নির্বাচনে কাউকে আনা, না আনা সরকারের দায়িত্ব না ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে- জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আর এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারও কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করেনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এই অপরাজনীতির কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নসাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- বিদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোন প্রভু নেই। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধুর

নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়। দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন মনোভাব পোষণ করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশি জীবন-যাপন করছে। এমনকি কোন কোন দেশের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতারা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়।

সেতুমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতারা স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যেকোন উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।

আওয়ামী লীগ যেকোন উপায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানান সেতুমন্ত্রী।

শনিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২২ , ২৬ চৈত্র ১৪২৮ ০৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

নির্বাচনে কাউকে আনা, না আনা সরকারের দায়িত্ব না ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে- জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আর এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারও কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করেনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এই অপরাজনীতির কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নসাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- বিদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোন প্রভু নেই। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধুর

নির্দেশিত এই পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়। দেশের মানুষের কল্যাণ কিংবা দেশের স্বার্থ রক্ষায় আপোষহীন মনোভাব পোষণ করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশি জীবন-যাপন করছে। এমনকি কোন কোন দেশের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় তাদের দূতাবাস খোলার আগেই বিএনপি নেতারা ফুল ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়।

সেতুমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতারা স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজশে যেকোন উপায়ে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।

আওয়ামী লীগ যেকোন উপায়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানান সেতুমন্ত্রী।