চাঁদপুরে ৩ উপজেলার ভরসা ঝুঁকিপূর্র্ণ সেতু!

চাঁদপুরের কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও মতলব (দঃ) উপজেলার অধিক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল রঘুনাথপুর-বোয়ালজুড়ি খালের ওপর নির্মিত পুরানো ব্রিজ। প্রায় শতবছর পূর্বে নির্মিত এ ব্রিজ দিয়ে জেলার তিন উপজেলার ৪০ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে আসছে। গত ‘ক’ বছর পূর্বে ব্রিজটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে জেলার তিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কর্তৃপক্ষই ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সম্প্রতি (গত ২৯ মার্চ ) উক্ত সংযোগ ব্রিজটি নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে জেলার কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয়রা আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, ঐতিহ্যবাহী বোয়ালজুড়ী খালের ওপর প্রায় শতবছরের পুরাতন ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী তারাপাল্লা, মাড়কি, আয়মা শাসনখোলা, মুরাদপুর, পিরোজপুর, কাদলা, রঘুনাথপুর, তেঘুরিয়া, মেহারন, নারায়ণপুর, কাশেমপুরসহ আশপাশে অত্যন্ত ৪০টি গ্রামের মানুষ ও ‘ক’ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে আসছে। রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্ভ, ২শ’ বছরের পুরানো রঘুনাথপুর বাজার ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াতকারীদের একমাত্র ভরষা এ ব্রিজটি। প্রায় ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ৬০ ফুট উচু ব্রিজটির ‘দু’ পাশের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা কাঠ দিয়ে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছে। অপরদিকে উক্ত ব্রিজটির ‘দু’ পাশে রেলিং না থাকায় প্রায়শই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। ব্রিজটি অনেক উচু হওয়ায় বয়স্ক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ব্রিজটিতে উঠানামায় প্রায়শই পড়তে হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিদার্থে এ ঝুঁকি ব্রিজ দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব (দঃ) উপজেলার মানুষ নিয়মিত চলাচল করে আসছে। অচিরেই ব্রিজ নির্মাণ করে তিন উপজেলাবাসী সংযোগ ও এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমস্যা লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্যাহ আমাদের এ প্রতিবেদককে জনান, ব্রিজটি সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ প্রদান করছি।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

চাঁদপুরে ৩ উপজেলার ভরসা ঝুঁকিপূর্র্ণ সেতু!

প্রতিনিধি, কচুয়া (চাঁদপুর)

image

কচুয়া (চাঁদপুর) : তিন উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম রগুনাথপুর-বোয়ালছড়ি খালের ওপর নির্মিত ঝুকিঁপূর্র্ণ ব্রিজ -সংবাদ

চাঁদপুরের কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও মতলব (দঃ) উপজেলার অধিক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল রঘুনাথপুর-বোয়ালজুড়ি খালের ওপর নির্মিত পুরানো ব্রিজ। প্রায় শতবছর পূর্বে নির্মিত এ ব্রিজ দিয়ে জেলার তিন উপজেলার ৪০ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে আসছে। গত ‘ক’ বছর পূর্বে ব্রিজটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে জেলার তিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কর্তৃপক্ষই ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সম্প্রতি (গত ২৯ মার্চ ) উক্ত সংযোগ ব্রিজটি নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে জেলার কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয়রা আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, ঐতিহ্যবাহী বোয়ালজুড়ী খালের ওপর প্রায় শতবছরের পুরাতন ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী তারাপাল্লা, মাড়কি, আয়মা শাসনখোলা, মুরাদপুর, পিরোজপুর, কাদলা, রঘুনাথপুর, তেঘুরিয়া, মেহারন, নারায়ণপুর, কাশেমপুরসহ আশপাশে অত্যন্ত ৪০টি গ্রামের মানুষ ও ‘ক’ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে আসছে। রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্ভ, ২শ’ বছরের পুরানো রঘুনাথপুর বাজার ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াতকারীদের একমাত্র ভরষা এ ব্রিজটি। প্রায় ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ৬০ ফুট উচু ব্রিজটির ‘দু’ পাশের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা কাঠ দিয়ে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছে। অপরদিকে উক্ত ব্রিজটির ‘দু’ পাশে রেলিং না থাকায় প্রায়শই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। ব্রিজটি অনেক উচু হওয়ায় বয়স্ক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ব্রিজটিতে উঠানামায় প্রায়শই পড়তে হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিদার্থে এ ঝুঁকি ব্রিজ দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ, মতলব (দঃ) উপজেলার মানুষ নিয়মিত চলাচল করে আসছে। অচিরেই ব্রিজ নির্মাণ করে তিন উপজেলাবাসী সংযোগ ও এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমস্যা লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্যাহ আমাদের এ প্রতিবেদককে জনান, ব্রিজটি সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ প্রদান করছি।