চৌগাছায় দুই ভাইকে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত

যশোরের চৌগাছায় পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে প্রস্তুতি নিয়ে মুকুল, বিপুল, বিল্লাল, তাদের স্ত্রী, তাদের বাবা আফজাল খান ও মা রিজিয়া বেগম মিলে আয়ূব আলী খান (৬০), তার ভাই ইউনুছ আলী খানকে (৫৫) চাপাতি ও হাসুয়া দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

আয়ূব আলী খান ও ইউনুছ আলী খান উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের টেঙ্গুরপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহমান খানের ছেলে। হামলায় আয়ূব আলী খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান রনি (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যাকা-ে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর সর্দার ব্রিকসের বিপরীতে মুকুল হোসেনের চায়ের দোকানের পাশে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, টেঙ্গুরপুর গ্রামের গ্রামের আফজাল খানের ছেলে বিল্লাল, বিপুল ও মুকুলরা আয়ূব হোসেন ও ইউনূছ আলীদের কাঠগোলা ও খেতে কাজ করতো। হঠাৎ কাজে যেতে না চাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে মুকুলের চায়ের দোকানে আয়ূব খানের সঙ্গে বিপুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিপুল আইয়ূব খানকে ঘুষি মারে। তখন আয়ূব খান বাড়িতে গিয়ে ছোটভাই ইউনূছ ও ভাইপো আসাদুজ্জামান ডেকে নিয়ে আসে। তারা তিনজনই মুকুলের ওই চায়ের দোকানে গিয়ে অপমান করার কারণ জানতে চান। এ সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকা মুকুল, বিপুল, বিল্লাল, তাদের স্ত্রীরা এবং তাদের বাবা আফজাল খান ও মা রিজিয়া বেগম মিলে আয়ূব খান, তার ভাই ইউনুছ খান এবং ছেলে আসাদুজ্জামান খান রনিকে চাপাতি ও হাসুয়া দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। এতে ইউনূছ খানের দুটি হাত কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পেয়ে মারাত্মক আহত হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা আয়ূব খান ও আসাদুজ্জামান খানকে পুলিশ উদ্ধার

করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ূব হোসেন খানের মৃত্যু হয়। মাথায়, কাঁধে ও হাতে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হত্যাকা-ে জড়িত অভিযোগে পুলিশ গত শুক্রবার বিপুল খান (৪০), তার ভাই মুকুল খান (৩৫), বিপুলের স্ত্রী বিলকিস (৩৫) এবং মা রিজিয়া বেগমকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র একটি চাপাতি ও একটি হাসুয়া দা।

চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ঘটনায় জড়িত বিপুল ও মুকুলসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২ , ২৭ চৈত্র ১৪২৮ ০৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

চৌগাছায় দুই ভাইকে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত

যশোর অফিস

যশোরের চৌগাছায় পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে প্রস্তুতি নিয়ে মুকুল, বিপুল, বিল্লাল, তাদের স্ত্রী, তাদের বাবা আফজাল খান ও মা রিজিয়া বেগম মিলে আয়ূব আলী খান (৬০), তার ভাই ইউনুছ আলী খানকে (৫৫) চাপাতি ও হাসুয়া দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

আয়ূব আলী খান ও ইউনুছ আলী খান উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের টেঙ্গুরপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহমান খানের ছেলে। হামলায় আয়ূব আলী খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান রনি (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যাকা-ে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর সর্দার ব্রিকসের বিপরীতে মুকুল হোসেনের চায়ের দোকানের পাশে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, টেঙ্গুরপুর গ্রামের গ্রামের আফজাল খানের ছেলে বিল্লাল, বিপুল ও মুকুলরা আয়ূব হোসেন ও ইউনূছ আলীদের কাঠগোলা ও খেতে কাজ করতো। হঠাৎ কাজে যেতে না চাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে মুকুলের চায়ের দোকানে আয়ূব খানের সঙ্গে বিপুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিপুল আইয়ূব খানকে ঘুষি মারে। তখন আয়ূব খান বাড়িতে গিয়ে ছোটভাই ইউনূছ ও ভাইপো আসাদুজ্জামান ডেকে নিয়ে আসে। তারা তিনজনই মুকুলের ওই চায়ের দোকানে গিয়ে অপমান করার কারণ জানতে চান। এ সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকা মুকুল, বিপুল, বিল্লাল, তাদের স্ত্রীরা এবং তাদের বাবা আফজাল খান ও মা রিজিয়া বেগম মিলে আয়ূব খান, তার ভাই ইউনুছ খান এবং ছেলে আসাদুজ্জামান খান রনিকে চাপাতি ও হাসুয়া দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। এতে ইউনূছ খানের দুটি হাত কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পেয়ে মারাত্মক আহত হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা আয়ূব খান ও আসাদুজ্জামান খানকে পুলিশ উদ্ধার

করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ূব হোসেন খানের মৃত্যু হয়। মাথায়, কাঁধে ও হাতে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হত্যাকা-ে জড়িত অভিযোগে পুলিশ গত শুক্রবার বিপুল খান (৪০), তার ভাই মুকুল খান (৩৫), বিপুলের স্ত্রী বিলকিস (৩৫) এবং মা রিজিয়া বেগমকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র একটি চাপাতি ও একটি হাসুয়া দা।

চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ঘটনায় জড়িত বিপুল ও মুকুলসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।