মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি শিশু-নারী

মেহেরপুরে জ¦রের পাশাপাশি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল ডায়রিয়া। এতে নারী ও শিশুরা আক্রান্ত হয়েছিল বেশি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মেহেরপুরের সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. মো. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন স্বাস্থ্য বিভাগও প্রস্তুত রয়েছে সেবা দেয়ার জন্য। সেই সঙ্গে ডায়রিয়া আক্রান্ত যাতে না হয় তারও পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিএস অফিস সূত্রে জানা যায় গত তিন মাসে পাঁচ হাজার নয়শত একষট্টি জন ডায়রিয়া রোগী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নিয়েছেন। গত মাসে ইনডোর আউটডোর মিলে একহাজার তিনশত সাতাশ জন ডায়রিয়া রোগী সেবা নিয়েছেন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে একহাজার ছয় জন গাংনীতে দুইশত তের জন এবং মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একশত আটজন। চলতি মাসের এগার তারিখে রোগীর সংখ্যা ছিল একুশ জন। জেনারেল হাসপাতালে আট জন, গাংনীতে দশজন এবং মুজিবনগরে তিনজন। রোগীদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যায় বেশি।

গাংনী হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়া রোগী শিশু মারিয়ার মা হোসনেয়ারা বেগম জানান, গত সোমবার রাতে হঠাৎ বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। প্রথমদিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিয়ে খেয়ে উপকার না হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন বমি হচ্ছে না, তবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। গোপালনগর গ্রামের রোকেয়া জানান, তার ছয়মাস বয়সী শিশুপুত্র রকিবের পাতলা পায়খানা শুরু হয় গেল শুক্রবার। গ্রামের ডাক্তার দেখিয়ে ওর স্যালাইন এবং ওষুধ খেয়েছিলাম। রাতে পেটের ব্যাথা ও পায়খানা অতিরিক্তি মাত্রায় হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন পেটের ব্যাথা নেই তবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এমকে রেজা জানান, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা সকলেই সুস্থ আছেন। এছাড়াও আমরা অতিরিক্ত প্রস্তুতি হিসেবে ডায়রিয়া ওয়ার্ড আলাদা করেছি এবং জনবল আলাদা করে দেয়া হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে পরিবারকে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

মেহেরপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি শিশু-নারী

প্রতিনিধি, মেহেরপুর

মেহেরপুরে জ¦রের পাশাপাশি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল ডায়রিয়া। এতে নারী ও শিশুরা আক্রান্ত হয়েছিল বেশি। তবে চিকিৎসকরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মেহেরপুরের সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. মো. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন স্বাস্থ্য বিভাগও প্রস্তুত রয়েছে সেবা দেয়ার জন্য। সেই সঙ্গে ডায়রিয়া আক্রান্ত যাতে না হয় তারও পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিএস অফিস সূত্রে জানা যায় গত তিন মাসে পাঁচ হাজার নয়শত একষট্টি জন ডায়রিয়া রোগী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নিয়েছেন। গত মাসে ইনডোর আউটডোর মিলে একহাজার তিনশত সাতাশ জন ডায়রিয়া রোগী সেবা নিয়েছেন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে একহাজার ছয় জন গাংনীতে দুইশত তের জন এবং মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একশত আটজন। চলতি মাসের এগার তারিখে রোগীর সংখ্যা ছিল একুশ জন। জেনারেল হাসপাতালে আট জন, গাংনীতে দশজন এবং মুজিবনগরে তিনজন। রোগীদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যায় বেশি।

গাংনী হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়া রোগী শিশু মারিয়ার মা হোসনেয়ারা বেগম জানান, গত সোমবার রাতে হঠাৎ বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। প্রথমদিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে ওষুধ নিয়ে খেয়ে উপকার না হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন বমি হচ্ছে না, তবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। গোপালনগর গ্রামের রোকেয়া জানান, তার ছয়মাস বয়সী শিশুপুত্র রকিবের পাতলা পায়খানা শুরু হয় গেল শুক্রবার। গ্রামের ডাক্তার দেখিয়ে ওর স্যালাইন এবং ওষুধ খেয়েছিলাম। রাতে পেটের ব্যাথা ও পায়খানা অতিরিক্তি মাত্রায় হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন পেটের ব্যাথা নেই তবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এমকে রেজা জানান, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা সকলেই সুস্থ আছেন। এছাড়াও আমরা অতিরিক্ত প্রস্তুতি হিসেবে ডায়রিয়া ওয়ার্ড আলাদা করেছি এবং জনবল আলাদা করে দেয়া হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে পরিবারকে।