মুসলিম বাজার থেকে উদ্ধার গণহত্যায় নিহতদের দেহাবশেষ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাধিস্থ

পাকিস্তানি হানদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী উদ্যোগে গতকাল গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের দেহাবশেষ দাফন করা হয়। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য বধ্যভূমিতে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায়। মিরপুর মুসলিম বাজার বধ্যভূমি এসব বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট রাজাকারদের হিং¯্রতা যে কত ভয়াবহ ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৯৯ সালের

জুলাই মাসে। ২৭ জুলাই ১৯৯৯ মিরপুর ১২নং সেকশনের নূরী মসজিদের সংস্কার কাজ করার সময় কূপ খনন করলে বেরিয়ে আসে ১৯৭১ সালের সেইসব হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন। মাথার খুলি ও হাড়গোড়ের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে থাকে মানুষের চুলের বেনী, ওড়না, কাপড়ের অংশবিশেষসহ শহীদদের বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী।

আইএসপিআর জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত হাড় ও খুলিসমূহ একাত্তরের গণহত্যার নিদর্শন কিনা তা নিশ্চিতকল্পে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের নিদর্শনসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং শহীদদের রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের ‘টিস্যু স্যাম্পল’ নিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে দেহাবশেষসমূহের কিছু মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এবং কিছু সেনাবাহিনীর যাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট দেহাবশেষসমূহ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সম্মানজনকভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর অন্য পদবীর সেনাসদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ , ২৯ চৈত্র ১৪২৮ ১০ রমাদ্বান ১৪৪৩

মুসলিম বাজার থেকে উদ্ধার গণহত্যায় নিহতদের দেহাবশেষ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাধিস্থ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পাকিস্তানি হানদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী উদ্যোগে গতকাল গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের দেহাবশেষ দাফন করা হয়। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য বধ্যভূমিতে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায়। মিরপুর মুসলিম বাজার বধ্যভূমি এসব বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট রাজাকারদের হিং¯্রতা যে কত ভয়াবহ ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৯৯ সালের

জুলাই মাসে। ২৭ জুলাই ১৯৯৯ মিরপুর ১২নং সেকশনের নূরী মসজিদের সংস্কার কাজ করার সময় কূপ খনন করলে বেরিয়ে আসে ১৯৭১ সালের সেইসব হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন। মাথার খুলি ও হাড়গোড়ের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে থাকে মানুষের চুলের বেনী, ওড়না, কাপড়ের অংশবিশেষসহ শহীদদের বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী।

আইএসপিআর জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত হাড় ও খুলিসমূহ একাত্তরের গণহত্যার নিদর্শন কিনা তা নিশ্চিতকল্পে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের নিদর্শনসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং শহীদদের রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের ‘টিস্যু স্যাম্পল’ নিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে দেহাবশেষসমূহের কিছু মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এবং কিছু সেনাবাহিনীর যাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট দেহাবশেষসমূহ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সম্মানজনকভাবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর অন্য পদবীর সেনাসদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।