মৌলভীবাজারের ৩ রাজাকারের রায় যেকোন দিন

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আবদুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিনজনের মামলার রায় যেকোন দিন ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ আবদুল মান্নান ও আবদুল মতিন। আসামি আবদুল মতিন এখনও পলাতক রয়েছেন।

আদালতে আবদুল আজিজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আবদুল মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. সারোয়ার হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। এই তিন আসামির বিরুদ্ধে

একাত্তরে বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এই তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর।

২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ১ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ২ মার্চ আবদুল আজিজ ও আবদুল মান্নানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এই মামলার অভিযোগে বলা হয় আসামি দুই সহোদর আবদুল আজিজ ও আবদুল মতিন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। অন্য আসামি আবদুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন।

বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ৩০ চৈত্র ১৪২৮ ১১ রমাদ্বান ১৪৪৩

মানবতাবিরোধী অপরাধ

মৌলভীবাজারের ৩ রাজাকারের রায় যেকোন দিন

আদালত বার্তা পরিবেশক

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আবদুল আজিজ ওরফে হাবুলসহ তিনজনের মামলার রায় যেকোন দিন ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ আবদুল মান্নান ও আবদুল মতিন। আসামি আবদুল মতিন এখনও পলাতক রয়েছেন।

আদালতে আবদুল আজিজের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আবদুল মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. সারোয়ার হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। এই তিন আসামির বিরুদ্ধে

একাত্তরে বড়লেখা এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এই তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর।

২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবরোধী অপরাধের মামলায় বড়লেখার ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ১ মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ২ মার্চ আবদুল আজিজ ও আবদুল মান্নানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এই মামলার অভিযোগে বলা হয় আসামি দুই সহোদর আবদুল আজিজ ও আবদুল মতিন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতের বারপুঞ্জিতে যান। কিন্তু প্রশিক্ষণরত অবস্থায় পালিয়ে এসে তারা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। অন্য আসামি আবদুল মান্নান একাত্তরে স্থানীয় মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন।