হঠাৎ শ্রমিক ধর্মঘট : ৮ ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ, দুর্ভোগ যাত্রীদের

মন্ত্রীর আশ্বাসে প্রত্যাহার

দাবি আদায়ে হঠাৎ রেল শ্রমিকদের ধর্মঘট। এতে ৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সারাদেশে রেল যোগাযোগ। পরে রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘোষণা ছাড়া ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সকালের ট্রেন বিকেলে ছাড়তে হয়েছে। ভেঙে পড়া শিডিউল ঠিক করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীরা বেতন-ভাতা (মাইলেজ) বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার রাত ৩টা ২০ মিনিট থেকে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে। এর ফলে সারাদেশ থেকে কোন ট্রেন ঢাকায় প্রবেশ করেনি এবং ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকেও কোন ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন বিভিন্ন স্টেশনের যাত্রীরা।

পরে গতকাল দুপুরের দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় রানিং স্টাফদের ভাতা বাতিলের ঘোষণা সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রেলের রানিং স্টাফদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। তাদের দাবি আদায়ে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল বেসমারিক কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের ক্ষেত্রে মূল বেতনের সঙ্গে কোন ভাতা যোগ করার সুযোগ নেই বিধায় রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং ভাতা, পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার প্রস্তাবে নির্দেশক্রমে পুনরায় অর্থ বিভাগ অসম্মতি জানায়।’

‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন অবস্থানের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যান। তাতে ট্রেন চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এই অফিসিয়াল আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল রেলের এ সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের শিডিউল রয়েছে। আশা করি তিনি রেলের সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতা করবেন। তাই এখন থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চালকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

রেলমন্ত্রী এই আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন রেলওয়ের শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এ বিষয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘রেলমন্ত্রী যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন, তাই আমরা সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে সকাল থেকেই সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। যেহেতু আন্দোলন তুলে নিয়েছে তাই সকাল থেকে যেসব ট্রেন যায়নি সেগুলো আগে ছাড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই শিডিউলে সমস্যা হচ্ছে।’

দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে রেল যাত্রীরা

ধর্মঘটের কারণে ট্রেন বন্ধ থাকায় গতকাল চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ট্রেন যাত্রীদের। অনেক স্টেশনের টিকেটের টাকা ফেরত দেয়া হয়। তবে দুপুরের পর ট্রেন চালু হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সকালের ট্রেন গেছে সন্ধ্যায়। তাই রোজা ও গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষার কারণে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

নূর মোহাম্মদ নামের সিলেটের এক যাত্রী বলেন, ‘দু’দিন আগে পারাবতের টিকেট কিনেছি। কিন্তু ট্রেন বন্ধের খবর শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। পরে দুপুরে ট্রেন চালু খবর শুনে স্বস্তি পাই। কিন্তু সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করছি ট্রেনের খবর নাই।’

আশরাফুর নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘সিলেটের ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিেেট। ধর্মঘটের কারণে তা দুপুর ২টার পরে ছাড়ার কথা। কোন ঘোষণা ছাড়া এভাবে রেল বন্ধ করে দেয়াটা এই প্রথম দেখলাম। পৃথিবীর অন্য কোথাও এরকম নজির নাই। সড়ক ও নৌশ্রমিকদের মতো রেল শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে যাত্রীদের জিম্মি করছে। এটা বাংলাদেশ বলে সম্ভব্য।’

সিরাজুল ইসলাম নামের জয়পুরহাটের এক যাত্রী বলেন, ‘বুধবার সকাল ১০টায় একতা এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা। তাই পরিবার নিয়ে গ্রামের যাওয়ার জন্য সকাল ৯টায় কমলাপুর স্টেশনে এসেছি। আসার পর শুনলাম ট্রেন বন্ধ। তাই টিকেট ফেরত দেই। এখন তো ট্রেন আবার চলছে। কিন্তু সকাল ১০টার ট্রেন কখন ছাড়বে, অন্য কোন ট্রেন যাবে, টিকেট পাব কি-না এ নিয়ে একটা সমস্যায় পড়েছি। আগে তো টিকেটের টাকা রিফান্ড করেছিলাম।’

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘রানিং ট্রেন কর্মচারীদের দাবি পূরণের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্মচারীরা সবাই যার যার কর্মস্থলে ফিরে গেছেন। সারাদেশে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। যে ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন আমরা আগে পাব, সেই ট্রেনটিই আগে যাবে। আশা করছি বৃহস্পতিবারের মধ্যে সবগুলো ট্রেনের ইঞ্জিন চালু হয়ে যাবে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রী ফেরত যাওয়ার কারণে যাত্রীসংখ্যা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন যেহেতু ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, যাত্রীসংখ্যা বেড়ে যাবে।‘

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই যারা দেখেছেন গন্তব্যে যেতে দেরি হচ্ছে, তারা টিকেটের টাকা ফেরত নিয়েছেন। এখন ট্রেনের টিকেট আবার এভেইলেবল হয়েছে। চাইলেই কাউন্টার থেকে যাত্রীরা এসে টিকেট কাটতে পারবেন।’

image

ট্রেন বন্ধে গতকাল কমলাপুর স্টেশনে দুর্ভোগে যাত্রী, রোজা রেখে অপেক্ষায় ঝিমিয়ে পড়ে -সংবাদ

আরও খবর
মুক্তাঞ্চল সফরের জন্য বিদেশিদের প্রতি আহ্বান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
ডায়রিয়া মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ লোক টিকা পাবেন
সাড়ে ৩শ’ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪৮টি নিবন্ধিত
২৩ দিন পর কর্মস্থলে ফিরলেন বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল
লালমাই পাহাড়ে বৈসু উৎসবে মেতেছিল ত্রিপুরা উপজাতি
আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক উৎসবের দ্বিতীয় দিন উদযাপিত
আটকে গেল সম্রাটের মুক্তি
খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

হঠাৎ শ্রমিক ধর্মঘট : ৮ ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ, দুর্ভোগ যাত্রীদের

মন্ত্রীর আশ্বাসে প্রত্যাহার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ট্রেন বন্ধে গতকাল কমলাপুর স্টেশনে দুর্ভোগে যাত্রী, রোজা রেখে অপেক্ষায় ঝিমিয়ে পড়ে -সংবাদ

দাবি আদায়ে হঠাৎ রেল শ্রমিকদের ধর্মঘট। এতে ৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সারাদেশে রেল যোগাযোগ। পরে রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘোষণা ছাড়া ধর্মঘটের কারণে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সকালের ট্রেন বিকেলে ছাড়তে হয়েছে। ভেঙে পড়া শিডিউল ঠিক করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীরা বেতন-ভাতা (মাইলেজ) বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার রাত ৩টা ২০ মিনিট থেকে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে। এর ফলে সারাদেশ থেকে কোন ট্রেন ঢাকায় প্রবেশ করেনি এবং ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকেও কোন ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন বিভিন্ন স্টেশনের যাত্রীরা।

পরে গতকাল দুপুরের দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় রানিং স্টাফদের ভাতা বাতিলের ঘোষণা সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রেলের রানিং স্টাফদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। তাদের দাবি আদায়ে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল বেসমারিক কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের ক্ষেত্রে মূল বেতনের সঙ্গে কোন ভাতা যোগ করার সুযোগ নেই বিধায় রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মূল বেতনের সঙ্গে রানিং ভাতা, পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার প্রস্তাবে নির্দেশক্রমে পুনরায় অর্থ বিভাগ অসম্মতি জানায়।’

‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন অবস্থানের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যান। তাতে ট্রেন চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এই অফিসিয়াল আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল রেলের এ সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের শিডিউল রয়েছে। আশা করি তিনি রেলের সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতা করবেন। তাই এখন থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চালকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

রেলমন্ত্রী এই আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন রেলওয়ের শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এ বিষয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘রেলমন্ত্রী যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন, তাই আমরা সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে সকাল থেকেই সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। যেহেতু আন্দোলন তুলে নিয়েছে তাই সকাল থেকে যেসব ট্রেন যায়নি সেগুলো আগে ছাড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই শিডিউলে সমস্যা হচ্ছে।’

দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে রেল যাত্রীরা

ধর্মঘটের কারণে ট্রেন বন্ধ থাকায় গতকাল চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ট্রেন যাত্রীদের। অনেক স্টেশনের টিকেটের টাকা ফেরত দেয়া হয়। তবে দুপুরের পর ট্রেন চালু হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সকালের ট্রেন গেছে সন্ধ্যায়। তাই রোজা ও গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষার কারণে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

নূর মোহাম্মদ নামের সিলেটের এক যাত্রী বলেন, ‘দু’দিন আগে পারাবতের টিকেট কিনেছি। কিন্তু ট্রেন বন্ধের খবর শুনে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। পরে দুপুরে ট্রেন চালু খবর শুনে স্বস্তি পাই। কিন্তু সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করছি ট্রেনের খবর নাই।’

আশরাফুর নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘সিলেটের ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিেেট। ধর্মঘটের কারণে তা দুপুর ২টার পরে ছাড়ার কথা। কোন ঘোষণা ছাড়া এভাবে রেল বন্ধ করে দেয়াটা এই প্রথম দেখলাম। পৃথিবীর অন্য কোথাও এরকম নজির নাই। সড়ক ও নৌশ্রমিকদের মতো রেল শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে যাত্রীদের জিম্মি করছে। এটা বাংলাদেশ বলে সম্ভব্য।’

সিরাজুল ইসলাম নামের জয়পুরহাটের এক যাত্রী বলেন, ‘বুধবার সকাল ১০টায় একতা এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা। তাই পরিবার নিয়ে গ্রামের যাওয়ার জন্য সকাল ৯টায় কমলাপুর স্টেশনে এসেছি। আসার পর শুনলাম ট্রেন বন্ধ। তাই টিকেট ফেরত দেই। এখন তো ট্রেন আবার চলছে। কিন্তু সকাল ১০টার ট্রেন কখন ছাড়বে, অন্য কোন ট্রেন যাবে, টিকেট পাব কি-না এ নিয়ে একটা সমস্যায় পড়েছি। আগে তো টিকেটের টাকা রিফান্ড করেছিলাম।’

এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘রানিং ট্রেন কর্মচারীদের দাবি পূরণের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্মচারীরা সবাই যার যার কর্মস্থলে ফিরে গেছেন। সারাদেশে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। যে ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন আমরা আগে পাব, সেই ট্রেনটিই আগে যাবে। আশা করছি বৃহস্পতিবারের মধ্যে সবগুলো ট্রেনের ইঞ্জিন চালু হয়ে যাবে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রী ফেরত যাওয়ার কারণে যাত্রীসংখ্যা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন যেহেতু ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, যাত্রীসংখ্যা বেড়ে যাবে।‘

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই যারা দেখেছেন গন্তব্যে যেতে দেরি হচ্ছে, তারা টিকেটের টাকা ফেরত নিয়েছেন। এখন ট্রেনের টিকেট আবার এভেইলেবল হয়েছে। চাইলেই কাউন্টার থেকে যাত্রীরা এসে টিকেট কাটতে পারবেন।’