পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে প্লাজমা

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সূর্য থেকে ছিটকে আসা ‘প্লাজমার গোলক’। বলা হচ্ছে, আজ এটি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। এর আঘাতে মেরুজ্যোতি আরও বড় হয়ে দেখা দেয়া ছাড়া তেমন ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূর্যে গত ১১ এপ্রিল একটি প্রচ- বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে সৃষ্ট করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) প্লাজমা তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহের দিকে।

স্পেসওয়েদার ডটকম বলছে, এআর২৯৮৭ নামের একটি মৃত সানস্পটে বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে বিকিরণ আকারে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে সৃষ্ট করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) পৃথিবীতে প্রভাব ফেলতে পারে। সানস্পট হলো সূর্যের পৃষ্ঠের অন্ধকার অঞ্চল। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার বলছে, সূর্যের ভেতর থেকে তীব্র চৌম্বকীয় প্রবাহের কারণে এগুলোর সৃষ্টি। এই দাগগুলো অস্থায়ী; স্থায়িত্ব কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চের (এনসিএআর) ফিলিপ জজ বলেন, ‘মৃত সানস্পটের ধারণাটি যতটা না বিজ্ঞান, তার চেয়ে বেশি কাব্যিক। কিন্তু সূর্যের পরিচলন এই দাগগুলোকে আলাদা করে ফেলে। এতে শান্ত সৌরপৃষ্ঠ চৌম্বকীয়ভাবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।’ লাইভ সায়েন্সকে জজ বলেন, সূর্যের দাগগুলো পুনরায় চালু হতে পারে। একই অঞ্চলে পরবর্তী সময়ে (দিন, সপ্তাহ) আরও চুম্বকত্ব দেখা দিতে পারে।

এআর২৯৮৭-এর ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, ১১ এপ্রিল সূর্যের দাগটি সি-শ্রেণীর সোলার ফ্লেয়ার নির্গত করে। সূর্যের দাগের ওপর প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রগুলো চাপের মধ্যে থাকলে সাধারণত এই ধরনের অগ্নিশিখা তৈরি হয়; তারা বাইরের দিকে ছুটে যায়।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে প্লাজমা

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সূর্য থেকে ছিটকে আসা ‘প্লাজমার গোলক’। বলা হচ্ছে, আজ এটি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। এর আঘাতে মেরুজ্যোতি আরও বড় হয়ে দেখা দেয়া ছাড়া তেমন ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূর্যে গত ১১ এপ্রিল একটি প্রচ- বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে সৃষ্ট করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) প্লাজমা তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহের দিকে।

স্পেসওয়েদার ডটকম বলছে, এআর২৯৮৭ নামের একটি মৃত সানস্পটে বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে বিকিরণ আকারে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে সৃষ্ট করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) পৃথিবীতে প্রভাব ফেলতে পারে। সানস্পট হলো সূর্যের পৃষ্ঠের অন্ধকার অঞ্চল। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার বলছে, সূর্যের ভেতর থেকে তীব্র চৌম্বকীয় প্রবাহের কারণে এগুলোর সৃষ্টি। এই দাগগুলো অস্থায়ী; স্থায়িত্ব কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চের (এনসিএআর) ফিলিপ জজ বলেন, ‘মৃত সানস্পটের ধারণাটি যতটা না বিজ্ঞান, তার চেয়ে বেশি কাব্যিক। কিন্তু সূর্যের পরিচলন এই দাগগুলোকে আলাদা করে ফেলে। এতে শান্ত সৌরপৃষ্ঠ চৌম্বকীয়ভাবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।’ লাইভ সায়েন্সকে জজ বলেন, সূর্যের দাগগুলো পুনরায় চালু হতে পারে। একই অঞ্চলে পরবর্তী সময়ে (দিন, সপ্তাহ) আরও চুম্বকত্ব দেখা দিতে পারে।

এআর২৯৮৭-এর ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, ১১ এপ্রিল সূর্যের দাগটি সি-শ্রেণীর সোলার ফ্লেয়ার নির্গত করে। সূর্যের দাগের ওপর প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রগুলো চাপের মধ্যে থাকলে সাধারণত এই ধরনের অগ্নিশিখা তৈরি হয়; তারা বাইরের দিকে ছুটে যায়।