বৈশাখী বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে চাপতির হাওর

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বৃহত্তর হাওর চাপতির বাঁধ ভেঙে ফসলহানি ঘটেছে। চাপতি হাওরের বৈশাখী এলাকার ফসল রক্ষা বাঁধটি গত বুধবার রাত ২টার দিকে ভেঙে প্রচন্ড গতিতে ঢলের পানি হাওরে ঢুকতে থাকে। এতে ওই হাওরের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির কাঁচা ধান তলিয়ে যায়। কৃষকরা জানান, বুধবার সকাল থেকেই বাঁধ চুইয়ে পানি হাওরে প্রবেশ করছিল। পিআইসি সদস্যদের বারবার ব্যবস্থা নিতে বলার পরও তারা বাঁধ রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

সরজমিন দেখা যায়, হাওর তীরবর্তী অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষক ফসল হারিয়ে বিলাপ করছেন। চোখের সামনে জমি ডুবে যেতে দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারছেন না। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। গতকাল যেখানে ছিল হাওরভরা সবুজ ফসলের সমারোহ। আজ সেখানে অথৈ পানি। কচুয়া গ্রামের কৃষকরা বলেন, একফসলি বোরো জমির আয় থেকে সারাবছর পরিবার নিয়ে চলতে হয়। জমি তলিয়ে যাওয়ায় তারা দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন। দিরাই উপজেলার দায়িত্বে থাকা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও হাওরে ঘুরে দেখেছি। বাঁধটি দুর্বল ছিল। লিকেজ দিয়ে পানি প্রবেশ করে একপর্যায়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। দিরাইয়ে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই হাওরে ৪,৩০০ হেক্টর জমি ছিল। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির কাঁচা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

শুক্রবার, ০৮ এপ্রিল ২০২২ , ২৫ চৈত্র ১৪২৮ ০৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

বৈশাখী বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে চাপতির হাওর

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

image

বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ ভেঙে পড়ে বৈশাখী বাঁধ, তলিয়ে যায় তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল -সংবাদ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বৃহত্তর হাওর চাপতির বাঁধ ভেঙে ফসলহানি ঘটেছে। চাপতি হাওরের বৈশাখী এলাকার ফসল রক্ষা বাঁধটি গত বুধবার রাত ২টার দিকে ভেঙে প্রচন্ড গতিতে ঢলের পানি হাওরে ঢুকতে থাকে। এতে ওই হাওরের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির কাঁচা ধান তলিয়ে যায়। কৃষকরা জানান, বুধবার সকাল থেকেই বাঁধ চুইয়ে পানি হাওরে প্রবেশ করছিল। পিআইসি সদস্যদের বারবার ব্যবস্থা নিতে বলার পরও তারা বাঁধ রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

সরজমিন দেখা যায়, হাওর তীরবর্তী অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষক ফসল হারিয়ে বিলাপ করছেন। চোখের সামনে জমি ডুবে যেতে দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারছেন না। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। গতকাল যেখানে ছিল হাওরভরা সবুজ ফসলের সমারোহ। আজ সেখানে অথৈ পানি। কচুয়া গ্রামের কৃষকরা বলেন, একফসলি বোরো জমির আয় থেকে সারাবছর পরিবার নিয়ে চলতে হয়। জমি তলিয়ে যাওয়ায় তারা দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন। দিরাই উপজেলার দায়িত্বে থাকা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও হাওরে ঘুরে দেখেছি। বাঁধটি দুর্বল ছিল। লিকেজ দিয়ে পানি প্রবেশ করে একপর্যায়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। দিরাইয়ে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই হাওরে ৪,৩০০ হেক্টর জমি ছিল। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির কাঁচা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।