হুমায়ুন আজাদ যাকে দায়ী করেছেন তার নাম মামলায় না থাকায় ক্ষোভ

তবু রায়ে সন্তুষ্ট স্বজনরা

হুমায়ুন আজাদকে হত্যার ঘটনায় চার জঙ্গির ফাঁসির আদেশে আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তার বড় মেয়ে মৌলি আজাদ। তবে, যাকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছিলেন হুমায়ুন আজাদ স্বয়ং, তার নাম মামলায় না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী হুমায়ুন আজাদের ছোট ভাই মঞ্জুর কবির। তবে তারা অতিদ্রুত মামলার রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন আজাদের বড় মেয়ে মৌলি আজাদ বলেন, ‘আমার আব্বার হত্যা মামলার বিচার হয়েছে এতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। অনেকেই বলতেন, আব্বার মামলার খবর কী? বিচার পাব কি-না? আমি সবসময়ই মনে করতাম, বর্তমান (আওয়ামী লীগ) সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তাই আব্বার হত্যার একটি বিচার আমরা পাব। এখন দীর্ঘদিন পরে হলেও মামলার রায় পেয়েছি, এটা অবশ্যই ভালো ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। এখন রায় কার্যকর হবে এটাই আমরা আশাকরি।’

হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা কোহিনূর বলেন, ‘আমার সন্তানরা ছোটবেলায় তাদের বাবাকে হারিয়েছে। বাবার আদর বঞ্চিত হয়েছে। এতদিন পরে হলেও আমরা একটা বিচার পেয়েছি। এখন দ্রুত তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা হোক। এছাড়া বাকি যে দুই সদস্য পলাতক রয়েছে তাদেরও দ্রুত আটক করার দাবি জানাই। পুলিশের গাফিলতিতে এই দু’জন পালিয়েছে। তাই বাকিদের আটক এবং যারা আটক আছে তাদের ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানাই। এই রায় কার্যকর হলে মানুষ বুঝতে পারবে অন্যায়ভাবে একজনকে হত্যা করার কোন অধিকার কারও নাই।’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন আজাদের ছোটো ভাই মঞ্জুর কবির বলেন, হুমায়ুন আজাদ হত্যার ঘটনা যার কারণে ঘটেছে, সেই মূলহোতা জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে আসামি করা হয়নি। হামলার পর মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি (হুমায়ুন আজাদ)। তখন তিনি নিজেই সাঈদীকে হামলার জন্য দায়ী করেছিলেন। ভিকটিম তো বলেই গেছে সাঈদী এ ঘটনায় জড়িত। কিন্তু তাকে আসামি করা হয়নি।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের মামলার রায় হয়েছে ২০২২ সালে। ১৮ বছর পর এসে। শুনেছি এই মামলায় দু’জন জেলে আছে, বাকি দু’জন পলাতক। আদৌও তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি-না, তা জানি না। তদন্ত সংস্থা জানে।

রায় ঘোষণার সময় দ-িত আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা দুই আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সূরা সদস্য মিজানুর রহমান মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন এবং আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহীদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি নূর মোহাম্মদ শামীম ওরফে জে এম মবিন ওরফে সাবু এবং সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ পলাতক।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

হুমায়ুন আজাদ যাকে দায়ী করেছেন তার নাম মামলায় না থাকায় ক্ষোভ

তবু রায়ে সন্তুষ্ট স্বজনরা

আদালত বার্তা পরিবেশক

হুমায়ুন আজাদকে হত্যার ঘটনায় চার জঙ্গির ফাঁসির আদেশে আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তার বড় মেয়ে মৌলি আজাদ। তবে, যাকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছিলেন হুমায়ুন আজাদ স্বয়ং, তার নাম মামলায় না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী হুমায়ুন আজাদের ছোট ভাই মঞ্জুর কবির। তবে তারা অতিদ্রুত মামলার রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন আজাদের বড় মেয়ে মৌলি আজাদ বলেন, ‘আমার আব্বার হত্যা মামলার বিচার হয়েছে এতে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। অনেকেই বলতেন, আব্বার মামলার খবর কী? বিচার পাব কি-না? আমি সবসময়ই মনে করতাম, বর্তমান (আওয়ামী লীগ) সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তাই আব্বার হত্যার একটি বিচার আমরা পাব। এখন দীর্ঘদিন পরে হলেও মামলার রায় পেয়েছি, এটা অবশ্যই ভালো ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। এখন রায় কার্যকর হবে এটাই আমরা আশাকরি।’

হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা কোহিনূর বলেন, ‘আমার সন্তানরা ছোটবেলায় তাদের বাবাকে হারিয়েছে। বাবার আদর বঞ্চিত হয়েছে। এতদিন পরে হলেও আমরা একটা বিচার পেয়েছি। এখন দ্রুত তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা হোক। এছাড়া বাকি যে দুই সদস্য পলাতক রয়েছে তাদেরও দ্রুত আটক করার দাবি জানাই। পুলিশের গাফিলতিতে এই দু’জন পালিয়েছে। তাই বাকিদের আটক এবং যারা আটক আছে তাদের ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানাই। এই রায় কার্যকর হলে মানুষ বুঝতে পারবে অন্যায়ভাবে একজনকে হত্যা করার কোন অধিকার কারও নাই।’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ুন আজাদের ছোটো ভাই মঞ্জুর কবির বলেন, হুমায়ুন আজাদ হত্যার ঘটনা যার কারণে ঘটেছে, সেই মূলহোতা জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে আসামি করা হয়নি। হামলার পর মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি (হুমায়ুন আজাদ)। তখন তিনি নিজেই সাঈদীকে হামলার জন্য দায়ী করেছিলেন। ভিকটিম তো বলেই গেছে সাঈদী এ ঘটনায় জড়িত। কিন্তু তাকে আসামি করা হয়নি।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের মামলার রায় হয়েছে ২০২২ সালে। ১৮ বছর পর এসে। শুনেছি এই মামলায় দু’জন জেলে আছে, বাকি দু’জন পলাতক। আদৌও তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি-না, তা জানি না। তদন্ত সংস্থা জানে।

রায় ঘোষণার সময় দ-িত আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা দুই আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সূরা সদস্য মিজানুর রহমান মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন এবং আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহীদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি নূর মোহাম্মদ শামীম ওরফে জে এম মবিন ওরফে সাবু এবং সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ পলাতক।