ঘিওরে তুচ্ছ ঘটনায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা, ২ আসামি আটক

মানিকগঞ্জের ঘিওরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই নারীর মরদেহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নূরজাহান বেগম (৬২) উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের সাইলকাই গ্রামের আইয়ুব খানের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরি আবাসন এলাকায়।

এ ব্যাপারে গতকাল দুপুরে নিহতের ছেলে মো. সাদ্দাম খান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামালার আসামি বাইলজুরী চক পাড়া থেকে মো. হোসেন আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে আটক করেছে ঘিওর থানা পুলিশ।

ঘিওর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নূরজাহানের ছেলে সাদ্দাম খান ট্রাক্টর নিয়ে ভুট্টা খেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচ/সাতটি ভুট্টা গাছ ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জমির মালিক নজরুল ইসলাম

এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় সাদ্দামের চিৎকারে তার পিতা মাতাসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে নজরুল মোবাইলে কল দিয়ে আবাসন এলাকার লোকজন ডেকে আনে। পরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে নূরজাহান, আইয়ুব খান মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়। আইয়ুব খানকে ঢাকার হৃদরোগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হলে দুই আসামিকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২ , ২৭ চৈত্র ১৪২৮ ০৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঘিওরে তুচ্ছ ঘটনায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা, ২ আসামি আটক

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের ঘিওরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই নারীর মরদেহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নূরজাহান বেগম (৬২) উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের সাইলকাই গ্রামের আইয়ুব খানের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরি আবাসন এলাকায়।

এ ব্যাপারে গতকাল দুপুরে নিহতের ছেলে মো. সাদ্দাম খান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামালার আসামি বাইলজুরী চক পাড়া থেকে মো. হোসেন আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে আটক করেছে ঘিওর থানা পুলিশ।

ঘিওর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নূরজাহানের ছেলে সাদ্দাম খান ট্রাক্টর নিয়ে ভুট্টা খেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচ/সাতটি ভুট্টা গাছ ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জমির মালিক নজরুল ইসলাম

এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় সাদ্দামের চিৎকারে তার পিতা মাতাসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে নজরুল মোবাইলে কল দিয়ে আবাসন এলাকার লোকজন ডেকে আনে। পরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে নূরজাহান, আইয়ুব খান মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়। আইয়ুব খানকে ঢাকার হৃদরোগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হলে দুই আসামিকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।