শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ, ৪ আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরের ডাসারে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তুলে নিয়ে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেতনানাশক খাইয়ে প্রথমে ভিডিও করে ওই শিক্ষার্থীকে চার দিন আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় র‌্যাব। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোটালীপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পলটানা গ্রামের কালু বাড়ৈর ছেলে গোপাল বাড়ৈ (৩০), একই গ্রামের খোকন বাড়ৈর ছেলে অটল বাড়ৈ (২২), প্রতাপ বাড়ৈর ছেলে প্লাবণ বাড়ৈ ও মুশুরিয়া গ্রামের নারায়ণ বালার ছেলে বরুণ বালা (২৩), গতকাল দুপুরে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি

কমান্ডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, গত ২৬ মার্চ রাতে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রাম থেকে পাশের গ্রামের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পীড়ারবাড়ি মন্দিরে গান শুনে মামার বাড়ি যাচ্ছিল ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। মামার বাড়ি যাওয়ার মাঝপথে পীড়ারবাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ১২ বছরের ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একটি পরিত্যক্ত ভবনে। সেখানে অচেতন করে প্রথমে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ৪ বখাটে।

পরদিন অবস্থান পরিবর্তন করে অন্য একটি দোতলা ভবনে নিয়ে গিয়ে আরও তিনদিন আটক রেখে গণধর্ষণ করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। বখাটেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকলে জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় মেয়েটি। পরে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় নির্যাতিতা। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে গণধর্ষণ মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর শাহাবাগ থেকে গোপাল বাড়ৈ, মাদারীপুরের শিবচর থেকে বরুণ বালা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অটল বাড়ৈ ও প্লাবণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে রোববার দুপুরে মাদারীপুর ক্যাম্পে সংসাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানায় র‌্যাব। পাশাপাশি আইনিপ্রক্রিয়া শেষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় আসামিদের হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া নির্যাতিতার পরিবারকে সবধরনের আইনগত সহায়তা প্রদানের আশ^াসও দেয়া হয়েছে র‌্যাবের পক্ষ থেকে। এদিকে গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২ , ২৮ চৈত্র ১৪২৮ ০৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

মাদারীপুরে

শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ, ৪ আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

মাদারীপুরের ডাসারে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তুলে নিয়ে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেতনানাশক খাইয়ে প্রথমে ভিডিও করে ওই শিক্ষার্থীকে চার দিন আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় র‌্যাব। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোটালীপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পলটানা গ্রামের কালু বাড়ৈর ছেলে গোপাল বাড়ৈ (৩০), একই গ্রামের খোকন বাড়ৈর ছেলে অটল বাড়ৈ (২২), প্রতাপ বাড়ৈর ছেলে প্লাবণ বাড়ৈ ও মুশুরিয়া গ্রামের নারায়ণ বালার ছেলে বরুণ বালা (২৩), গতকাল দুপুরে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি

কমান্ডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, গত ২৬ মার্চ রাতে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রাম থেকে পাশের গ্রামের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পীড়ারবাড়ি মন্দিরে গান শুনে মামার বাড়ি যাচ্ছিল ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। মামার বাড়ি যাওয়ার মাঝপথে পীড়ারবাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ১২ বছরের ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় একটি পরিত্যক্ত ভবনে। সেখানে অচেতন করে প্রথমে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ৪ বখাটে।

পরদিন অবস্থান পরিবর্তন করে অন্য একটি দোতলা ভবনে নিয়ে গিয়ে আরও তিনদিন আটক রেখে গণধর্ষণ করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। বখাটেরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকলে জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় মেয়েটি। পরে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় নির্যাতিতা। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে গণধর্ষণ মামলা করেন। অভিযান চালিয়ে সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর শাহাবাগ থেকে গোপাল বাড়ৈ, মাদারীপুরের শিবচর থেকে বরুণ বালা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অটল বাড়ৈ ও প্লাবণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে রোববার দুপুরে মাদারীপুর ক্যাম্পে সংসাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানায় র‌্যাব। পাশাপাশি আইনিপ্রক্রিয়া শেষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় আসামিদের হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া নির্যাতিতার পরিবারকে সবধরনের আইনগত সহায়তা প্রদানের আশ^াসও দেয়া হয়েছে র‌্যাবের পক্ষ থেকে। এদিকে গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।