ভৈরবে মশার কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

মশার যন্ত্রণায় মানুষের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাত-দিন মশার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। এদিকে মশার উপদ্রব বাড়লেও ভৈরব পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর বাসিন্দারা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মশা নিধনে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত চার লক্ষাধিক নারী পুরুষ মশার যন্ত্রণায় প্রতিনিয়তই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন নাগরিকরা। ভৈরব পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন বিগত বছর গুলোতে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধনের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঔষধ ছিটিয়ে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এবছর মশার উপদ্রব অন্য বছরের তুলনায় অধিকমাত্রায় বৃদ্ধি পেলেও মশক নিয়ন্ত্রণে নজর নেই দায়িত্বপ্রাপ্তদের কারোরই। শীত শেষ হতেই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা জুড়ে শুরু হয়েছে মশার উৎপাত। রান্নাঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত এমনকি বাস, ট্রেন ও লঞ্চেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষজন। মশারি, কয়েল ও ম্যাজিক ব্যাট ব্যবহার করেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে মানুষজনের। তারা বলছেন, ঘরের ভিতর না হয় কয়েল বা মশারি টানিয়ে মশার যন্ত্রণা থেকে কিছুটা পালিয়ে থাকা যায়। ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, মশার উপদ্রব মারত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরসভায় ৮টি ফগার মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। চায়না মেশিন হওয়ায় এগুলোর স্থায়ীত্ব কম। নষ্ট হওয়া ফগার মেশিন গুলো মেরামত করার জন্য চেষ্টা চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যেই পৌরবাসী সুফল পাবে।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ , ২৯ চৈত্র ১৪২৮ ১০ রমাদ্বান ১৪৪৩

ভৈরবে মশার কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

মশার যন্ত্রণায় মানুষের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাত-দিন মশার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। এদিকে মশার উপদ্রব বাড়লেও ভৈরব পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌর বাসিন্দারা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মশা নিধনে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত চার লক্ষাধিক নারী পুরুষ মশার যন্ত্রণায় প্রতিনিয়তই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন নাগরিকরা। ভৈরব পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন বিগত বছর গুলোতে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধনের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঔষধ ছিটিয়ে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এবছর মশার উপদ্রব অন্য বছরের তুলনায় অধিকমাত্রায় বৃদ্ধি পেলেও মশক নিয়ন্ত্রণে নজর নেই দায়িত্বপ্রাপ্তদের কারোরই। শীত শেষ হতেই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা জুড়ে শুরু হয়েছে মশার উৎপাত। রান্নাঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত এমনকি বাস, ট্রেন ও লঞ্চেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষজন। মশারি, কয়েল ও ম্যাজিক ব্যাট ব্যবহার করেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে মানুষজনের। তারা বলছেন, ঘরের ভিতর না হয় কয়েল বা মশারি টানিয়ে মশার যন্ত্রণা থেকে কিছুটা পালিয়ে থাকা যায়। ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, মশার উপদ্রব মারত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরসভায় ৮টি ফগার মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। চায়না মেশিন হওয়ায় এগুলোর স্থায়ীত্ব কম। নষ্ট হওয়া ফগার মেশিন গুলো মেরামত করার জন্য চেষ্টা চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যেই পৌরবাসী সুফল পাবে।