্ক থাকলে ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে। বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাহলে একই সঙ্গে ওমিক্রনের সংক্রমণ ও ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২ , ১৪ মাঘ ১৪২৮, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
শীতের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এতে গত সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে শিশুসহ নানা বয়সের প্রায় দেড় লাখের মতো আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এটা শুধু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তির তথ্য। এর বাইরেও হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও প্রাইভেট চেম্বারে বা হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগী রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শুধু শীতের সময়ই আক্রমণ করে। এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। বয়স্ক ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
শিশু ও বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায়ই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সংকট দেখা যায়। দেশের অনেক হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু যতটুক সক্ষমতা আছে ততটুকুই যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসায় যেন ত্রুটি না হয়। যথার্থ চিকিৎসা পেলে একদিকে যেমন রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়, অন্যদিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভিড়ও কমে। সেখানে তাদের দীর্ঘ সময় অবস্থান করার প্রয়োজন পড়ে না। সুচিকিৎসাই হতে পারে সংকট মোকাবিলার কার্যকর হাতিয়ার।
তাছাড়া করোনার কারণে সাধারণ সর্দি-কাশিতে অনেকে আতঙ্কিত হতে পারে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। বাড়িতেই যেন প্রথিমিক চিকিৎসা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে যাতে ভিড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলছে। তাই হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত মানুষের পক্ষে হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। তাছাড়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। সেখান থেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
একটু সতর্ক থাকলে ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে। বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাহলে একই সঙ্গে ওমিক্রনের সংক্রমণ ও ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।