ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি : কাল থেকে বাসের, ২৩ এপ্রিল ট্রেনের

রেলের টিকেট কিনতে এনআইডি বা জন্মসনদ ফটোকপি লাগবে

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাল থেকে আন্তঃজেলা বাস ও ২৩ এপ্রিল থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। তবে এবার রেলওয়ের টিকেট ক্রয় করতে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মসনদের ফটোকপি লাগবে। এছাড়া আগামী ১ মে থেকে রেলওয়ে ফিরতি টিকেটের অগ্রিম বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী চারটির বেশি টিকেট ক্রয় করতে পারবে না। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট ফিরত নেয়া হবে।

গতকাল রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো, নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আগামী ২৩ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৭ এপ্রিলের যাত্রার টিকেট। একইভাবে ২৪ এপ্রিল বিক্রি হবে ২৮ এপ্রিলের, ২৫ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ এপ্রিল ১ মে’র যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করা হবে।’

এছাড়া ঈদের পর ফিরতি ট্রেনের জন্য আগামী ১ মে বিক্রয় করা হবে ৫ মের যাত্রারা টিকেট, ২ মে বিক্রি হবে ৬ মে টিকেট, ৩ মে বিক্রি হবে ৭ মে’র টিকেট, ৪ মে বিক্রি হবে ৮ মে’র টিকেট বিক্রয় করা হবে বলে জানান তিনি।

টিকেট কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই দেখাতে হবে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একজন চারটি টিকেট কিনতে পারবে, সেক্ষেত্রে অন্য তিনজনের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন আইডি কার্ড দেখাতে হবে।’

একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা টিকেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমরা ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ স্লোগান নিয়ে টিকেট বিক্রি শুরু করেছি। এই স্লোগান বাস্তবায়নে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সম্মানিত যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকেট ক্রয় করতে হবে। একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে টিকেট কেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার টিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে। জরিমানা গুনতে হবে।’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঢাকার পাঁচটি স্টেশন থেকে টিকেট বিক্রয় করা হবে। ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল? ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী গামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে । তেজগাঁও স্টেশনে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের এবং ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রয় করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। প্রতিবন্ধী ও নারীদের জন্য বিশেষ কোচ ব্যবস্থা থাকবে। ছয় জোড়া ট্রেনের মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল-১, চাঁদপুর স্পেশাল-২, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, খুলনা স্পেশাল, সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও সোলাকিয়া স্পেশাল-২ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল ১ মে পর্যন্ত এবং ঈদের পর ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলবে। খুলনা-ঢাকা-খুলনা ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং সোলাকিয়া স্পেশাল ১ ও ২ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার এটা ঈদের দিন চলবে।’

উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বাসের টিকেট পাওয়া যাবে

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার থেকে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী ও কল্যাণপুর বাস কাউন্টার থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বাসের টিকেট অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করা হবে। তবে মহাখালী ও সায়েদবাদ বাস টার্মিনালে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করা হয় না।

এ বিষয়ে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ সংবাদকে বলেন, ‘আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকেট দেয়া শুরু করব। ওইদিন সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট বাসের কাউন্টারগুলো থেকে টিকেট সরবরাহ করতে পারবেন যাত্রীরা। বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেয়া হবে। ভাড়ার চাটের বাইরে বাড়তি ভাড়া নেয়া যাবে না। ১৫ এপ্রিল দেয়া হবে ২৬ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট।’

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি : কাল থেকে বাসের, ২৩ এপ্রিল ট্রেনের

রেলের টিকেট কিনতে এনআইডি বা জন্মসনদ ফটোকপি লাগবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাল থেকে আন্তঃজেলা বাস ও ২৩ এপ্রিল থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। তবে এবার রেলওয়ের টিকেট ক্রয় করতে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মসনদের ফটোকপি লাগবে। এছাড়া আগামী ১ মে থেকে রেলওয়ে ফিরতি টিকেটের অগ্রিম বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী চারটির বেশি টিকেট ক্রয় করতে পারবে না। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট ফিরত নেয়া হবে।

গতকাল রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো, নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আগামী ২৩ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৭ এপ্রিলের যাত্রার টিকেট। একইভাবে ২৪ এপ্রিল বিক্রি হবে ২৮ এপ্রিলের, ২৫ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের এবং ২৭ এপ্রিল ১ মে’র যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করা হবে।’

এছাড়া ঈদের পর ফিরতি ট্রেনের জন্য আগামী ১ মে বিক্রয় করা হবে ৫ মের যাত্রারা টিকেট, ২ মে বিক্রি হবে ৬ মে টিকেট, ৩ মে বিক্রি হবে ৭ মে’র টিকেট, ৪ মে বিক্রি হবে ৮ মে’র টিকেট বিক্রয় করা হবে বলে জানান তিনি।

টিকেট কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই দেখাতে হবে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একজন চারটি টিকেট কিনতে পারবে, সেক্ষেত্রে অন্য তিনজনের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন আইডি কার্ড দেখাতে হবে।’

একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা টিকেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমরা ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ স্লোগান নিয়ে টিকেট বিক্রি শুরু করেছি। এই স্লোগান বাস্তবায়নে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সম্মানিত যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকেট ক্রয় করতে হবে। একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে টিকেট কেটে অন্য কেউ ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার টিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে। জরিমানা গুনতে হবে।’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঢাকার পাঁচটি স্টেশন থেকে টিকেট বিক্রয় করা হবে। ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল? ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী গামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হবে । তেজগাঁও স্টেশনে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের এবং ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রয় করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। প্রতিবন্ধী ও নারীদের জন্য বিশেষ কোচ ব্যবস্থা থাকবে। ছয় জোড়া ট্রেনের মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল-১, চাঁদপুর স্পেশাল-২, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, খুলনা স্পেশাল, সোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও সোলাকিয়া স্পেশাল-২ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল ১ মে পর্যন্ত এবং ঈদের পর ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলবে। খুলনা-ঢাকা-খুলনা ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং সোলাকিয়া স্পেশাল ১ ও ২ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার এটা ঈদের দিন চলবে।’

উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বাসের টিকেট পাওয়া যাবে

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার থেকে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী ও কল্যাণপুর বাস কাউন্টার থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বাসের টিকেট অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করা হবে। তবে মহাখালী ও সায়েদবাদ বাস টার্মিনালে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রয় করা হয় না।

এ বিষয়ে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ সংবাদকে বলেন, ‘আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকেট দেয়া শুরু করব। ওইদিন সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট বাসের কাউন্টারগুলো থেকে টিকেট সরবরাহ করতে পারবেন যাত্রীরা। বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেয়া হবে। ভাড়ার চাটের বাইরে বাড়তি ভাড়া নেয়া যাবে না। ১৫ এপ্রিল দেয়া হবে ২৬ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট।’