ডুবছে হাওর, কাঁদছে কৃষক

পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসল

সুনামগঞ্জ জেলার ছোট-বড় শতাধিক হাওরের মধ্যে ১৫ টিতেই সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে পানি। ভাঙছে বাঁধ ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে আনুমানিক ৭ হাজার হেক্টর বোরো ফসল। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১২টি বাঁধ ভেঙে ৪৩৫০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সময় মতো বাঁধের কাজ শেষ না করা, অর্থ ছাড় না করা, প্রকৃত কৃষকদের পিআইসির অন্তর্ভুক্ত না করার ফলেই দুর্বল বাঁধের কাজ হওয়ায় প্রথম ধাক্কায় বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে কৃষকদের স্বপ্ন সাধ চুরমার হয়ে গেছে, এমন অভিযোগ সুনামগঞ্জবাসীর।

সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল হারিয়ে কৃষকরা বোবা কান্না করছেন। কারণ তাদের চোখের সামনেই রক্ত ঘামে ফলানো সোনার ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে, কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না। অনেক কৃষক বাঁধের কাজ করতে গিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বাঁধের পাশেই। বাঁধের কাছাকাছি পানি আসলে বা বাঁধ ভাঙার উপক্রম হলে গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিলে শত শত নারী পুরুষ ও বাচ্চারা বাঁধ রক্ষার জন্য প্রাণপন লড়াই করছে। গত কয়দিন হাওরের এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের গ্রাম জয়পুরের কৃষক কপিল নুর বলেন, একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে চিন্তার শেষ নেই, বাচ্চা-কাচচা নিয়ে কিভাবে বাকি দিন কাটাব খেয়ে পরে বাঁচব।

জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর কামলাবাজ গ্রামের কৃষক নুর আলী। তার জমি রয়েছে হালির

হাওরে। ৭ কিয়ার জমি চাষাবাদ করেছেন এতে উৎপাদন খরচ পড়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বৌলাই নদীর তীরে ছাপড়া তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করছেন, কারণ হাওরের গইননা ভাঙা বাঁধ ও শনির হাওরের নান্টু খালির ক্লোজার হুমকির সম্মুখীন ছিল। এখন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনও ও কৃষকদের চেষ্টার পর ভালোই আছে। বরাম হাওর পাড়ের কৃষক শহীদুল ইসলাম, সত্যের বাদশা, আতাউর ও কেরামত আলী জানান, বছরে একটি ফসল ঘরে তোলার জন্য আমরা খুব পরিশ্রম করি, অর্থ খরচ করি কিন্তু ধান কাটার আগ মুহূর্তে পাহাড়ি ঢলে সব ল-ভ- হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সরকারের স্থায়ী সমাধান করারও দাবি জানান কৃষকরা।

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রাম সিংহপুর গ্রামের কৃষক আইকুল মিয়া জানান, বাঘমারা বাঁধ হুমকিতে ছিল, সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় এখন ঝুঁকিমুক্ত। দিরাই উপজেলার সর মঙ্গল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষক আ. ছাত্তার জানান, যখন পানি আসে তখন সবাই দৌড়াদৌড়ি করে, এভাবে যদি আগে করত তাহলে আমাদের বিপদ হতো না। তিনি আরও বলেন, চাপতির হাওরের বৈশাখী বাঁধ ভাঙার ফলে ৬ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে । তাড়ল ও জগদল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন সাধ ভেঙে গেছে। যাদের কারণে বাঁধের এই অবস্থা তাদের শাস্তি দাবি করেন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়া রং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফুল মিয়া বলেন, পানির প্রথম ধাক্কা সামলাতে পারে না তাহলে কোটি কোটি টাকা খরছ করে এমন বাঁধের কি দরকার।

কমিউনিস্ট পার্টির নেতা চিত্ত রঞ্জন তালুকদার বলেন, প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে পিআইসি গঠন করার জন্য দুর্বল বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। যারা বাঁধের কাজ করে এরা বাঁধ ব্যবসায়ী। এদের কবল থেকে কৃষকদের বাঁচাতে হবে।

ডুবে যাওয়া দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের কৃষক নুরুল আমিন বলেন, ৩০ কিয়ার জমিতে অনেক টাকা খরচ করে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে চাষাবাদ করি কিন্তু ধান কাটার আগেই ফসল তলিয়ে গেছে এখন ব্যাংক লোন কিভাবে পরিশোধ করব আর সংসার কিভাবে চালাব ভেবে পাচ্ছি না। ধর্ম পাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ জানান, এমন এক দায়িত্ব ছাড়া লোককে পিআইসির কমিটির সদস্য করা হয়েছে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য ফোন দিয়েও আনা সম্ভব হয় না। যুবনেতা আসাদুজ্জামান সেন্টু বলেন, বাঁধের কাজ ও সংস্কারের জন্য শুধু কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ দিলে চলবে না নীতিমালা মানতে হবে। বাঁধের গোড়া থেকে গর্ত করে মাটি তোলা বন্ধ করতে হবে। ৯০ ভাগ বাঁধের পাশে গর্ত করে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করার ফলে বাঁধ দুর্বল হয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়। দিরাই উপজেলার বাসিন্দা শাহজাহান চৌধুরীর মতে দিরাই চাতল থেকে কালিয়ার কাপন পর্যন্ত এবছর বাঁধের কাজ না করার ফলে চাপতির হাওরে পানি প্রবেশ করে ফসলহানি হয়েছে। প্রতিবছর এখানে বাঁধের কাজ হয়। এই হাওরেই ১৮ হাজার কৃষক পরিবারের সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমি আছে। রাজনীতিবিদ সিরাজুর রহমান সিরাজ বলেন, সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের আহসান মারা ব্রিজের পাশের বাঁধ খুব দুর্বল। হুমকির মুখে থাকায় এলাকার মানুষ কাজ করে বাঁধ রক্ষা করে।

আর না হয় বাঁধ ভেঙে দেখার হাওরের শত শত একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতো। সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, পিআইসি গঠনে শুরু থেকেই অনিয়ম দুর্নীতির কারণেই বাঁধের কাজ দুর্বল। প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোক দিয়ে পিআইসির মাধ্যমেই সরকারের টাকা লোপাট করা হয়েছে। অধিকাংশ বাঁধ নির্মাণের জন্য বালু ও কাদা মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্লোজারগুলো ও ঠিকমতো কাজ হয়নি। তাই প্রথম ধাক্কায় বাঁধের এই সর্বনাশ।

সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ৪২টি হাওরে ৭২৭টি পিআইসি ১৩৫টি ক্লোজারসহ মোট ৫৩২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের ও সংস্কারের জন্য সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ১২১ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করে। বাঁধের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ার পর আর ও ১০ দিন সময় বৃদ্ধি করার পর ও কাজ শেষ হয়নি। এরই মধ্যেই সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল এসে ফসল রক্ষা বাঁধের সর্বনাশ করে সুনামগঞ্জবাসীকে চরম উদ্বিগ্ন করে।

শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২ , ২৬ চৈত্র ১৪২৮ ০৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

ডুবছে হাওর, কাঁদছে কৃষক

পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ফসল

লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ

image

বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা হাওরবাসীর -সংবাদ

সুনামগঞ্জ জেলার ছোট-বড় শতাধিক হাওরের মধ্যে ১৫ টিতেই সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে পানি। ভাঙছে বাঁধ ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে আনুমানিক ৭ হাজার হেক্টর বোরো ফসল। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১২টি বাঁধ ভেঙে ৪৩৫০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সময় মতো বাঁধের কাজ শেষ না করা, অর্থ ছাড় না করা, প্রকৃত কৃষকদের পিআইসির অন্তর্ভুক্ত না করার ফলেই দুর্বল বাঁধের কাজ হওয়ায় প্রথম ধাক্কায় বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে কৃষকদের স্বপ্ন সাধ চুরমার হয়ে গেছে, এমন অভিযোগ সুনামগঞ্জবাসীর।

সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল হারিয়ে কৃষকরা বোবা কান্না করছেন। কারণ তাদের চোখের সামনেই রক্ত ঘামে ফলানো সোনার ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে, কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না। অনেক কৃষক বাঁধের কাজ করতে গিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বাঁধের পাশেই। বাঁধের কাছাকাছি পানি আসলে বা বাঁধ ভাঙার উপক্রম হলে গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিলে শত শত নারী পুরুষ ও বাচ্চারা বাঁধ রক্ষার জন্য প্রাণপন লড়াই করছে। গত কয়দিন হাওরের এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের গ্রাম জয়পুরের কৃষক কপিল নুর বলেন, একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে চিন্তার শেষ নেই, বাচ্চা-কাচচা নিয়ে কিভাবে বাকি দিন কাটাব খেয়ে পরে বাঁচব।

জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর কামলাবাজ গ্রামের কৃষক নুর আলী। তার জমি রয়েছে হালির

হাওরে। ৭ কিয়ার জমি চাষাবাদ করেছেন এতে উৎপাদন খরচ পড়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বৌলাই নদীর তীরে ছাপড়া তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাস করছেন, কারণ হাওরের গইননা ভাঙা বাঁধ ও শনির হাওরের নান্টু খালির ক্লোজার হুমকির সম্মুখীন ছিল। এখন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনও ও কৃষকদের চেষ্টার পর ভালোই আছে। বরাম হাওর পাড়ের কৃষক শহীদুল ইসলাম, সত্যের বাদশা, আতাউর ও কেরামত আলী জানান, বছরে একটি ফসল ঘরে তোলার জন্য আমরা খুব পরিশ্রম করি, অর্থ খরচ করি কিন্তু ধান কাটার আগ মুহূর্তে পাহাড়ি ঢলে সব ল-ভ- হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সরকারের স্থায়ী সমাধান করারও দাবি জানান কৃষকরা।

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রাম সিংহপুর গ্রামের কৃষক আইকুল মিয়া জানান, বাঘমারা বাঁধ হুমকিতে ছিল, সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় এখন ঝুঁকিমুক্ত। দিরাই উপজেলার সর মঙ্গল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষক আ. ছাত্তার জানান, যখন পানি আসে তখন সবাই দৌড়াদৌড়ি করে, এভাবে যদি আগে করত তাহলে আমাদের বিপদ হতো না। তিনি আরও বলেন, চাপতির হাওরের বৈশাখী বাঁধ ভাঙার ফলে ৬ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে । তাড়ল ও জগদল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন সাধ ভেঙে গেছে। যাদের কারণে বাঁধের এই অবস্থা তাদের শাস্তি দাবি করেন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়া রং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফুল মিয়া বলেন, পানির প্রথম ধাক্কা সামলাতে পারে না তাহলে কোটি কোটি টাকা খরছ করে এমন বাঁধের কি দরকার।

কমিউনিস্ট পার্টির নেতা চিত্ত রঞ্জন তালুকদার বলেন, প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে পিআইসি গঠন করার জন্য দুর্বল বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। যারা বাঁধের কাজ করে এরা বাঁধ ব্যবসায়ী। এদের কবল থেকে কৃষকদের বাঁচাতে হবে।

ডুবে যাওয়া দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের কৃষক নুরুল আমিন বলেন, ৩০ কিয়ার জমিতে অনেক টাকা খরচ করে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে চাষাবাদ করি কিন্তু ধান কাটার আগেই ফসল তলিয়ে গেছে এখন ব্যাংক লোন কিভাবে পরিশোধ করব আর সংসার কিভাবে চালাব ভেবে পাচ্ছি না। ধর্ম পাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ জানান, এমন এক দায়িত্ব ছাড়া লোককে পিআইসির কমিটির সদস্য করা হয়েছে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য ফোন দিয়েও আনা সম্ভব হয় না। যুবনেতা আসাদুজ্জামান সেন্টু বলেন, বাঁধের কাজ ও সংস্কারের জন্য শুধু কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ দিলে চলবে না নীতিমালা মানতে হবে। বাঁধের গোড়া থেকে গর্ত করে মাটি তোলা বন্ধ করতে হবে। ৯০ ভাগ বাঁধের পাশে গর্ত করে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করার ফলে বাঁধ দুর্বল হয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়। দিরাই উপজেলার বাসিন্দা শাহজাহান চৌধুরীর মতে দিরাই চাতল থেকে কালিয়ার কাপন পর্যন্ত এবছর বাঁধের কাজ না করার ফলে চাপতির হাওরে পানি প্রবেশ করে ফসলহানি হয়েছে। প্রতিবছর এখানে বাঁধের কাজ হয়। এই হাওরেই ১৮ হাজার কৃষক পরিবারের সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমি আছে। রাজনীতিবিদ সিরাজুর রহমান সিরাজ বলেন, সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের আহসান মারা ব্রিজের পাশের বাঁধ খুব দুর্বল। হুমকির মুখে থাকায় এলাকার মানুষ কাজ করে বাঁধ রক্ষা করে।

আর না হয় বাঁধ ভেঙে দেখার হাওরের শত শত একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতো। সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, পিআইসি গঠনে শুরু থেকেই অনিয়ম দুর্নীতির কারণেই বাঁধের কাজ দুর্বল। প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোক দিয়ে পিআইসির মাধ্যমেই সরকারের টাকা লোপাট করা হয়েছে। অধিকাংশ বাঁধ নির্মাণের জন্য বালু ও কাদা মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্লোজারগুলো ও ঠিকমতো কাজ হয়নি। তাই প্রথম ধাক্কায় বাঁধের এই সর্বনাশ।

সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ৪২টি হাওরে ৭২৭টি পিআইসি ১৩৫টি ক্লোজারসহ মোট ৫৩২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের ও সংস্কারের জন্য সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ১২১ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করে। বাঁধের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ার পর আর ও ১০ দিন সময় বৃদ্ধি করার পর ও কাজ শেষ হয়নি। এরই মধ্যেই সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল এসে ফসল রক্ষা বাঁধের সর্বনাশ করে সুনামগঞ্জবাসীকে চরম উদ্বিগ্ন করে।