রপ্তানিতে সুদিন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

করোনার প্রথম ঢেউয়ে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে নেমে এসেছিল স্থবিরতা। এতে তলানিতে নেমেছিল বাংলাদেশের রপ্তানিও। এরপর টিকা কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার পর ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের ধাক্কা খায় রপ্তানি আয়। এরপর আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার বিদেশি মুদ্রা এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। বর্তমান বিনিময় হারে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের মার্চের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ। আর অর্থবছরের হিসাবে ৯ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসের এই আয় তৃতীয় সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ (৪.৯০ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ (৪.২৯ বিলিয়ন) ডলার। এই মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। ।

যুদ্ধের মাসেও রপ্তানি আয়ে এই বড় উল্লম্ফনে খুবই খুশি রপ্তানিকারকরা। অর্থবছরের বাকি তিন মাসেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন তারা। আর তাতে অর্থবছর শেষে এবার রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ।

এই সময়ে প্রায় সব খাতেই রপ্তানি আয় বেড়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের (জুলাই-মার্চ) হিসাবে ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন (৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ) ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই আয় গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) প্রায় সমান। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ৯ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি আয় দেশে এসেছে। ৯ মাসের রপ্তানি আয় এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। তার আগে থেকেই অবশ্য যুদ্ধের ডামাডোল চলছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কয়েকটা দিন গেছে যুদ্ধের মধ্যে। মার্চ মাসের পুরোটা সময় ছিল যুদ্ধের উত্তেজনা। রাশিয়াসহ অন্য দেশগুলোতেও পণ্য পাঠানো ব্যাহত হয়। যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। তারপরও এই মাসে রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুলাই-মার্চ সময়ে তৈরি পোশাক ছাড়াও কৃষি প্রক্রিয়াজাত, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ও হস্তশিল্প রপ্তানি বেড়েছে। ফলে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ৭ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যে বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ (৩১.৪৩ বিলিয়ন) ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ৭১২ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি এসেছে ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৩০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এ ছাড়া জুলাই-মার্চ সময়ে ৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল, ৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। ওষুধ রপ্তানি থেকে এসেছে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।

গত বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের মোট লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে আয়ের লক্ষ্য ধরা আছে ৩৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি (৩৩.৬৭ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম।

শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২ , ২৬ চৈত্র ১৪২৮ ০৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

রপ্তানিতে সুদিন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

করোনার প্রথম ঢেউয়ে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে নেমে এসেছিল স্থবিরতা। এতে তলানিতে নেমেছিল বাংলাদেশের রপ্তানিও। এরপর টিকা কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার পর ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের ধাক্কা খায় রপ্তানি আয়। এরপর আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার বিদেশি মুদ্রা এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। বর্তমান বিনিময় হারে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের মার্চের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ। আর অর্থবছরের হিসাবে ৯ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মার্চ সময়ে ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসের এই আয় তৃতীয় সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ (৪.৯০ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ (৪.২৯ বিলিয়ন) ডলার। এই মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। ।

যুদ্ধের মাসেও রপ্তানি আয়ে এই বড় উল্লম্ফনে খুবই খুশি রপ্তানিকারকরা। অর্থবছরের বাকি তিন মাসেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন তারা। আর তাতে অর্থবছর শেষে এবার রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ।

এই সময়ে প্রায় সব খাতেই রপ্তানি আয় বেড়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের (জুলাই-মার্চ) হিসাবে ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন (৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ) ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই আয় গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) প্রায় সমান। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ৯ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি আয় দেশে এসেছে। ৯ মাসের রপ্তানি আয় এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। তার আগে থেকেই অবশ্য যুদ্ধের ডামাডোল চলছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের কয়েকটা দিন গেছে যুদ্ধের মধ্যে। মার্চ মাসের পুরোটা সময় ছিল যুদ্ধের উত্তেজনা। রাশিয়াসহ অন্য দেশগুলোতেও পণ্য পাঠানো ব্যাহত হয়। যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। তারপরও এই মাসে রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুলাই-মার্চ সময়ে তৈরি পোশাক ছাড়াও কৃষি প্রক্রিয়াজাত, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ও হস্তশিল্প রপ্তানি বেড়েছে। ফলে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ৭ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যে বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ (৩১.৪৩ বিলিয়ন) ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮১ দশমিক ৪৬ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ৭১২ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি এসেছে ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৩০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেড়েছে ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এ ছাড়া জুলাই-মার্চ সময়ে ৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল, ৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। ওষুধ রপ্তানি থেকে এসেছে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।

গত বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি আয়ের মোট লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে আয়ের লক্ষ্য ধরা আছে ৩৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি (৩৩.৬৭ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম।