পদ্মা সেতু : প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে উদ্বোধন

জুনেই শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ। তবে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুর উদ্বোধন নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি যখন সময় দিবেন তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘চলতি মাসেই সেতুর কার্পেটিং কাজ শেষ হবে। আমাদের টার্গেট অনুযায়ী জুনের মধ্যে সেতুর পুরো কাজ শেষ করা হবে। তবে উদ্বোধনের বিষয়টি আমাদের হাতে নয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি যখন সময় দিবেন তখন সেতু উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেয়া হবে।’

এ পর্যন্ত সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৭ ভাগ, নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ। মূল সেতুর কার্পেটিং কাজের অগ্রগতি শতকরা ৬৫ দশমিক ৬৮ ভাগ। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৯ ভাগ এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৭৯ ভাগ। এছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক ও অন্যান্য কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুতে রেল সংযোগের কাজের জন্য আগামী জুলাইতে রেলওয়ের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

তবে ‘পদ্মা সেতু কবে চালু হবে’ নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

গত বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।’

এর আগে গত রোববার সেতু বিভাগের এক সভায় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে’।

তাই পদ্মা সেতু কবে চালু হবে জুনে না ডিসেম্বরে। এ নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতুর পুরো কাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে। শুধু আর্কিটেকচারাল লাইটিং (স্থাপত্য আলো) স্থাপনসহ কিছু ফিনিসিং কাজ বাকি থাকতে পারে। এছাড়া রেল সংযোগের জন্য আগামী জুলাইতে শুরু হবে। রেলওয়ে কাজ শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

তাই ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইনের কাজ এবছর ডিসেম্বরে শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলেই জুনে উদ্বোধন করতে পারবেন। অথবা রেলওয়ের কাজ শেষে আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধন করতে পারেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এটি অর্থবছরের হিসাবে বলা হয়েছে। যেটি শেষ হবে জুনে।’ এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মালামাল আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সেতুর উদ্বোধন পেছাতে পারে বলেছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তবে প্রকল্প সূত্র জানায়, যুদ্ধের কারণে কোন মালামাল আমদানি আটকে নেই। শুধু সেতুর অ্যালমুনিয়াম গার্ড রেল ওভার প্যারাপিট (রেলিং) দেশে আসা বাকি ছিল। রেলিং ছাড়া পদ্মা সেতুর আর কোন মালামাল আমদানি বাকি নেই। যুক্তরাজ্যের ডিঅ্যান্ডজি কোম্পানি নির্মিত রেলিং গত মার্চে দেশে আনার পরিকল্পনা ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জাহাজ পাওয়া যায়নি। এক মাস বিলম্ব হয়েছে এতে। গত ২৬ মার্চ ৭৫ শতাংশ রেলিং নিয়ে জাহাজ যুক্তরাজ্য থেকে রওনা করেছে। ১৫ মে এটি চট্টগ্রামে পেঁঁৗঁছবে। বাকি ২৫ শতাংশ রেলিং ২২ এপ্রিল কার্গো বিমানে আনা হবে। চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাস্টম ছাড়ের ফলে ২০ মের মধ্যে মাওয়ায় আসবে রেলিং। মে মাসে মধ্যেই তা সেতুতে স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর দুই পাশে সাড়ে ১২ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হবে তিন ফুট উঁচু দেয়ালের উপর। সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্টের উপর আরও ছয় দশমিক এক কিলোমিটর রেলিং স্থাপন করা হবে। সব মিলিয়ে রেলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। শুরুতে ২০০৭ সালে রেলপথ ছাড়া একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে রেলপথ যুক্ত করে প্রথম দফায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হয় দ্বিগুণের বেশি। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তৃতীয় দফায় ২০১৮ সালে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণের টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এক শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় ধরা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ পিয়ারের পাইলিং সমস্যা ও নতুন ডিজাইন চূড়ান্ত করতে অনেক সময় চলে যায়। তাই নির্মাণ সময় এক বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়। পরে আবার এক বছর ৬ মাস মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু করোনা ও নদী ভাঙনের কারণে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কম হওয়ায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২ , ২৭ চৈত্র ১৪২৮ ০৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

পদ্মা সেতু : প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে উদ্বোধন

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

image

জুনেই শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ। তবে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুর উদ্বোধন নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি যখন সময় দিবেন তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘চলতি মাসেই সেতুর কার্পেটিং কাজ শেষ হবে। আমাদের টার্গেট অনুযায়ী জুনের মধ্যে সেতুর পুরো কাজ শেষ করা হবে। তবে উদ্বোধনের বিষয়টি আমাদের হাতে নয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তিনি যখন সময় দিবেন তখন সেতু উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেয়া হবে।’

এ পর্যন্ত সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৭ ভাগ, নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি শতকরা ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ। মূল সেতুর কার্পেটিং কাজের অগ্রগতি শতকরা ৬৫ দশমিক ৬৮ ভাগ। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৯ ভাগ এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৭৯ ভাগ। এছাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক ও অন্যান্য কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুতে রেল সংযোগের কাজের জন্য আগামী জুলাইতে রেলওয়ের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

তবে ‘পদ্মা সেতু কবে চালু হবে’ নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

গত বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।’

এর আগে গত রোববার সেতু বিভাগের এক সভায় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে’।

তাই পদ্মা সেতু কবে চালু হবে জুনে না ডিসেম্বরে। এ নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতুর পুরো কাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে। শুধু আর্কিটেকচারাল লাইটিং (স্থাপত্য আলো) স্থাপনসহ কিছু ফিনিসিং কাজ বাকি থাকতে পারে। এছাড়া রেল সংযোগের জন্য আগামী জুলাইতে শুরু হবে। রেলওয়ে কাজ শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

তাই ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইনের কাজ এবছর ডিসেম্বরে শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলেই জুনে উদ্বোধন করতে পারবেন। অথবা রেলওয়ের কাজ শেষে আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধন করতে পারেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এটি অর্থবছরের হিসাবে বলা হয়েছে। যেটি শেষ হবে জুনে।’ এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মালামাল আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সেতুর উদ্বোধন পেছাতে পারে বলেছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তবে প্রকল্প সূত্র জানায়, যুদ্ধের কারণে কোন মালামাল আমদানি আটকে নেই। শুধু সেতুর অ্যালমুনিয়াম গার্ড রেল ওভার প্যারাপিট (রেলিং) দেশে আসা বাকি ছিল। রেলিং ছাড়া পদ্মা সেতুর আর কোন মালামাল আমদানি বাকি নেই। যুক্তরাজ্যের ডিঅ্যান্ডজি কোম্পানি নির্মিত রেলিং গত মার্চে দেশে আনার পরিকল্পনা ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জাহাজ পাওয়া যায়নি। এক মাস বিলম্ব হয়েছে এতে। গত ২৬ মার্চ ৭৫ শতাংশ রেলিং নিয়ে জাহাজ যুক্তরাজ্য থেকে রওনা করেছে। ১৫ মে এটি চট্টগ্রামে পেঁঁৗঁছবে। বাকি ২৫ শতাংশ রেলিং ২২ এপ্রিল কার্গো বিমানে আনা হবে। চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কাস্টম ছাড়ের ফলে ২০ মের মধ্যে মাওয়ায় আসবে রেলিং। মে মাসে মধ্যেই তা সেতুতে স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর দুই পাশে সাড়ে ১২ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হবে তিন ফুট উঁচু দেয়ালের উপর। সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্টের উপর আরও ছয় দশমিক এক কিলোমিটর রেলিং স্থাপন করা হবে। সব মিলিয়ে রেলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। শুরুতে ২০০৭ সালে রেলপথ ছাড়া একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে রেলপথ যুক্ত করে প্রথম দফায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হয় দ্বিগুণের বেশি। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তৃতীয় দফায় ২০১৮ সালে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণের টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এক শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় ধরা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪ পিয়ারের পাইলিং সমস্যা ও নতুন ডিজাইন চূড়ান্ত করতে অনেক সময় চলে যায়। তাই নির্মাণ সময় এক বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়। পরে আবার এক বছর ৬ মাস মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু করোনা ও নদী ভাঙনের কারণে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কম হওয়ায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।