সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তবে পূর্ণ নম্বরে

আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই হবে। তবে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে এই পরীক্ষা নেয়া হবে। করোনা মহামারীর দুই বছরে নির্ধারিত সূচিতে এই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি, এ কারণে ২০২৩ সালের এই দুই পাবলিক পরীক্ষার সূচি এগিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মন্ত্রী গতকাল দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা এপ্রিলে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুনে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর জেএসসি পরীক্ষার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হয়নি।

২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য ঘোষিত সিলেবাস অনুযায়ী হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওই বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের জন্য নির্ধারিত ১৮০ কর্মদিবসের পাঠ্যসূচি অনুসারে হবে। পরীক্ষা সকল বিষয়ে হবে এবং পূর্ণ নম্বরে হবে।’

বর্তমানে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালে এসএসসি/দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব পরীক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে দু’দিন করে সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ২০ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।’

তবে গত ১৫ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শ্রেণী কার্যক্রমে সপ্তাহে ৬ দিন করে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণী কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এসব পরীক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণী মিলে ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে (স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের ৩১৬ কর্মদিবস ক্লাস করার কথা)।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা ২০২০ সালের ৮ম শ্রেণীর ফাইনাল ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। নবম শ্রেণীতেও পরীক্ষা দিতে পারেনি। পুরো সময়টা তারা টেলিভিশনের ক্লাসে এবং অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে, অ্যাসাইনমেন্ট করেছে। এসব ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলো ২০২২ সালের জন্য পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।

সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমান এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনা মহামারীতে সেই সূচি এলোমেলো হয়ে যায়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসএসসি পরীক্ষা নিতে পেরেছিল শিক্ষা প্রশাসন। তবে সে বছর আর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যায়নি। পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন ফল দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এতে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। প্রায় ৯ মাস পিছিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এসএসসি এবং আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় গতবছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা হয় তিন বিষয়ে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে।

২০২২ সালের (এবছর) এসএসসি পরীক্ষা ১৯ জুন এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২২ অগাস্ট থেকে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এবার এসএসসিতে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান এই তিন বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না। এ বিষয়গুলোর নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।

এইচএসসিতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না। এ বিষয়েও সবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষা বিষয়ে এবার এসএসসিতে পরীক্ষা হবে।

আর এইচএসসিতে বাংলা, ইংরেজি ও গ্রুপভিত্তিক নৈর্বচনিক তিনটি বিষয় এবং একটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরীক্ষা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসিতে এবার দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে, সেগুলোতে ৪৫ নম্বরের (রচনামূলক ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫ নম্বর) এবং ব্যবহারিক না থাকলে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫) পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের।

এবারও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক, মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ৩০ চৈত্র ১৪২৮ ১১ রমাদ্বান ১৪৪৩

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩

সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তবে পূর্ণ নম্বরে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই হবে। তবে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে এই পরীক্ষা নেয়া হবে। করোনা মহামারীর দুই বছরে নির্ধারিত সূচিতে এই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি, এ কারণে ২০২৩ সালের এই দুই পাবলিক পরীক্ষার সূচি এগিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মন্ত্রী গতকাল দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা এপ্রিলে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুনে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর জেএসসি পরীক্ষার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হয়নি।

২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য ঘোষিত সিলেবাস অনুযায়ী হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওই বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের জন্য নির্ধারিত ১৮০ কর্মদিবসের পাঠ্যসূচি অনুসারে হবে। পরীক্ষা সকল বিষয়ে হবে এবং পূর্ণ নম্বরে হবে।’

বর্তমানে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালে এসএসসি/দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব পরীক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে দু’দিন করে সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ২০ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।’

তবে গত ১৫ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শ্রেণী কার্যক্রমে সপ্তাহে ৬ দিন করে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণী কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এসব পরীক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণী মিলে ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে (স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের ৩১৬ কর্মদিবস ক্লাস করার কথা)।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা ২০২০ সালের ৮ম শ্রেণীর ফাইনাল ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। নবম শ্রেণীতেও পরীক্ষা দিতে পারেনি। পুরো সময়টা তারা টেলিভিশনের ক্লাসে এবং অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে, অ্যাসাইনমেন্ট করেছে। এসব ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলো ২০২২ সালের জন্য পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।

সাধারণত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমান এবং এপ্রিলের প্রথম দিকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনা মহামারীতে সেই সূচি এলোমেলো হয়ে যায়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই এসএসসি পরীক্ষা নিতে পেরেছিল শিক্ষা প্রশাসন। তবে সে বছর আর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যায়নি। পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন ফল দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এতে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায়। প্রায় ৯ মাস পিছিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এসএসসি এবং আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় গতবছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা হয় তিন বিষয়ে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে।

২০২২ সালের (এবছর) এসএসসি পরীক্ষা ১৯ জুন এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২২ অগাস্ট থেকে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এবার এসএসসিতে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান এই তিন বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না। এ বিষয়গুলোর নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।

এইচএসসিতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না। এ বিষয়েও সবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর দেয়া হবে।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষা বিষয়ে এবার এসএসসিতে পরীক্ষা হবে।

আর এইচএসসিতে বাংলা, ইংরেজি ও গ্রুপভিত্তিক নৈর্বচনিক তিনটি বিষয় এবং একটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরীক্ষা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসিতে এবার দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক আছে, সেগুলোতে ৪৫ নম্বরের (রচনামূলক ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫ নম্বর) এবং ব্যবহারিক না থাকলে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫) পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের।

এবারও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক, মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।