এক মাস পর সবজি রপ্তানি শুরু যুক্তরাজ্যে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

স্ক্যানার জাটিলতায় এক মাস বন্ধ থাকার পর যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি পুনরায় শুরু হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা যুক্তরাজ্য অনুমোদিত স্ক্যানার নষ্ট হয়ে গেলে গত ৯ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল সবজি রপ্তানি। বিমানবন্দরে থাকা নতুন দুটি স্ক্যানারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অনুমোদন পাওয়ায় মধ্য দিয়ে এ জটিলতা কেটেছে। তবে নষ্ট হওয়া পুরনো স্ক্যানার দুটি এখনও সচল হয়নি। প্রায় এক মাস রপ্তানি বন্ধ থাকায় দেশটিতে বাংলাদেশের সবজির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বাজার পুরোপুরি ফিরে পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা।

যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাজারে সবজি রপ্তানিতে প্রধান শর্ত নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করা। এ জন্য রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যান করা বাধ্যতামূলক। আর এই রপ্তানি কার্যক্রম বাধামুক্ত রাখতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে রয়েছে দুটি স্ক্যানার। অথচ দুটি স্ক্যানারই এখন অচল। যুক্তরাজ্য নতুন দুটিতে অনুমোদন দিলে আবারও সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, শাহজালালে মোট চারটি স্ক্যানার রয়েছে। তার মধ্যে যুক্তরাজ্য অনুমোদিত দুটির মধ্যে একটি অচল হয়ে আছে দীর্ঘ এক বছর ধরে। আরেকটি দিয়ে কোনক্রমে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছিল। সেটিও অচল প্রায় এক মাস। এতে বাংলাদেশের সবজির সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাজ্যে কৃষিপণ্য পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। স্ক্যানার জটিলতায় এর আগে কয়েক দফায় প্রায় দুই মাস সবজি রপ্তানি বন্ধ থাকে।

ফল ও সবজি রপ্তানিকারকরা বলছেন, ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশ এক হাজার ২৯ কোটি টাকার শাক-সবজি ও ফল রপ্তানি করেছিল। রপ্তানির এই পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু স্ক্যানার জটিলতায় উল্টো রপ্তানি বাজারই হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে শাক-সবজি রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। বাংলাদেশের পণ্য সরবরাহ না থাকায় সেই বাজারটা ওই দুই দেশ দখল করে নিচ্ছে। তাদের বাজার বড় হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্রটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে দৈনিক ১০০ টনের মতো কৃষিপণ্য বিভিন্ন দেশে যায়। এর মধ্যে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশই যায় যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্যে দিনে ৫০ টন ধরে হিসাব করলেও লোকসানের পাল্লাটা অনেক ভারী। প্রতি কেজি পণ্যে গড়ে ৩ ডলার আয় হয়। সে হিসাবে গত এক মাসে ক্ষতির পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২ , ২৬ চৈত্র ১৪২৮ ০৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

এক মাস পর সবজি রপ্তানি শুরু যুক্তরাজ্যে

image

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

স্ক্যানার জাটিলতায় এক মাস বন্ধ থাকার পর যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি পুনরায় শুরু হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা যুক্তরাজ্য অনুমোদিত স্ক্যানার নষ্ট হয়ে গেলে গত ৯ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল সবজি রপ্তানি। বিমানবন্দরে থাকা নতুন দুটি স্ক্যানারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অনুমোদন পাওয়ায় মধ্য দিয়ে এ জটিলতা কেটেছে। তবে নষ্ট হওয়া পুরনো স্ক্যানার দুটি এখনও সচল হয়নি। প্রায় এক মাস রপ্তানি বন্ধ থাকায় দেশটিতে বাংলাদেশের সবজির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বাজার পুরোপুরি ফিরে পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা।

যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বাজারে সবজি রপ্তানিতে প্রধান শর্ত নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করা। এ জন্য রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যান করা বাধ্যতামূলক। আর এই রপ্তানি কার্যক্রম বাধামুক্ত রাখতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে রয়েছে দুটি স্ক্যানার। অথচ দুটি স্ক্যানারই এখন অচল। যুক্তরাজ্য নতুন দুটিতে অনুমোদন দিলে আবারও সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, শাহজালালে মোট চারটি স্ক্যানার রয়েছে। তার মধ্যে যুক্তরাজ্য অনুমোদিত দুটির মধ্যে একটি অচল হয়ে আছে দীর্ঘ এক বছর ধরে। আরেকটি দিয়ে কোনক্রমে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছিল। সেটিও অচল প্রায় এক মাস। এতে বাংলাদেশের সবজির সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাজ্যে কৃষিপণ্য পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। স্ক্যানার জটিলতায় এর আগে কয়েক দফায় প্রায় দুই মাস সবজি রপ্তানি বন্ধ থাকে।

ফল ও সবজি রপ্তানিকারকরা বলছেন, ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশ এক হাজার ২৯ কোটি টাকার শাক-সবজি ও ফল রপ্তানি করেছিল। রপ্তানির এই পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু স্ক্যানার জটিলতায় উল্টো রপ্তানি বাজারই হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে শাক-সবজি রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। বাংলাদেশের পণ্য সরবরাহ না থাকায় সেই বাজারটা ওই দুই দেশ দখল করে নিচ্ছে। তাদের বাজার বড় হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্রটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে দৈনিক ১০০ টনের মতো কৃষিপণ্য বিভিন্ন দেশে যায়। এর মধ্যে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশই যায় যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্যে দিনে ৫০ টন ধরে হিসাব করলেও লোকসানের পাল্লাটা অনেক ভারী। প্রতি কেজি পণ্যে গড়ে ৩ ডলার আয় হয়। সে হিসাবে গত এক মাসে ক্ষতির পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।