চিঠি : ছাত্রাবাসে রিডিং রুম চাই

ছাত্রাবাসে রিডিং রুম চাই

ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের শহীদ ফরহাদ ছাত্রাবাস। প্রায় শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর বসবাস এই ছাত্রাবাসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে ক্লাস ও পড়াশোনায় চাপ বেড়েছে সাত কলেজে। নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা থাকছেই।

ঢাকা কলেজের অন্যান্য ছাত্রাবাসগুলোয় রিডিং রুম থাকলেও এই ছাত্রাবাসে নেই। যা আছে তা নামমাত্র। নিচতলায় সিড়ির নিচে কয়েকটি বেঞ্চ দিয়ে বানানো হয়েছে রিডিং রুম। তাতে নেই পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের সুবিধা। তাছাড়া খোলা জায়গায় হওয়ায় পড়ায় মনোযোগ থাকে না। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে বেগ পেতে হয়।

অন্য ছাত্রাবাসের রিডিং রুমে গেলে সিনিয়ররা বকাঝকা করেন। ছাত্রাবাসের থাকার রুমগুলোয়ও পড়ার পরিবেশ নেই। ফলে অনেকেই ঠিকমতো পড়তে না পারায় রেজাল্ট খারাপ করে মানসিক কষ্টে ভুগছে। এমতাবস্থায় কলেজ প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন শহীদ ফরহাদ ছাত্রাবাসে মানসম্মত একটি রিডিং রুমের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের মানসিক কষ্ট ঘুচাবেন ও ভালো রেজাল্ট করে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ দেবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ বন্ধ করুন

দেশের কিছু অসাধু চক্রের হাতে বন্দি হয়ে থাকে বাজার ব্যবস্থা। সারা বছর বাজারের অবস্থা যাই থাকুক না কেন, রমজানকে কেন্দ্র করে কীভাবে পণ্যের দাম বেশি বাড়িয়ে লাভ বেশি করা যায়, এ নিয়ে চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে প্রতিযোগিতা। এ অবস্থায় উচ্চবিত্ত কিংবা যাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো তারা বাজারে পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে মনে করে তাদের প্রয়োজনের বাইরেও অনেক বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে মজুদ করেন। তাদের এই অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করার ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত বাজার করার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশ আকাশছোঁয়া। ছোলা, সয়াবিন, চাল, ডাল, চিনি, কাঁচাবাজার, ফলমূল থেকে শুরু করে গ্যাস সিলিন্ডারসহ, অধিকাংশ পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেশ চড়া। পণ্যের দাম সাধারণ খেটে-খাওয়া, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ভোক্তার ক্রয়সীমার অনেক বাইরে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা দোকানে নজরদারি বাড়িয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনে সরকারের টিসিবি পণ্যের জোগান আরও কয়েকগুণ বাড়ানো উচিত। একই সঙ্গে উচ্চবিত্ত কিংবা যাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো তারা যেন অতিরিক্ত বাজার না করতে পারে সেই ব্যাপারে তাদের প্রতি সচেতনতার বার্তা কিংবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ রইল।

রাসেল হোসাইন

বিশেষ চিহ্নে ব্যবহার হোক এন্টিবায়োটিক

দেশের মানুষ একটু অসুস্থ হলেই আগে ছোটে ওষুধের দোকানে। আর যেখানে সেখানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ওষুধের দোকানগুলো সামান্য সর্দি, জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার ওষুধ সেবন উচিত নয়, সেখানে এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া সম্পূর্ণ অনুচিত।

সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কোনটা সাধারণত ওষুধ আর কোনটা এন্টিবায়োটিক। এসব ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা অধিক লাভের আসায় কাজটি করে থাকে। যা মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বয়ে আনে। তাই ঔষধ প্রশাসনের উচিত অতি দ্রুত এন্টিবায়োটিক ওষুধের গায়ে লাল চিহ্ন বা বিশেষ চিহ্ন ব্যবহারের আইন চালু করা। যা ব্যক্তি, সমাজ, দেশ ও জাতির মঙ্গল বয়ে আনবে।

রবিন আহমেদ

আরও খবর

শুক্রবার, ০৮ এপ্রিল ২০২২ , ২৫ চৈত্র ১৪২৮ ০৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

চিঠি : ছাত্রাবাসে রিডিং রুম চাই

ছাত্রাবাসে রিডিং রুম চাই

ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের শহীদ ফরহাদ ছাত্রাবাস। প্রায় শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর বসবাস এই ছাত্রাবাসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে ক্লাস ও পড়াশোনায় চাপ বেড়েছে সাত কলেজে। নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা থাকছেই।

ঢাকা কলেজের অন্যান্য ছাত্রাবাসগুলোয় রিডিং রুম থাকলেও এই ছাত্রাবাসে নেই। যা আছে তা নামমাত্র। নিচতলায় সিড়ির নিচে কয়েকটি বেঞ্চ দিয়ে বানানো হয়েছে রিডিং রুম। তাতে নেই পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের সুবিধা। তাছাড়া খোলা জায়গায় হওয়ায় পড়ায় মনোযোগ থাকে না। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে বেগ পেতে হয়।

অন্য ছাত্রাবাসের রিডিং রুমে গেলে সিনিয়ররা বকাঝকা করেন। ছাত্রাবাসের থাকার রুমগুলোয়ও পড়ার পরিবেশ নেই। ফলে অনেকেই ঠিকমতো পড়তে না পারায় রেজাল্ট খারাপ করে মানসিক কষ্টে ভুগছে। এমতাবস্থায় কলেজ প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন শহীদ ফরহাদ ছাত্রাবাসে মানসম্মত একটি রিডিং রুমের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের মানসিক কষ্ট ঘুচাবেন ও ভালো রেজাল্ট করে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ দেবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ বন্ধ করুন

দেশের কিছু অসাধু চক্রের হাতে বন্দি হয়ে থাকে বাজার ব্যবস্থা। সারা বছর বাজারের অবস্থা যাই থাকুক না কেন, রমজানকে কেন্দ্র করে কীভাবে পণ্যের দাম বেশি বাড়িয়ে লাভ বেশি করা যায়, এ নিয়ে চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে প্রতিযোগিতা। এ অবস্থায় উচ্চবিত্ত কিংবা যাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো তারা বাজারে পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে মনে করে তাদের প্রয়োজনের বাইরেও অনেক বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে মজুদ করেন। তাদের এই অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করার ফলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত বাজার করার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশ আকাশছোঁয়া। ছোলা, সয়াবিন, চাল, ডাল, চিনি, কাঁচাবাজার, ফলমূল থেকে শুরু করে গ্যাস সিলিন্ডারসহ, অধিকাংশ পণ্যের দাম আগের চেয়ে বেশ চড়া। পণ্যের দাম সাধারণ খেটে-খাওয়া, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ভোক্তার ক্রয়সীমার অনেক বাইরে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা দোকানে নজরদারি বাড়িয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনে সরকারের টিসিবি পণ্যের জোগান আরও কয়েকগুণ বাড়ানো উচিত। একই সঙ্গে উচ্চবিত্ত কিংবা যাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো তারা যেন অতিরিক্ত বাজার না করতে পারে সেই ব্যাপারে তাদের প্রতি সচেতনতার বার্তা কিংবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ রইল।

রাসেল হোসাইন

বিশেষ চিহ্নে ব্যবহার হোক এন্টিবায়োটিক

দেশের মানুষ একটু অসুস্থ হলেই আগে ছোটে ওষুধের দোকানে। আর যেখানে সেখানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ওষুধের দোকানগুলো সামান্য সর্দি, জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার ওষুধ সেবন উচিত নয়, সেখানে এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া সম্পূর্ণ অনুচিত।

সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কোনটা সাধারণত ওষুধ আর কোনটা এন্টিবায়োটিক। এসব ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা অধিক লাভের আসায় কাজটি করে থাকে। যা মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বয়ে আনে। তাই ঔষধ প্রশাসনের উচিত অতি দ্রুত এন্টিবায়োটিক ওষুধের গায়ে লাল চিহ্ন বা বিশেষ চিহ্ন ব্যবহারের আইন চালু করা। যা ব্যক্তি, সমাজ, দেশ ও জাতির মঙ্গল বয়ে আনবে।

রবিন আহমেদ