৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন এসপি মোক্তার

ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরকারী সেই নারী সহকর্মীকে (ভুক্তভোগী পুলিশ পরিদর্শক) বিয়ে করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোক্তার হোসেনকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত মোক্তার হোসেনকে অব্যাহতি দেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বলেন, মামলার বাদী ও আসামি ট্রাইব্যুনালে আপসনামা দাখিল করায় বিচারক আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘এদিন অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষকে কিছু না জানিয়ে বাদী ও আসামি আপসনামা দাখিল করেন। ধর্ষণ মামলা এভাবে আপসের বিধান নেই। তাই এই আদেশ পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে যাওয়া যায় কি-না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ ঢাকার ৭নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর পৃথক আবেদনে বিয়ে ও আপসের কথা জানানো হয়। ওই সময় বাদী ট্রাইব্যুনালকে জানান, এই মামলা থেকে আসামি অব্যাহতি পেলে তার কোন আপত্তি নেই।

গত বছর ১২ আগস্ট এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে একজন নারী পুলিশ পরিদর্শক ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি দায়ের করেন। তৎকালীন বিচারক কামরুন নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

বাদী মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, তিনি পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে কাজ করায় ২০১৮ সালের ৬ মে বাংলাদেশ সরকার বাদীকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনী মিশনে সুদানে পাঠান। তাকে সুদানের ডারপুরে হেডকোয়ার্টারে পোস্টিং দেয়া হয়। পক্ষান্তরে এসপি মোক্তার হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে ২০১৯ সালের মে মাসে জাতিসংঘ মিশনে সুদানে পাঠানো হয়। একই বছরের অক্টোবরে এসপি মোক্তার হোসেন হেড কোয়ার্টারে যোগ দেন।

বাদী মামলার আরজিতে বলেন, উভয়ে বাংলাদেশি হওয়ায় তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক হয়। বাদী তার বাসায় নিজে রান্না করে খেতেন। মোক্তার হোসেন একদিন বাদীকে বলেন, তিনি হোটেলে খেতে খেতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাদীর সঙ্গে তিনি খাওয়া-দাওয়া করতে চান। সিনিয়র বস হিসেবে বাদী তাকে রান্না করে খাওয়াতে রাজি হন। এরপর থেকে প্রতিদিন দুপুরে এবং রাতে বাদীর বাসায় এসপি মোক্তার হোসেন খাবার খেতেন। খাবার খেতে খেতে এসপি প্রায়ই তার পারিবারিক অশান্তির কথা বাদীকে বলতেন। বাদী শুনতে না চাইলেও তাকে জোর করে পারিবারিক গল্প শোনাতেন।

আরজিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাদীর বাসায়

দুপুরে খাওয়ার পর মোক্তার হোসেন চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার গাড়ির চাবি নিতে ফিরে আসেন। তিনি বাসায় ঢুকলে বাদী চাবি দিতে গেলে বাদীকে তিনি ধর্ষণ করেন। বাদী কান্নাকাটি করলেও তাকে ছাড়েননি মোক্তার হোসেন। পরে মোক্তার হোসেন বাদীর কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। মোক্তার হোসেন বাদীকে বলেন, এই ঘটনা বলাবলি করলে বাদীর চাকরি থাকবে না। দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপরও বাদীকে সুদানের বাসায় এবং সুদান এয়ারপোর্টের পাশের হোটেলে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। তবে বাদীকে মোক্তার হোসেন সব সময় বলেন দেশে গিয়ে তাকে বিয়ে করবেন।

বাদী মিশন শেষ করেন ২০২০ সালের ২৬ জুলাই। মিশন থেকে বিদায় নেয়ার পর বাদীকে সুদানের খার্তুম বিমানবন্দরের পাশের একটি হোটেলে পাঁচ দিন রাখেন এসপি মোক্তার। ৩০ জুলাই বাদী দেশে আসেন। আসামি গত বছর নভেম্বরে ছুটিতে দেশে আসেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাদীকে নিয়ে মোক্তার হোসেন উত্তরায় হোটেল ডি মেরিডিয়ানে থাকেন।

এসপি মোক্তার গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি মিশন শেষ করে দেশে আসেন। বাদীকে ফোন করে তাকে ঢাকায় আনেন। বাদীকে নিয়ে গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজ হোটেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে থাকেন। এ সময় বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন।

গত বছর ১২ এপ্রিল বাদী এসপি মোক্তারের বাসায় গেলে (রাজারবাগ মধুমতি অফিসার্স কোয়ার্টার) তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন মোক্তার হোসেন। বাদী এসপির কথামতো তিনি তার স্বামীকে তালাক দেন। এসপি তালাক দিতে বাধ্য করেন। তালাকের পর তাকে অস্বীকার করেন। এরপর বাদী এই ঘটনার বিচার দাবি করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

ট্রাইব্যুনাল মামলাটি গ্রহণ করে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়। উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি হওয়ার পর মামলাটির তদন্ত শেষে গত ৩০ জানুয়ারি মোক্তারকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এরপর গত ৭ মার্চ এসপি মোক্তার হোসেন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ওই দিন ভুক্তভোগী নারী ও মামলার বাদী আদালতে হাজির ছিলেন। উভয় পক্ষ আদালতকে লিখিতভাবে জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তারা (বাদী-বিবাদী) আপস করে বিয়ে করেছেন। আসামির জামিনে আপত্তি নেই বলে জানান বাদী। এরপর এসপিকে জামিন দেয়া হয়।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ , ২৯ চৈত্র ১৪২৮ ১০ রমাদ্বান ১৪৪৩

৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন এসপি মোক্তার

আদালত বার্তা পরিবেশক

ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরকারী সেই নারী সহকর্মীকে (ভুক্তভোগী পুলিশ পরিদর্শক) বিয়ে করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোক্তার হোসেনকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত মোক্তার হোসেনকে অব্যাহতি দেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বলেন, মামলার বাদী ও আসামি ট্রাইব্যুনালে আপসনামা দাখিল করায় বিচারক আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘এদিন অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষকে কিছু না জানিয়ে বাদী ও আসামি আপসনামা দাখিল করেন। ধর্ষণ মামলা এভাবে আপসের বিধান নেই। তাই এই আদেশ পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে যাওয়া যায় কি-না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ ঢাকার ৭নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর পৃথক আবেদনে বিয়ে ও আপসের কথা জানানো হয়। ওই সময় বাদী ট্রাইব্যুনালকে জানান, এই মামলা থেকে আসামি অব্যাহতি পেলে তার কোন আপত্তি নেই।

গত বছর ১২ আগস্ট এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে একজন নারী পুলিশ পরিদর্শক ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি দায়ের করেন। তৎকালীন বিচারক কামরুন নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

বাদী মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, তিনি পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে কাজ করায় ২০১৮ সালের ৬ মে বাংলাদেশ সরকার বাদীকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনী মিশনে সুদানে পাঠান। তাকে সুদানের ডারপুরে হেডকোয়ার্টারে পোস্টিং দেয়া হয়। পক্ষান্তরে এসপি মোক্তার হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে ২০১৯ সালের মে মাসে জাতিসংঘ মিশনে সুদানে পাঠানো হয়। একই বছরের অক্টোবরে এসপি মোক্তার হোসেন হেড কোয়ার্টারে যোগ দেন।

বাদী মামলার আরজিতে বলেন, উভয়ে বাংলাদেশি হওয়ায় তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক হয়। বাদী তার বাসায় নিজে রান্না করে খেতেন। মোক্তার হোসেন একদিন বাদীকে বলেন, তিনি হোটেলে খেতে খেতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাদীর সঙ্গে তিনি খাওয়া-দাওয়া করতে চান। সিনিয়র বস হিসেবে বাদী তাকে রান্না করে খাওয়াতে রাজি হন। এরপর থেকে প্রতিদিন দুপুরে এবং রাতে বাদীর বাসায় এসপি মোক্তার হোসেন খাবার খেতেন। খাবার খেতে খেতে এসপি প্রায়ই তার পারিবারিক অশান্তির কথা বাদীকে বলতেন। বাদী শুনতে না চাইলেও তাকে জোর করে পারিবারিক গল্প শোনাতেন।

আরজিতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাদীর বাসায়

দুপুরে খাওয়ার পর মোক্তার হোসেন চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার গাড়ির চাবি নিতে ফিরে আসেন। তিনি বাসায় ঢুকলে বাদী চাবি দিতে গেলে বাদীকে তিনি ধর্ষণ করেন। বাদী কান্নাকাটি করলেও তাকে ছাড়েননি মোক্তার হোসেন। পরে মোক্তার হোসেন বাদীর কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। মোক্তার হোসেন বাদীকে বলেন, এই ঘটনা বলাবলি করলে বাদীর চাকরি থাকবে না। দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপরও বাদীকে সুদানের বাসায় এবং সুদান এয়ারপোর্টের পাশের হোটেলে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। তবে বাদীকে মোক্তার হোসেন সব সময় বলেন দেশে গিয়ে তাকে বিয়ে করবেন।

বাদী মিশন শেষ করেন ২০২০ সালের ২৬ জুলাই। মিশন থেকে বিদায় নেয়ার পর বাদীকে সুদানের খার্তুম বিমানবন্দরের পাশের একটি হোটেলে পাঁচ দিন রাখেন এসপি মোক্তার। ৩০ জুলাই বাদী দেশে আসেন। আসামি গত বছর নভেম্বরে ছুটিতে দেশে আসেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাদীকে নিয়ে মোক্তার হোসেন উত্তরায় হোটেল ডি মেরিডিয়ানে থাকেন।

এসপি মোক্তার গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি মিশন শেষ করে দেশে আসেন। বাদীকে ফোন করে তাকে ঢাকায় আনেন। বাদীকে নিয়ে গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজ হোটেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে থাকেন। এ সময় বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন।

গত বছর ১২ এপ্রিল বাদী এসপি মোক্তারের বাসায় গেলে (রাজারবাগ মধুমতি অফিসার্স কোয়ার্টার) তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন মোক্তার হোসেন। বাদী এসপির কথামতো তিনি তার স্বামীকে তালাক দেন। এসপি তালাক দিতে বাধ্য করেন। তালাকের পর তাকে অস্বীকার করেন। এরপর বাদী এই ঘটনার বিচার দাবি করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

ট্রাইব্যুনাল মামলাটি গ্রহণ করে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়। উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি হওয়ার পর মামলাটির তদন্ত শেষে গত ৩০ জানুয়ারি মোক্তারকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এরপর গত ৭ মার্চ এসপি মোক্তার হোসেন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ওই দিন ভুক্তভোগী নারী ও মামলার বাদী আদালতে হাজির ছিলেন। উভয় পক্ষ আদালতকে লিখিতভাবে জানায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তারা (বাদী-বিবাদী) আপস করে বিয়ে করেছেন। আসামির জামিনে আপত্তি নেই বলে জানান বাদী। এরপর এসপিকে জামিন দেয়া হয়।