রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি, রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি

করোনা মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি রপ্তানি। আর এতে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান বা বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। এই পরিমাণ ঘাটতি আগে কখনো দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি ৭০ লাখ (৫৪.৩৭ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই আট মাসে ৩ হাজার ৭০৬ কোটি ৭০ লাখ (৩৭.০৬ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩ হাজার ২০৭ কোটি ১০ লাখ (৩২.০৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। এ হিসাবেই অর্থবছরের আট মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

পণ্য বাণিজ্য ছাড়াও চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩০ কোটি ৬০ লাখ (২২.৩০ বিলিয়ন) ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। আর জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আর পুরো অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল ২ হাজার ২৮০ কোটি লাখ (২.৮০ বিলিয়ন) ডলার।

এর আগে আট মাসে এত বিশাল অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতির মুখে কখনই পড়েনি বাংলাদেশ। আর এর ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ১২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন (১ হাজার ২৮৩ কোটি)। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫০ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ১৭৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।

২০২১-২২ অর্থবছর শুরুই হয়েছিল লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি নিয়ে। দিন যত যাচ্ছে, ঘাটতি ততই বাড়ছে। প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৩১ কোটি ৪০ লাখ (২.৩১ বিলিয়ন) ডলার। চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে তা আরও বেড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সবশেষ জানুয়ারি শেষে ১০ দশমিক শূন্য ১৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। ফেব্রুয়ারি শেষে তা ১২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এর আগে কোন অর্থবছরেও এত ঘাটতিতে পড়েনি বাংলাদেশ। করোনা মহামারীর কারণে আমদানি কমায় ৯২৭ কোটি ৪০ লাখ (৯.২৭ বিলিয়ন) ডলারের বড় উদ্বৃত্ত নিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছর শেষ হয়েছিল। তার আগের বছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

তবে আর্থিক হিসাবে এখনও বড় উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এই উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩ কোটি ১০ লাখ (১০.৯৩ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের এই সময়ে ৬৪৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের আট মাসে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ৫৯০ কোটি (৫.৯ বিলিয়ন) ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই আট মাসে ৩৭৩ কোটি ৬২ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সামগ্রিক লেনেদেনে (ওভারঅল ব্যালেন্স) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ২০ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে এই সূচকে ৬৮৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি (১৩.৪৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ১৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৬০ ডলার। বৃহস্পতিবার সেই তেল ১০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এর দর ১৩৯ ডলারে উঠে গিয়েছিল। গত আট মাসে জ্বালানি তেল আমদানিতে খরচ বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ।

রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২ , ২৭ চৈত্র ১৪২৮ ০৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি, রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

করোনা মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি রপ্তানি। আর এতে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান বা বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। এই পরিমাণ ঘাটতি আগে কখনো দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি ৭০ লাখ (৫৪.৩৭ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই আট মাসে ৩ হাজার ৭০৬ কোটি ৭০ লাখ (৩৭.০৬ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩ হাজার ২০৭ কোটি ১০ লাখ (৩২.০৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। এ হিসাবেই অর্থবছরের আট মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

পণ্য বাণিজ্য ছাড়াও চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩০ কোটি ৬০ লাখ (২২.৩০ বিলিয়ন) ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। আর জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই আট মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আর পুরো অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল ২ হাজার ২৮০ কোটি লাখ (২.৮০ বিলিয়ন) ডলার।

এর আগে আট মাসে এত বিশাল অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতির মুখে কখনই পড়েনি বাংলাদেশ। আর এর ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) বড় ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ১২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন (১ হাজার ২৮৩ কোটি)। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫০ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ১৭৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।

২০২১-২২ অর্থবছর শুরুই হয়েছিল লেনদেনের ভারসাম্যে ঘাটতি নিয়ে। দিন যত যাচ্ছে, ঘাটতি ততই বাড়ছে। প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৩১ কোটি ৪০ লাখ (২.৩১ বিলিয়ন) ডলার। চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে তা আরও বেড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সবশেষ জানুয়ারি শেষে ১০ দশমিক শূন্য ১৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। ফেব্রুয়ারি শেষে তা ১২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এর আগে কোন অর্থবছরেও এত ঘাটতিতে পড়েনি বাংলাদেশ। করোনা মহামারীর কারণে আমদানি কমায় ৯২৭ কোটি ৪০ লাখ (৯.২৭ বিলিয়ন) ডলারের বড় উদ্বৃত্ত নিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছর শেষ হয়েছিল। তার আগের বছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

তবে আর্থিক হিসাবে এখনও বড় উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এই উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩ কোটি ১০ লাখ (১০.৯৩ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরের এই সময়ে ৬৪৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের আট মাসে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ৫৯০ কোটি (৫.৯ বিলিয়ন) ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই আট মাসে ৩৭৩ কোটি ৬২ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সামগ্রিক লেনেদেনে (ওভারঅল ব্যালেন্স) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ২০ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে এই সূচকে ৬৮৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি (১৩.৪৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ১৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৬০ ডলার। বৃহস্পতিবার সেই তেল ১০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এর দর ১৩৯ ডলারে উঠে গিয়েছিল। গত আট মাসে জ্বালানি তেল আমদানিতে খরচ বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ।