আবৃত্তি শিল্পী হাসান আরিফের মৃত্যু

বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

গতকাল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান আরিফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিশিষ্ট এই আবৃত্তিশিল্পী গত ডিসেম্বরের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর থেকেই নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার মাস ধরে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন হাসান আরিফ।

জানা যায়, কিডনিজনিত সমস্যার কারণে তার শরীরে ইনফেকশনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে আবৃত্তি করছেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে ভূমিকা পালন করেন। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তিচর্চাকে এগিয়ে নিতে ও প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য এই আবৃত্তিকার সহজেই জায়গা করে নিয়েছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড.

হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তার সহযোদ্ধারা।

সবাই হাসান আরিফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হাসান আরিফের চলে যাওয়া বাংলা আবৃত্তি জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, হাসান আরিফের মৃত্যুতে দেশ আবৃত্তি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনগুলোতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘তিনি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাঝে।’

শনিবার, ০২ এপ্রিল ২০২২ , ১৯ চৈত্র ১৪২৮ ২৯ শাবান ১৪৪৩

আবৃত্তি শিল্পী হাসান আরিফের মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

গতকাল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান আরিফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিশিষ্ট এই আবৃত্তিশিল্পী গত ডিসেম্বরের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর থেকেই নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার মাস ধরে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন হাসান আরিফ।

জানা যায়, কিডনিজনিত সমস্যার কারণে তার শরীরে ইনফেকশনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে আবৃত্তি করছেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে ভূমিকা পালন করেন। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তিচর্চাকে এগিয়ে নিতে ও প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য এই আবৃত্তিকার সহজেই জায়গা করে নিয়েছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড.

হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তার সহযোদ্ধারা।

সবাই হাসান আরিফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হাসান আরিফের চলে যাওয়া বাংলা আবৃত্তি জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক বিকাশে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, হাসান আরিফের মৃত্যুতে দেশ আবৃত্তি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনগুলোতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘তিনি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাঝে।’