ডিসেম্বরেই আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন

প্রস্তুতি চলছে : ওবায়দুল কাদের

এ বছরের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ আশা প্রকাশ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা। তিন বছর পরপর আমাদের সম্মেলন হয়, সেই হিসাবে আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্ধারিত সময়। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম চলমান। এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ সালের ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় সংসদ এবং আমাদের পার্টির জাতীয় সম্মেলন দুটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা আরও স্মার্টার আরও আধুনিক ও সুসংগঠিত একটা দল নিয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ নেব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের অংশ হিসেবে প্রাথমিক সদস্য ও সদস্য নবায়ন আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। আমরা এটা সবসময় করে আসছি। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অংশ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যেই প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা সব সময়ই করে আসছে। বাধা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ঘরোয়া কার্যক্রম, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনাভাইরাসেরর মতো ক্রাইসিস থাকার কারণে কিছু কার্যক্রম স্থগিত ছিল। করোনা কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে সদস্য সংগ্রহ শুরু করতে হবে। সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমকে আমি জোরদার করার জন্য সব শাখাকে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম, বিভাগ, মহানগর ও জেলার নেতাদেরকে মেয়াদোত্তীর্ণ সব শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনের আগে শুধু মেয়াদোত্তীর্ণ শাখার সম্মেলন নয়, সহযোগী সংগঠন, যাদের মেয়াদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরও সম্মেলন করতে হবে। অনতিবিলম্বে তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে, তাদেরকেও নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির গণঅনশনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিএনপি সবকিছু বেলা শেষ হয়ে গেলে করে। যখন যেটা করা দরকার, তাদের কর্মসূচি তার ধারে কাছেও নেই। গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী অতিপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তাদের আন্দোলনের প্রয়োজন নেই, দ্রব্যমূল্য কমে আসছে, কমে যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, এটাতো জনগণেরই প্রশ্ন। দেশের মানুষ জানতে চায় বিএনপি কথায় কথায় যে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখে তাতে তাদের নেতৃত্ব দেবে কে?

তিনি বলেন, সর্বশেষ তাদের (বিএনপি) মাথায় জাতীয় সরকারের ভূত ঢুকেছে। বিএনপি কী চায়, তা নিজেরাই জানে না। তাদের বলবো এদিক-ওদিক না ঘুরে বরং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। আন্দোলনও হয়নি, নির্বাচনে অংশ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কাদের আরও বলেন, সংবিধান মতে যথাসময়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরেপক্ষ নির্বাচন হবে। এতে আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিবর্তনের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের কোনো স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

আরও খবর
ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি, অটিজমদের স্থায়ী বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
দিল্লিতে ইন্দিরা-তাজউদ্দীন আলোচনা, টাঙ্গাইলে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা
অটিজম শিশুর মায়েদের বিষণ্ণতা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন আশাব্যঞ্জক
রমজানে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে : শিল্পমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের সঙ্গে বাড়ছে বৈষম্য
প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বলি একরামুল
রংপুরে পরকীয়ায় যুবককে বাসায় ডেকে হত্যা, দম্পতি আটক
অবশেষে মামলা নিল পুলিশ!
উন্নয়নের রাজনীতিতে বাধা দিলে রুখে দাঁড়াবো : আইভী
প্ররোচনাকারীদের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন

রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২ , ২০ চৈত্র ১৪২৮ ৩০ শাবান ১৪৪৩

ডিসেম্বরেই আ’লীগের জাতীয় সম্মেলন

প্রস্তুতি চলছে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

এ বছরের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ আশা প্রকাশ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা। তিন বছর পরপর আমাদের সম্মেলন হয়, সেই হিসাবে আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্ধারিত সময়। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম চলমান। এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ সালের ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় সংসদ এবং আমাদের পার্টির জাতীয় সম্মেলন দুটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা আরও স্মার্টার আরও আধুনিক ও সুসংগঠিত একটা দল নিয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ নেব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের অংশ হিসেবে প্রাথমিক সদস্য ও সদস্য নবায়ন আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। আমরা এটা সবসময় করে আসছি। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের অংশ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যেই প্রতিষ্ঠান তার অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা সব সময়ই করে আসছে। বাধা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ঘরোয়া কার্যক্রম, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। করোনাভাইরাসেরর মতো ক্রাইসিস থাকার কারণে কিছু কার্যক্রম স্থগিত ছিল। করোনা কিছুটা কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আবারও আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে সদস্য সংগ্রহ শুরু করতে হবে। সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমকে আমি জোরদার করার জন্য সব শাখাকে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম, বিভাগ, মহানগর ও জেলার নেতাদেরকে মেয়াদোত্তীর্ণ সব শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনের আগে শুধু মেয়াদোত্তীর্ণ শাখার সম্মেলন নয়, সহযোগী সংগঠন, যাদের মেয়াদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে তাদেরও সম্মেলন করতে হবে। অনতিবিলম্বে তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে, তাদেরকেও নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির গণঅনশনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিএনপি সবকিছু বেলা শেষ হয়ে গেলে করে। যখন যেটা করা দরকার, তাদের কর্মসূচি তার ধারে কাছেও নেই। গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী অতিপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমতে শুরু করেছে। তাই তাদের আন্দোলনের প্রয়োজন নেই, দ্রব্যমূল্য কমে আসছে, কমে যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, এটাতো জনগণেরই প্রশ্ন। দেশের মানুষ জানতে চায় বিএনপি কথায় কথায় যে আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখে তাতে তাদের নেতৃত্ব দেবে কে?

তিনি বলেন, সর্বশেষ তাদের (বিএনপি) মাথায় জাতীয় সরকারের ভূত ঢুকেছে। বিএনপি কী চায়, তা নিজেরাই জানে না। তাদের বলবো এদিক-ওদিক না ঘুরে বরং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। আন্দোলনও হয়নি, নির্বাচনে অংশ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কাদের আরও বলেন, সংবিধান মতে যথাসময়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরেপক্ষ নির্বাচন হবে। এতে আপনাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিবর্তনের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের কোনো স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।