টিপ কাণ্ডের ঘটনায় সত্যতা মিলেছে ডিএমপি কমিশনার

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কলেজ শিক্ষিকাকে টিপ নিয়ে কটূক্তি এবং ইভটিজিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। গতকাল শনিবার তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পাওয়া গেছে মর্মে তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। অভিযুক্ত প্রটেকশন বিভাগের কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। তাকে শোকজ করা হবে। এজন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন তাই করা হবে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেক এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেননি। টিপ নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি বলে তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করেন। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিয়েছে শিক্ষিকার সঙ্গে উচ্চবাচ্য হয়েছে। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে আপত্তিকর কোন কিছু বলে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত হলো, রিপোর্ট পাওয়া গেল, এখন পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, ‘হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।’

পরবর্তীতে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার দুদিন পর ৪ এপ্রিল তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত নাজমুল তারেককে শনাক্ত করে। এ ঘটনা প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২ , ২৭ চৈত্র ১৪২৮ ০৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

টিপ কাণ্ডের ঘটনায় সত্যতা মিলেছে ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কলেজ শিক্ষিকাকে টিপ নিয়ে কটূক্তি এবং ইভটিজিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। গতকাল শনিবার তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পাওয়া গেছে মর্মে তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। অভিযুক্ত প্রটেকশন বিভাগের কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। তাকে শোকজ করা হবে। এজন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন তাই করা হবে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেক এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেননি। টিপ নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি বলে তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করেন। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিয়েছে শিক্ষিকার সঙ্গে উচ্চবাচ্য হয়েছে। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে আপত্তিকর কোন কিছু বলে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত হলো, রিপোর্ট পাওয়া গেল, এখন পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, ‘হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।’

পরবর্তীতে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার দুদিন পর ৪ এপ্রিল তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত নাজমুল তারেককে শনাক্ত করে। এ ঘটনা প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।