মাদকের ভয়াবহতায় মেয়ররা দুষলেন প্রভাবশালীদের

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ ও ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু মাদকের জন্য দায়ী করলেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের। উপরন্তু ভৈরবের মেয়র তার থানার পুলিশকেও দায়ী করলেন। রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তারা বলেন, মাদক নির্মূল করা খুবই কঠিন। কারণ রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসার পেছনে রয়েছেন। আর ভৈরবের মেয়র এর সঙ্গে আরও যুক্ত করেন, ভৈরব থানার আশপাশে সবচেয়ে বেশি মাদক কেনাবেচা এবং মাদক সেবন হয়। পুলিশের একজন প্রভাবশালী সোর্স আছে। তাকে মানুষ ওসির মতো ভয় করে। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না। আর মাদক ব্যবসা এবং ছিনতাইকারীদের প্রধান আস্তানা রেলওয়ের বস্তি উচ্ছেদেরও তিনি দাবি জানান। তিনি ভৈরবকে এ জেলার মাদক সরবরাহের ট্রানজিট রুট বলেও আখ্যায়িত করেন। দুই মেয়র প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারাও সহায়তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। সভায় যানজটসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। রোববার কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম, র‌্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জহির আহমেদ তালুকদার, জেলা বারের সভাপতি অ্যাড. মিয়া মো. ফেরদৌস, অষ্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, হোসেনপুরের ইউএনও রাবেয়া পারভেজ, ভৈরবের ইউএনও মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ, বাজিতপুরের ইউএনও মোছা. মোরশেদা খাতুন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুরাদ চৌধুরী, জেলা চেম্বারের সভাপতি মুজিবুর রহমান বেলাল প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ , ২৯ চৈত্র ১৪২৮ ১০ রমাদ্বান ১৪৪৩

মাদকের ভয়াবহতায় মেয়ররা দুষলেন প্রভাবশালীদের

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ ও ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু মাদকের জন্য দায়ী করলেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের। উপরন্তু ভৈরবের মেয়র তার থানার পুলিশকেও দায়ী করলেন। রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তারা বলেন, মাদক নির্মূল করা খুবই কঠিন। কারণ রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসার পেছনে রয়েছেন। আর ভৈরবের মেয়র এর সঙ্গে আরও যুক্ত করেন, ভৈরব থানার আশপাশে সবচেয়ে বেশি মাদক কেনাবেচা এবং মাদক সেবন হয়। পুলিশের একজন প্রভাবশালী সোর্স আছে। তাকে মানুষ ওসির মতো ভয় করে। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায় না। আর মাদক ব্যবসা এবং ছিনতাইকারীদের প্রধান আস্তানা রেলওয়ের বস্তি উচ্ছেদেরও তিনি দাবি জানান। তিনি ভৈরবকে এ জেলার মাদক সরবরাহের ট্রানজিট রুট বলেও আখ্যায়িত করেন। দুই মেয়র প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারাও সহায়তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। সভায় যানজটসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। রোববার কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম, র‌্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জহির আহমেদ তালুকদার, জেলা বারের সভাপতি অ্যাড. মিয়া মো. ফেরদৌস, অষ্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, হোসেনপুরের ইউএনও রাবেয়া পারভেজ, ভৈরবের ইউএনও মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ, বাজিতপুরের ইউএনও মোছা. মোরশেদা খাতুন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুরাদ চৌধুরী, জেলা চেম্বারের সভাপতি মুজিবুর রহমান বেলাল প্রমুখ।