পাকিস্তান : নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

মন্ত্রিসভায় যারা থাকতে পারেন

অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।

গতকাল পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে সংসদ সদস্যদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তার ক্ষমতায় থাকার কথা বলে উল্লেখ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ১৭৪ জন আইনপ্রণেতা তার পক্ষে ভোট দেন। তবে পিটিআইয়ের সদস্যরা এ সময় ভোট বর্জন করে।

ভোটাভুটির আগে পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা ওয়াক আউট করে। ওই সময় পিটিআই-সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী শাহ মাহমুদ কুরেশি ঘোষণা দেন, তার দলের আইনপ্রণেতারা জাতীয় পরিষদ থেকে গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বিবেকের তাড়নায় ভোট আয়োজন করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের সংসদ সদস্য ও প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফল ঘোষণার সময় স্মৃতিচারণ করে সাদিক বলেন, তিনি এমন এক অধিবেশনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন, যেখানে পিএমএল-এন নেতা এবং শেহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমি শেহবাজ শরিফের নির্বাচনের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার সম্মান পেয়েছি। মিয়া মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফ ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

আয়াজ সাদিক যখন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেন, তখন সংসদ সদস্যরা নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ও তার ভাই নওয়াজ শরিফের নাম উল্লেখ করে সেøাগান দেন। পরে শেহবাজ শরিফকে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার অনুরোধ জানান আয়াজ সাদিক।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে দেয়া প্রথম ভাষণে শেহবাজ শরিফ ‘পাকিস্তানকে বাঁচানোর’ জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে মন্দের বিরুদ্ধে মঙ্গল জয়লাভ করেছে। এ সময় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ২৫ হাজার রুপি করার ঘোষণা দেন তিনি।

এদিকে, পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত গতকাল শেহবাজ এবং তার ছেলে হামজার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। তবে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের কয়েক মিনিট আগে সংসদ ভবনে ইমরান খানের সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় বৈঠকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআইয়ের এমপিরা।

ঘোষণার পরপরই, প্রথম সদস্য হিসেবে মুরাদ সাঈদ এনএ- থেকে পদত্যাগপত্র দলের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইমরান খানের দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এত কিছুর পরও এনএ-তে বসে থাকা এই চক্রান্তের অংশ হওয়ার সামিল।

এরপর সাবেক সামুদ্রিকবিষয়ক মন্ত্রী আলি হায়দার জাইদিও টুইটারে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি দলের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান। ‘পাকিস্তানে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত এই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনকে কোনভাবেই বৈধ করা উচিত নয়। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লড়াই এখন রাজপথে, সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ, এই লুটেরারা নয়,’ বলে জানান তিনি।

এর সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এবং গিলগিট-বালতিস্তান আলি আমিন, পিটিআই নেতা শিরিন মাজারি, হাম্মাদ আজহার এবং শাফাকত মাহমুদও টুইটারে তাদের পদত্যাগপত্র শেয়ার করেছেন।

শাহবাজের মন্ত্রিসভায় যারা থাকতে পারেন : শেহবাজ শরিফের নতুন মন্ত্রিসভায় ইমরান খানবিরোধীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় পিএমএল-এন-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। তাদের ১২ জন মন্ত্রী থাকবে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) থাকবে ৭ জন এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) পাবে ৪ মন্ত্রী। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) দুটি এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), জমহুরি ওয়াতান পার্টি ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি একজন করে মন্ত্রী পাবেন।

পিএমএল-এন-এর খাজা আসিফ, সাদ রফিক, খুররাম দস্তগীর, আহসান ইকবাল, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, সায়িস্তা পারভেজ মালিক, রানা সানাউল্লাহ এবং মুর্তজা জাভেদ মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহসীন দাওয়ার এবং আসলাম ভুটানি ও পিএমএল-কিউ-এর তারিক বশির চেমাও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নেতা হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন আজম নাজির তারারের নাম। পিপিপির তরফ থেকে শেরি রেহমান কিংবা মুস্তফা নওয়াজ খোকারের নাম মন্ত্রিসভায় দেয়া হতে পারে। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। এছাড়া এই পদে শাজিয়া ম্যারির নামও বিবেচনায় রয়েছে।

জেইউআই-এফ দলের পক্ষ থেকে বেলুচিস্তান কিংবা খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের গভর্নর নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাবের গভর্নর হবেন পিপিপি থেকে এবং সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর হবেন এমকিউএম-পি থেকে।

এর আগে, গত শনিবার মধ্যরাতে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগের পর অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের সংসদের ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ , ২৯ চৈত্র ১৪২৮ ১০ রমাদ্বান ১৪৪৩

পাকিস্তান : নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ

মন্ত্রিসভায় যারা থাকতে পারেন

মামুনুর রশিদ, সংবাদ ডেস্ক

অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।

গতকাল পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে সংসদ সদস্যদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তার ক্ষমতায় থাকার কথা বলে উল্লেখ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ১৭৪ জন আইনপ্রণেতা তার পক্ষে ভোট দেন। তবে পিটিআইয়ের সদস্যরা এ সময় ভোট বর্জন করে।

ভোটাভুটির আগে পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা ওয়াক আউট করে। ওই সময় পিটিআই-সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী শাহ মাহমুদ কুরেশি ঘোষণা দেন, তার দলের আইনপ্রণেতারা জাতীয় পরিষদ থেকে গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বিবেকের তাড়নায় ভোট আয়োজন করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের সংসদ সদস্য ও প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফল ঘোষণার সময় স্মৃতিচারণ করে সাদিক বলেন, তিনি এমন এক অধিবেশনেও সভাপতিত্ব করেছিলেন, যেখানে পিএমএল-এন নেতা এবং শেহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমি শেহবাজ শরিফের নির্বাচনের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার সম্মান পেয়েছি। মিয়া মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফ ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

আয়াজ সাদিক যখন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেন, তখন সংসদ সদস্যরা নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ও তার ভাই নওয়াজ শরিফের নাম উল্লেখ করে সেøাগান দেন। পরে শেহবাজ শরিফকে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার অনুরোধ জানান আয়াজ সাদিক।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে দেয়া প্রথম ভাষণে শেহবাজ শরিফ ‘পাকিস্তানকে বাঁচানোর’ জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে মন্দের বিরুদ্ধে মঙ্গল জয়লাভ করেছে। এ সময় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ২৫ হাজার রুপি করার ঘোষণা দেন তিনি।

এদিকে, পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত গতকাল শেহবাজ এবং তার ছেলে হামজার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। তবে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে দেয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের কয়েক মিনিট আগে সংসদ ভবনে ইমরান খানের সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় বৈঠকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআইয়ের এমপিরা।

ঘোষণার পরপরই, প্রথম সদস্য হিসেবে মুরাদ সাঈদ এনএ- থেকে পদত্যাগপত্র দলের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইমরান খানের দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এত কিছুর পরও এনএ-তে বসে থাকা এই চক্রান্তের অংশ হওয়ার সামিল।

এরপর সাবেক সামুদ্রিকবিষয়ক মন্ত্রী আলি হায়দার জাইদিও টুইটারে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি দলের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান। ‘পাকিস্তানে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত এই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনকে কোনভাবেই বৈধ করা উচিত নয়। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লড়াই এখন রাজপথে, সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ, এই লুটেরারা নয়,’ বলে জানান তিনি।

এর সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এবং গিলগিট-বালতিস্তান আলি আমিন, পিটিআই নেতা শিরিন মাজারি, হাম্মাদ আজহার এবং শাফাকত মাহমুদও টুইটারে তাদের পদত্যাগপত্র শেয়ার করেছেন।

শাহবাজের মন্ত্রিসভায় যারা থাকতে পারেন : শেহবাজ শরিফের নতুন মন্ত্রিসভায় ইমরান খানবিরোধীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় পিএমএল-এন-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। তাদের ১২ জন মন্ত্রী থাকবে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) থাকবে ৭ জন এবং জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) পাবে ৪ মন্ত্রী। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) দুটি এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), জমহুরি ওয়াতান পার্টি ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি একজন করে মন্ত্রী পাবেন।

পিএমএল-এন-এর খাজা আসিফ, সাদ রফিক, খুররাম দস্তগীর, আহসান ইকবাল, মরিয়ম আওরঙ্গজেব, সায়িস্তা পারভেজ মালিক, রানা সানাউল্লাহ এবং মুর্তজা জাভেদ মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহসীন দাওয়ার এবং আসলাম ভুটানি ও পিএমএল-কিউ-এর তারিক বশির চেমাও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নেতা হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন আজম নাজির তারারের নাম। পিপিপির তরফ থেকে শেরি রেহমান কিংবা মুস্তফা নওয়াজ খোকারের নাম মন্ত্রিসভায় দেয়া হতে পারে। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন। এছাড়া এই পদে শাজিয়া ম্যারির নামও বিবেচনায় রয়েছে।

জেইউআই-এফ দলের পক্ষ থেকে বেলুচিস্তান কিংবা খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের গভর্নর নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাবের গভর্নর হবেন পিপিপি থেকে এবং সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর হবেন এমকিউএম-পি থেকে।

এর আগে, গত শনিবার মধ্যরাতে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগের পর অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। দেশটির ৩৪২ সদস্যের সংসদের ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।