কক্সবাজারে সেচ প্রকল্প কেন্দ্র করে যুবক খুন

কক্সবাজারে সেচ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে মোর্শেদ আলী (৩৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মোরশেদ আলী পিএমখালী মাইজপাড়ার মৃত মাওলানা ওমর আলীর ছেলে।

চাষাবাদের সরকারি সেচ প্রকল্পের বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছোট ভাই আইনজীবী জাহেদ আলী। তিনি আরও জানান, সরকারি একটি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন মোর্শেদের পরিবার ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু একপর্যায়ে একই এলাকার আব্দুল মালেক সিরাজুল ইসলাম আলাল, মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর কিছু লোকজন জোর করে দখল করে নেয়।

এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। কিছুদিনের মধ্যে ওই সেচ প্রকল্পের নতুন করে ইজারা হওয়ার কথা রয়েছে। ইজারা পাওয়ার জন্য নিহত মোর্শেদ আলীর পরিবার আবেদন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্রতিপক্ষ। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ইফতারের বাজার করার জন্য চেরাংঘর বাজারে গেলে সিরাজুল ইসলাম আলাল, আব্দুল মালেক, মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর অন্তত ২০ জন লোক লোহার রড, ছুরি ও লাঠি নিয়ে মোর্শেদ আলীর উপর হামলা চালায়।

পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় মোর্শেদ আলীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আইসিওতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশের একটি টিম।

হত্যাকারীরা সবাই চিহ্নিত। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর নিহত মোর্শেদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২ , ২৬ চৈত্র ১৪২৮ ০৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

কক্সবাজারে সেচ প্রকল্প কেন্দ্র করে যুবক খুন

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারে সেচ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে মোর্শেদ আলী (৩৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মোরশেদ আলী পিএমখালী মাইজপাড়ার মৃত মাওলানা ওমর আলীর ছেলে।

চাষাবাদের সরকারি সেচ প্রকল্পের বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ছোট ভাই আইনজীবী জাহেদ আলী। তিনি আরও জানান, সরকারি একটি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন মোর্শেদের পরিবার ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু একপর্যায়ে একই এলাকার আব্দুল মালেক সিরাজুল ইসলাম আলাল, মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর কিছু লোকজন জোর করে দখল করে নেয়।

এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। কিছুদিনের মধ্যে ওই সেচ প্রকল্পের নতুন করে ইজারা হওয়ার কথা রয়েছে। ইজারা পাওয়ার জন্য নিহত মোর্শেদ আলীর পরিবার আবেদন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্রতিপক্ষ। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ইফতারের বাজার করার জন্য চেরাংঘর বাজারে গেলে সিরাজুল ইসলাম আলাল, আব্দুল মালেক, মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর অন্তত ২০ জন লোক লোহার রড, ছুরি ও লাঠি নিয়ে মোর্শেদ আলীর উপর হামলা চালায়।

পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় মোর্শেদ আলীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আইসিওতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশের একটি টিম।

হত্যাকারীরা সবাই চিহ্নিত। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর নিহত মোর্শেদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।