লিবিয়ায় ২৮ বাংলাদেশি তরুণ দালালদের হাতে বন্দী

মুক্তিপণের দাবিতে নির্যাতন চালাচ্ছে

নিশ্চিত মৃত্যুঝুঁকি জেনেও উন্নত জীবন ও আর্থিক নিরাপত্তার আশায় অবৈধ পথে ইউরোপে যাত্রা থেমে নেই। শরণার্থী হিসেবে ইউরোপ যেতে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে লিবিয়া। লিবিয়ার উপকূল থেকে ছোট নৌকায় ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করে শরণার্থীরা। কিন্তু মাঝ পথেই নৌকাডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। এর আগে ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয় দালাল চক্রকে। টাকা না দিলে চলে নির্যাতন।

এবার মাদারীপুরের কালকিনির ২৮ তরুণকে আটক করেছে লিবিয়ার দালালেরা। মুক্তিপণের জন্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের জিম্মি করে নির্যাতন চালানো হচ্ছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

ফরহাদ মাতুব্বর জড়িত। এ ঘটনায় টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান গুনে গুনে নিচ্ছেন টাকা।

যদিও চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি টাকা নেয়ার সঙ্গে জড়িত নন। ভুক্তভোগীরা দালালদের টাকা দেয়ার সময় তিনি শুধু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় রাসেল, সরোয়ার, ফারুক নামে বেশ কয়েকজন দালাল জড়িত। যদি কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি মিথ্যা বলছেন।

ভুক্তভোগীদের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার ২৮ তরুণকে অবৈধ পথে ইতালিতে নেয়ার প্রলোভন দেখান ফরহাদ মাতুব্বর। এজন্য প্রত্যেকের সঙ্গে ৯ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী প্রথমে সাড়ে চার লাখ টাকা দিতে হয়। লিবিয়া হয়ে ইতালিতে পৌঁছানোর পর নেয়া হবে বাকি সাড়ে চার লাখ।

চুক্তি অনুসারে টাকা নিয়ে ২৮ তরুণকে দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পাঠানো হয়। কিন্তু লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে চুক্তির বাকি সাড়ে চার লাখ টাকা আদায় করা হয়। টাকা দেয়ার পর তাদের লিবিয়ার দালালদের হাতে তুলে দেয়া হয়। বর্তমানে দালালদের কাছে বন্দী ওই ২৮ তরুণের কাছে আরও ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। তরুণদের অনেকে দালালদের টাকা দিয়েও মুক্তি পাচ্ছেন না।

লিবিয়ায় আটক ২৮ জনের মধ্যে ৭ জনই ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বরের এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন, আদালি ঘরামির ছেলে সোহেল ঘরামি (২২), সালাম বেপারীর ছেলে মেহেদী বেপারী (২০), মোক্তার বেপারীর ছেলে সাগর বেপারী (২০), করিম সরদারের ছেলে বনি সরদার (২১), আলী ঘরামির ছেলে ফয়সাল ঘরামি (২০), সৈকত ঘরামি (২১) ও আমির ঘরামির ছেলে এনামুল ঘরামি (১৯)। এছাড়া উপজেলার জনারদন্দি এলাকার আদেলউদ্দিন সরদারের ছেলে আহাদ সরদার, কবির সরদারের ছেলে হাসান সরদারসহ আরও ১৯ জন তরুণ দালালদের কাছে বন্দী আছেন।

লিবিয়ায় আটক গোপালপুর এলাকার ভ্যানচালক মোক্তার বেপারীর একমাত্র ছেলে সাগর বেপারী। কথা হয় তার মা রেহানা বেগমের সঙ্গে, তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ২২ দিন আগে সর্বশেষ কথা হয়েছে। সে সময় সে বলেছিল, ‘মা, তোমরা আমারে উদ্ধার করো, ওরা আমারে মাইরা ফালাইবে। যা টাকা চায়, ওদের দিয়া দাও।’

সাগরের বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সাগরের মুখে শেষ কথা শোনার পর থেকে আমাগো মাথায় আকাশ ভাইঙ্গা পড়ছে। কিছুই ভালো লাগছে না। চেয়ারম্যানের কাছে আমরা কয়েকজন মিইলা গেছি। চেয়ারম্যান আমাগো লগে দেখা করেন না। কথাও বলেন না। ফোন দিলে ছেলেকে আর পাব না বলে ভয় দেখায়।’

ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন আলী ঘরামি। তিনি বলেন, তার ছেলে ফয়সালের সঙ্গে এক মাস ধরে কোন যোগাযোগ নেই। ছেলের কোন খবর পাচ্ছেন না তারা। চেয়ারম্যান শুধু বলেন, তারা সবাই ভালো আছে। কিন্তু ছেলের সঙ্গে তাদের কথা বলিয়ে দিচ্ছেন না। ‘আমার পোলারে ছাড়াইয়া আনতে আরও ৫ লাখ টাকা পাঠানো লাগবে। আমি এহন এত টাকা কই পামু।’

এ প্রসঙ্গে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এসএম হানিফ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদের মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি শুনেছি। তার মাধ্যমে ২৮ তরুণ লিবিয়ায় গেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন আমার পৌরসভার বাসিন্দা। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত।’

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, ‘রাসেল, সরোয়ার, ফারুক নামের বেশ কয়েকজন দালাল ওই ছেলেদের লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। আমি তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই। এলাকার লোকজন আমাকে জানানোর কারণে টাকা দেয়ার সময় আমি শুধু সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এখন যারা আমার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ করছেন, তাদের সঙ্গে আমি কোন কিছুতে জড়িত নই। তারা মিথ্যা বলছেন।’ ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিও তার নয় বলে দাবি করেন তিনি।

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপংকর তঞ্চ্যাঙ্গা বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তারা সহযোগিতা চাইলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

সন্তানদের জীবনহানির ভয়ে কেউ মামলা করছেন না জানিয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক বলেন, ভুক্তভোগী ২৮ জনের অনেকেই পুলিশের সঙ্গে মানব পাচারের বিষয়টি আলাপ করেছেন। তারা মামলা করতে চান, আবার চান না। মামলা করতে তারা কিছুটা ভয়ও পান। তারা মনে করেন, মামলা হলে তাদের ছেলেকে লিবিয়ার দালালেরা মেরে ফেলবেন। দালালেরাও ভয় দেখান। এটিও সত্য। তবে বিষয়টি পুলিশের নজরদারিতে আছে। ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২ , ২৮ চৈত্র ১৪২৮ ০৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

লিবিয়ায় ২৮ বাংলাদেশি তরুণ দালালদের হাতে বন্দী

মুক্তিপণের দাবিতে নির্যাতন চালাচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

image

লিবিয়ায় দালালদের হাতে জিম্মি সন্তানের নির্যাতনের খবরে শয্যাশায়ী বাবা-সংবাদ

নিশ্চিত মৃত্যুঝুঁকি জেনেও উন্নত জীবন ও আর্থিক নিরাপত্তার আশায় অবৈধ পথে ইউরোপে যাত্রা থেমে নেই। শরণার্থী হিসেবে ইউরোপ যেতে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে লিবিয়া। লিবিয়ার উপকূল থেকে ছোট নৌকায় ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করে শরণার্থীরা। কিন্তু মাঝ পথেই নৌকাডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। এর আগে ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয় দালাল চক্রকে। টাকা না দিলে চলে নির্যাতন।

এবার মাদারীপুরের কালকিনির ২৮ তরুণকে আটক করেছে লিবিয়ার দালালেরা। মুক্তিপণের জন্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের জিম্মি করে নির্যাতন চালানো হচ্ছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

ফরহাদ মাতুব্বর জড়িত। এ ঘটনায় টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান গুনে গুনে নিচ্ছেন টাকা।

যদিও চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি টাকা নেয়ার সঙ্গে জড়িত নন। ভুক্তভোগীরা দালালদের টাকা দেয়ার সময় তিনি শুধু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় রাসেল, সরোয়ার, ফারুক নামে বেশ কয়েকজন দালাল জড়িত। যদি কেউ অভিযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি মিথ্যা বলছেন।

ভুক্তভোগীদের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস আগে উপজেলার ২৮ তরুণকে অবৈধ পথে ইতালিতে নেয়ার প্রলোভন দেখান ফরহাদ মাতুব্বর। এজন্য প্রত্যেকের সঙ্গে ৯ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী প্রথমে সাড়ে চার লাখ টাকা দিতে হয়। লিবিয়া হয়ে ইতালিতে পৌঁছানোর পর নেয়া হবে বাকি সাড়ে চার লাখ।

চুক্তি অনুসারে টাকা নিয়ে ২৮ তরুণকে দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পাঠানো হয়। কিন্তু লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে চুক্তির বাকি সাড়ে চার লাখ টাকা আদায় করা হয়। টাকা দেয়ার পর তাদের লিবিয়ার দালালদের হাতে তুলে দেয়া হয়। বর্তমানে দালালদের কাছে বন্দী ওই ২৮ তরুণের কাছে আরও ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। তরুণদের অনেকে দালালদের টাকা দিয়েও মুক্তি পাচ্ছেন না।

লিবিয়ায় আটক ২৮ জনের মধ্যে ৭ জনই ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বরের এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন, আদালি ঘরামির ছেলে সোহেল ঘরামি (২২), সালাম বেপারীর ছেলে মেহেদী বেপারী (২০), মোক্তার বেপারীর ছেলে সাগর বেপারী (২০), করিম সরদারের ছেলে বনি সরদার (২১), আলী ঘরামির ছেলে ফয়সাল ঘরামি (২০), সৈকত ঘরামি (২১) ও আমির ঘরামির ছেলে এনামুল ঘরামি (১৯)। এছাড়া উপজেলার জনারদন্দি এলাকার আদেলউদ্দিন সরদারের ছেলে আহাদ সরদার, কবির সরদারের ছেলে হাসান সরদারসহ আরও ১৯ জন তরুণ দালালদের কাছে বন্দী আছেন।

লিবিয়ায় আটক গোপালপুর এলাকার ভ্যানচালক মোক্তার বেপারীর একমাত্র ছেলে সাগর বেপারী। কথা হয় তার মা রেহানা বেগমের সঙ্গে, তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ২২ দিন আগে সর্বশেষ কথা হয়েছে। সে সময় সে বলেছিল, ‘মা, তোমরা আমারে উদ্ধার করো, ওরা আমারে মাইরা ফালাইবে। যা টাকা চায়, ওদের দিয়া দাও।’

সাগরের বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সাগরের মুখে শেষ কথা শোনার পর থেকে আমাগো মাথায় আকাশ ভাইঙ্গা পড়ছে। কিছুই ভালো লাগছে না। চেয়ারম্যানের কাছে আমরা কয়েকজন মিইলা গেছি। চেয়ারম্যান আমাগো লগে দেখা করেন না। কথাও বলেন না। ফোন দিলে ছেলেকে আর পাব না বলে ভয় দেখায়।’

ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন আলী ঘরামি। তিনি বলেন, তার ছেলে ফয়সালের সঙ্গে এক মাস ধরে কোন যোগাযোগ নেই। ছেলের কোন খবর পাচ্ছেন না তারা। চেয়ারম্যান শুধু বলেন, তারা সবাই ভালো আছে। কিন্তু ছেলের সঙ্গে তাদের কথা বলিয়ে দিচ্ছেন না। ‘আমার পোলারে ছাড়াইয়া আনতে আরও ৫ লাখ টাকা পাঠানো লাগবে। আমি এহন এত টাকা কই পামু।’

এ প্রসঙ্গে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এসএম হানিফ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদের মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি শুনেছি। তার মাধ্যমে ২৮ তরুণ লিবিয়ায় গেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন আমার পৌরসভার বাসিন্দা। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত।’

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, ‘রাসেল, সরোয়ার, ফারুক নামের বেশ কয়েকজন দালাল ওই ছেলেদের লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। আমি তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই। এলাকার লোকজন আমাকে জানানোর কারণে টাকা দেয়ার সময় আমি শুধু সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এখন যারা আমার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ করছেন, তাদের সঙ্গে আমি কোন কিছুতে জড়িত নই। তারা মিথ্যা বলছেন।’ ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে ভিডিও তার নয় বলে দাবি করেন তিনি।

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপংকর তঞ্চ্যাঙ্গা বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তারা সহযোগিতা চাইলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

সন্তানদের জীবনহানির ভয়ে কেউ মামলা করছেন না জানিয়ে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক বলেন, ভুক্তভোগী ২৮ জনের অনেকেই পুলিশের সঙ্গে মানব পাচারের বিষয়টি আলাপ করেছেন। তারা মামলা করতে চান, আবার চান না। মামলা করতে তারা কিছুটা ভয়ও পান। তারা মনে করেন, মামলা হলে তাদের ছেলেকে লিবিয়ার দালালেরা মেরে ফেলবেন। দালালেরাও ভয় দেখান। এটিও সত্য। তবে বিষয়টি পুলিশের নজরদারিতে আছে। ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।