দূষণে বিপর্যস্ত জীবন

বায়ু ও শব্দদূষণে কুখ্যাতি অর্জন করেছে রাজধানী ঢাকা। জনস্বাস্থ্যের জন্য বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ হুমকি হয়ে দাঁড়ালেও তা নিরসনে কোন কর্তৃপক্ষ দেশে আছে বলে মনে হয় না। পানিদূষণেও অসামান্য কীর্তি রাখার চেষ্টা করছেন এ ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

বায়ুদূষণের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। ফলে এ সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক চিন্তা ও পরিকল্পনা জরুরি। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কোন উদ্যোগ নিতে না পারলে পরিস্থিতি সামনের দিনগুলোতে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দূষিত বায়ু জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ধূলিকণা মানবদেহের ভেতরে ঢুকে ফুসফুসে গেঁথে থাকে এবং একনাগাড়ে এসব উপাদানের ভেতর দিয়ে চলাচল করলে হৃদ্?রোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বায়ুদূষণ রোধসহ পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ‘নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের পথে থাকলে শুধু এই প্রকল্প দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। যেসব সুনির্দিষ্ট কারণে বায়ুর দূষণ হচ্ছে সরকারকে সেসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সনাতন পদ্ধতির ইটভাটাগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইটভাটায় রূপান্তর করা গেলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দূষণ কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতামত, জনগণকে সম্পৃক্ত করে সুপারিশমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করলে এ দেশের বায়ুদূষণমুক্ত হবেই হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

আর কে চৌধুরী

বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ৩০ চৈত্র ১৪২৮ ১১ রমাদ্বান ১৪৪৩

দূষণে বিপর্যস্ত জীবন

image

বায়ু ও শব্দদূষণে কুখ্যাতি অর্জন করেছে রাজধানী ঢাকা। জনস্বাস্থ্যের জন্য বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ হুমকি হয়ে দাঁড়ালেও তা নিরসনে কোন কর্তৃপক্ষ দেশে আছে বলে মনে হয় না। পানিদূষণেও অসামান্য কীর্তি রাখার চেষ্টা করছেন এ ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

বায়ুদূষণের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। ফলে এ সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক চিন্তা ও পরিকল্পনা জরুরি। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কোন উদ্যোগ নিতে না পারলে পরিস্থিতি সামনের দিনগুলোতে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দূষিত বায়ু জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ধূলিকণা মানবদেহের ভেতরে ঢুকে ফুসফুসে গেঁথে থাকে এবং একনাগাড়ে এসব উপাদানের ভেতর দিয়ে চলাচল করলে হৃদ্?রোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বায়ুদূষণ রোধসহ পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ‘নির্মল বায়ু এবং টেকসই পরিবেশ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের পথে থাকলে শুধু এই প্রকল্প দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। যেসব সুনির্দিষ্ট কারণে বায়ুর দূষণ হচ্ছে সরকারকে সেসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সনাতন পদ্ধতির ইটভাটাগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইটভাটায় রূপান্তর করা গেলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দূষণ কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতামত, জনগণকে সম্পৃক্ত করে সুপারিশমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করলে এ দেশের বায়ুদূষণমুক্ত হবেই হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

আর কে চৌধুরী