আমি ক্লাস নিতে চাই হৃদয় মণ্ডল

‘সবার মাঝে ফিরে আসব এটা আমার প্রত্যাশা। আমাকে সবাই যেন আপন করে নেয়, আমিও যাতে সবাইকে আপন করে নিতে পারি, কোন কলহ যাতে না থাকে।’ ‘ওরা তো শিশু, ওদের কথা বাদই দিলাম। যা করেছে ওরা হয়তো না জেনেই করেছে। খোদার কাছে প্রার্থনা করি, ওরা সুন্দর ও স্বাভাবিক মানুষ হোক।’ জেলখানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হৃদয়মণ্ডল। সংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি সবার মাঝে ফিরে আসব- এটাই আমার প্রত্যাশা। আমাকে সবাই যেন আপন করে নেয়, আমিও যাতে সবাইকে আপন করে নিতে পারি। কোন কলহ যাতে না থাকে। আমি হেডস্যারের সঙ্গে দেখা করব। স্কুল খোলা থাকলে সে দিনই ক্লাস নেব আশা করি।’ তিনি কিছুটা রাগী প্রকৃতির বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি একটু রাগী, আমি ওদের (শিক্ষার্থীদের) স্কুলমুখী করতে চাই, লেখাপড়া করাতে চাই।’ ১৯ দিন কারাভোগ করে জেলাখানা থেকে বের

হয়ে বসবাসের কোয়ার্টারে গিয়ে সোজা পুলিশি হেফাজতে ঢাকায় তার আত্মীয়দের বাড়িতে বসবাস করছেন। মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। ধর্ম অবমাননার মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে রোববার বিকেলে শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক কোয়ার্টারের নিজ বাসায় যান এই শিক্ষক। বিকেলেই সে ঢাকার বড় বোনের বাসায় চলে আসেন এখন রেস্টে আছেন এবং ডায়বেটিস্ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলে স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। দুইদিন পর তার শাস্তির দাবিতে মিছিল করে। সে রাতে পুলিশ তাকে থানায় নেয়। ধর্ম অবমাননার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে রোববার জামিন দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া। মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বিকেল ৫টায় মুক্ত হন তিনি।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ জানান, যেহেতু বিতর্কিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনা ঘটেছে সেহেতু হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে সপদে বহাল করে প্রতিষ্ঠানে সুন্দর পরিবেশে তার ক্লাস করার ব্যবস্থা করবো।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর খানকে তার সেলফোন ০১৯১৩৬৭২৬৮৮ নাম্বারে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনকেও ০১৯১৬২৯০৬৩২ এ নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনিও রিসিভ করেননি।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২ , ২৯ চৈত্র ১৪২৮ ১০ রমাদ্বান ১৪৪৩

আমি ক্লাস নিতে চাই হৃদয় মণ্ডল

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

‘সবার মাঝে ফিরে আসব এটা আমার প্রত্যাশা। আমাকে সবাই যেন আপন করে নেয়, আমিও যাতে সবাইকে আপন করে নিতে পারি, কোন কলহ যাতে না থাকে।’ ‘ওরা তো শিশু, ওদের কথা বাদই দিলাম। যা করেছে ওরা হয়তো না জেনেই করেছে। খোদার কাছে প্রার্থনা করি, ওরা সুন্দর ও স্বাভাবিক মানুষ হোক।’ জেলখানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হৃদয়মণ্ডল। সংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি সবার মাঝে ফিরে আসব- এটাই আমার প্রত্যাশা। আমাকে সবাই যেন আপন করে নেয়, আমিও যাতে সবাইকে আপন করে নিতে পারি। কোন কলহ যাতে না থাকে। আমি হেডস্যারের সঙ্গে দেখা করব। স্কুল খোলা থাকলে সে দিনই ক্লাস নেব আশা করি।’ তিনি কিছুটা রাগী প্রকৃতির বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি একটু রাগী, আমি ওদের (শিক্ষার্থীদের) স্কুলমুখী করতে চাই, লেখাপড়া করাতে চাই।’ ১৯ দিন কারাভোগ করে জেলাখানা থেকে বের

হয়ে বসবাসের কোয়ার্টারে গিয়ে সোজা পুলিশি হেফাজতে ঢাকায় তার আত্মীয়দের বাড়িতে বসবাস করছেন। মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। ধর্ম অবমাননার মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে রোববার বিকেলে শহরের উপকণ্ঠ পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক কোয়ার্টারের নিজ বাসায় যান এই শিক্ষক। বিকেলেই সে ঢাকার বড় বোনের বাসায় চলে আসেন এখন রেস্টে আছেন এবং ডায়বেটিস্ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলে স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। দুইদিন পর তার শাস্তির দাবিতে মিছিল করে। সে রাতে পুলিশ তাকে থানায় নেয়। ধর্ম অবমাননার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে রোববার জামিন দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া। মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বিকেল ৫টায় মুক্ত হন তিনি।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ জানান, যেহেতু বিতর্কিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনা ঘটেছে সেহেতু হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে সপদে বহাল করে প্রতিষ্ঠানে সুন্দর পরিবেশে তার ক্লাস করার ব্যবস্থা করবো।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর খানকে তার সেলফোন ০১৯১৩৬৭২৬৮৮ নাম্বারে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনকেও ০১৯১৬২৯০৬৩২ এ নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনিও রিসিভ করেননি।