ঘরে ঘরে জ্বর-ঠাণ্ডা কাশির প্রকোপ বাড়ছে

মাধবদী, শেখেরচর, বালুসাইর, মহিষশুড়া সহ পুরো মাধবদী থানা এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলিতে জ্বর-ঠাণ্ডা ও শাসকষ্টের রোগীর সংখা বেড়েই চলেছে আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশ শিশু হলেও রোজার মাসে এসে সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। মাধবদীতে সামান্য ঝড় বৃষ্টির কারনে এবং রোজার মাসে কেউ কেউ অতিরিক্ত ফ্রিজের খাবার খেয়েও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে সবগুলি সাধারণ চিকিৎসালয়েও দিনে গরম ও রাতে হালকা ঠান্ডা জনিত আবহাওয়ায় শ্বাস কষ্টের রোগী বেড়েই চলেছে। দিনে গরম আবহাওয়ার মাঝেই কখনো কখনো সমান্য বৃষ্টিতেই বাবুরহাট ও মাধবদী পৌর মার্কেটের গলিতে কাঁদাপানিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে পায়ে হেটে চলা ব্যবসায়ি ও কেনাকাটা করতে আসা সাধারণের খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেক ব্যবসায়ী যারা বাইরে অথবা দোকানের সামনে ক্রেতা আকর্ষণে পোশাক ঝুলিয়ে বা কাপড়ের গাইট অথবা তৈরি পোশাক রেখে বিক্রি করেন তাদের অবস্থা আরো নাজুক।খেটে খাওয়া মানুষ নি¤œঞ্চলে সবজি চাষিরা জমিতে সবজির বীজ বা চারা রোপণ করেও টেকাতে পারছেনা বর্তমান আবহাওয়ার কারনে।

সাধারণ কৃষিজীবী মানুষ দারুণভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক ও সাধারণ চিকিৎসালয় গুলিতে প্রতিদিনই বাড়ছে জ্বর, ঠাণ্ডা,স্বাশকষ্টজনিত রোগীর ভিড়। পুরো মাধবদীও আশপাশে আালগী, বালাপুর, নওপাড়া, পাঁচদোনা, বালুসাইর, মহিষাশুড়া স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গুলিতে ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ অনেক রোগী ও তাদের আতœীয় স্বজনের। পরীক্ষার নামে মোটা টাকা নিলেও সঠিক রিপোর্ট পাচ্ছে না বলে অভিযোগ প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিচালকদের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে এসব প্রইভেট এবং সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রায় সব গুলিরই এক্সে মেশিন, অকেজো দু’একটিতে ভাল আছে তবে চালু থাকলেও অভিজ্ঞ চালক এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক সঙ্কটে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। নিম্ন আয়ের গ্রামাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ অধিকাংশ রোগী ও তাদের অভিবাবকের। এ ব্যাপারে কথা বলার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও পরিচালকদের দাবি দু’ সপ্তাহ যাবত ঠাণ্ডাণ্ডকাশি জনিত রোগীর চাপ বেশি থাকায় সব রোগীকে সীট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে মাধবদীতে দিনে কখনো প্রচণ্ড গরম আবার কখনো স্বাভাবিক আবহাওয়ার মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে বেহাল আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষিজীবী মানুষ। গ্রামাঞ্চলে ঠাণ্ডাজনিত এবং শাসকষ্ট জনিত রোগী প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে।

স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল গুলিতে ঠাণ্ডা কাশি জ্বর, শাসকষ্ট জনিত রোগীর প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। শুধু মাধবদী পৌরশহর নয় আশপাশের স্বাাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গুলিতে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায় গত ৭ দিনে ঠাণ্ডাজনিত কারণে শ্ব^াসকষ্টে যে পরিমাণ রোগী এসব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাতে প্রত্যেককে সীট দেয়া সম্ভব নয় বলে কয়েকজন রোগী ফ্লোরে ও বারান্দায় থেকে চিকিৎসারত অবস্থায়ই বাড়িতে চলে গেছেন। তবে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার পরও চিকিৎসকের অবহেলাজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হলেও কোন ঝামেলায় জড়াতে চান না মৃত রোগীর আতœীয়স্বজন কোন প্রশ্ন করলে নীরব থাকতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন মাধবদীর নগর বানিয়াদী গ্রামের অসহায় এক মৃত পিতার একমাত্র ছেলে সোহেলকে। যাতে ময়নাতদন্ত বা কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও সুযোগ থাকে না। চিকিৎসা সেবা মানোন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার মান আরও উন্নত করতে গ্রামাঞ্চলের কৃষিজীবি নিম্নœ আয়ের মানুষদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নœ আয়ের এসব সাধারণ মানুষের সমস্যা দূরীকরণে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার দাবি জানিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিত এসব সাধারণ মনুষ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঘরে ঘরে জ্বর-ঠাণ্ডা কাশির প্রকোপ বাড়ছে

প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)

মাধবদী, শেখেরচর, বালুসাইর, মহিষশুড়া সহ পুরো মাধবদী থানা এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলিতে জ্বর-ঠাণ্ডা ও শাসকষ্টের রোগীর সংখা বেড়েই চলেছে আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশ শিশু হলেও রোজার মাসে এসে সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। মাধবদীতে সামান্য ঝড় বৃষ্টির কারনে এবং রোজার মাসে কেউ কেউ অতিরিক্ত ফ্রিজের খাবার খেয়েও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে সবগুলি সাধারণ চিকিৎসালয়েও দিনে গরম ও রাতে হালকা ঠান্ডা জনিত আবহাওয়ায় শ্বাস কষ্টের রোগী বেড়েই চলেছে। দিনে গরম আবহাওয়ার মাঝেই কখনো কখনো সমান্য বৃষ্টিতেই বাবুরহাট ও মাধবদী পৌর মার্কেটের গলিতে কাঁদাপানিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে পায়ে হেটে চলা ব্যবসায়ি ও কেনাকাটা করতে আসা সাধারণের খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেক ব্যবসায়ী যারা বাইরে অথবা দোকানের সামনে ক্রেতা আকর্ষণে পোশাক ঝুলিয়ে বা কাপড়ের গাইট অথবা তৈরি পোশাক রেখে বিক্রি করেন তাদের অবস্থা আরো নাজুক।খেটে খাওয়া মানুষ নি¤œঞ্চলে সবজি চাষিরা জমিতে সবজির বীজ বা চারা রোপণ করেও টেকাতে পারছেনা বর্তমান আবহাওয়ার কারনে।

সাধারণ কৃষিজীবী মানুষ দারুণভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক ও সাধারণ চিকিৎসালয় গুলিতে প্রতিদিনই বাড়ছে জ্বর, ঠাণ্ডা,স্বাশকষ্টজনিত রোগীর ভিড়। পুরো মাধবদীও আশপাশে আালগী, বালাপুর, নওপাড়া, পাঁচদোনা, বালুসাইর, মহিষাশুড়া স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গুলিতে ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ অনেক রোগী ও তাদের আতœীয় স্বজনের। পরীক্ষার নামে মোটা টাকা নিলেও সঠিক রিপোর্ট পাচ্ছে না বলে অভিযোগ প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট ক্লিনিকের পরিচালকদের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে এসব প্রইভেট এবং সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র প্রায় সব গুলিরই এক্সে মেশিন, অকেজো দু’একটিতে ভাল আছে তবে চালু থাকলেও অভিজ্ঞ চালক এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক সঙ্কটে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। নিম্ন আয়ের গ্রামাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ অধিকাংশ রোগী ও তাদের অভিবাবকের। এ ব্যাপারে কথা বলার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও পরিচালকদের দাবি দু’ সপ্তাহ যাবত ঠাণ্ডাণ্ডকাশি জনিত রোগীর চাপ বেশি থাকায় সব রোগীকে সীট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে মাধবদীতে দিনে কখনো প্রচণ্ড গরম আবার কখনো স্বাভাবিক আবহাওয়ার মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে বেহাল আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষিজীবী মানুষ। গ্রামাঞ্চলে ঠাণ্ডাজনিত এবং শাসকষ্ট জনিত রোগী প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে।

স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল গুলিতে ঠাণ্ডা কাশি জ্বর, শাসকষ্ট জনিত রোগীর প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। শুধু মাধবদী পৌরশহর নয় আশপাশের স্বাাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গুলিতে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায় গত ৭ দিনে ঠাণ্ডাজনিত কারণে শ্ব^াসকষ্টে যে পরিমাণ রোগী এসব প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাতে প্রত্যেককে সীট দেয়া সম্ভব নয় বলে কয়েকজন রোগী ফ্লোরে ও বারান্দায় থেকে চিকিৎসারত অবস্থায়ই বাড়িতে চলে গেছেন। তবে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার পরও চিকিৎসকের অবহেলাজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হলেও কোন ঝামেলায় জড়াতে চান না মৃত রোগীর আতœীয়স্বজন কোন প্রশ্ন করলে নীরব থাকতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন মাধবদীর নগর বানিয়াদী গ্রামের অসহায় এক মৃত পিতার একমাত্র ছেলে সোহেলকে। যাতে ময়নাতদন্ত বা কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও সুযোগ থাকে না। চিকিৎসা সেবা মানোন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার মান আরও উন্নত করতে গ্রামাঞ্চলের কৃষিজীবি নিম্নœ আয়ের মানুষদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নœ আয়ের এসব সাধারণ মানুষের সমস্যা দূরীকরণে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার দাবি জানিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিত এসব সাধারণ মনুষ।