ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘটনায় রাশিয়ার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের কী মনে আছে রাশিয়া কিভাবে দম্ভ করে বলেছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা কিয়েভ দখল করবে? সেই ৪৮ ঘণ্টা ৪৮ দিনে পৌঁছেছে।’
আফগানিস্তানে ১০ বছরের যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের যে ক্ষতি হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা তার চেয়েও বেশি বলে দাবি করেন জেলেনস্কি। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। প্রথম দিকে রাজধানী কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা থাকলেও নিজ দেশের সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ওই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটে মস্কো। এক পর্যায়ে অভিযানের লক্ষ্য কিয়েভ থেকে পূর্ব ইউক্রেনে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় রুশ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা এবং দেশটির প্রতিরোধের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করেছিল রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে এই বাস্তবতা টের পেয়েছে তারা। গত ২৫ মার্চ ইউক্রেনে নিজেদের এক হাজার ৩৫১ সেনাসদস্য নিহতের কথা জানায় রাশিয়া। তবে সম্প্রতি কিয়েভ দাবি করেছে, নিহত রুশ সেনার প্রকৃত সংখ্যা ১৯ হাজার।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধে বুচা শহরে বিধ্বস্ত রুশ ট্যাংক -আল-জাজিরা
আরও খবরবৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধে বুচা শহরে বিধ্বস্ত রুশ ট্যাংক -আল-জাজিরা
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘটনায় রাশিয়ার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের কী মনে আছে রাশিয়া কিভাবে দম্ভ করে বলেছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা কিয়েভ দখল করবে? সেই ৪৮ ঘণ্টা ৪৮ দিনে পৌঁছেছে।’
আফগানিস্তানে ১০ বছরের যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের যে ক্ষতি হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা তার চেয়েও বেশি বলে দাবি করেন জেলেনস্কি। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। প্রথম দিকে রাজধানী কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা থাকলেও নিজ দেশের সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ওই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটে মস্কো। এক পর্যায়ে অভিযানের লক্ষ্য কিয়েভ থেকে পূর্ব ইউক্রেনে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় রুশ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা এবং দেশটির প্রতিরোধের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করেছিল রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে এই বাস্তবতা টের পেয়েছে তারা। গত ২৫ মার্চ ইউক্রেনে নিজেদের এক হাজার ৩৫১ সেনাসদস্য নিহতের কথা জানায় রাশিয়া। তবে সম্প্রতি কিয়েভ দাবি করেছে, নিহত রুশ সেনার প্রকৃত সংখ্যা ১৯ হাজার।