রমজানে বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম নেই!

বগুড়ার শেরপুরে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মাঝে রাখার জন্য রমজান মাসেও বাজার মনিটরিং কমিটির দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম নেই। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দাবি তিনি কয়েকটি মোবাইল কোর্ট করেছেন। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ অধিদপ্তরকেও ডেকে আনা হয়েছিল । ক্রেতাদের অভিযোগ, শেরপুর উপজেলার বারদুয়ারীহাট, সকাল বাজার, রেজিস্ট্রি অফিস বাজার, মির্জাপুর হাটসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের পকেট কাটা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছেমত পণ্যের দাম রাখছে, ভেজাল পণ্য বিক্রি করছে, পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না, এমনকি মেয়াদউত্তীর্ণ খাদ্যপণ্যও বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। এসব দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে উপজেলায় একটি বাজার মনিটরিং কমিটি রয়েছে। কিন্তু এই রমজান মাসেও তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। যার ফলে বাধ্য হয়ে জনসাধারণকে ভেজাল্য পণ্য অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আলহাজ মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, বাজারে ইচ্ছামতো ইফতার সামগ্রীসহ, ভোজ্যতেল, চিনি আটা ও সবজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে না। তিনি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ময়নুল ইসলাম জানান, আমি নিজে ৫-৬টি মোবাইল কোর্টে ৮-১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। তাছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ডেকে আনা হয়েছিল। তারাও জরিমানা করেছে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

রমজানে বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম নেই!

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুরে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মাঝে রাখার জন্য রমজান মাসেও বাজার মনিটরিং কমিটির দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম নেই। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দাবি তিনি কয়েকটি মোবাইল কোর্ট করেছেন। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ অধিদপ্তরকেও ডেকে আনা হয়েছিল । ক্রেতাদের অভিযোগ, শেরপুর উপজেলার বারদুয়ারীহাট, সকাল বাজার, রেজিস্ট্রি অফিস বাজার, মির্জাপুর হাটসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের পকেট কাটা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছেমত পণ্যের দাম রাখছে, ভেজাল পণ্য বিক্রি করছে, পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না, এমনকি মেয়াদউত্তীর্ণ খাদ্যপণ্যও বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। এসব দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি করে উপজেলায় একটি বাজার মনিটরিং কমিটি রয়েছে। কিন্তু এই রমজান মাসেও তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। যার ফলে বাধ্য হয়ে জনসাধারণকে ভেজাল্য পণ্য অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আলহাজ মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, বাজারে ইচ্ছামতো ইফতার সামগ্রীসহ, ভোজ্যতেল, চিনি আটা ও সবজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়মিত মনিটরিং হচ্ছে না। তিনি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ময়নুল ইসলাম জানান, আমি নিজে ৫-৬টি মোবাইল কোর্টে ৮-১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। তাছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ডেকে আনা হয়েছিল। তারাও জরিমানা করেছে।