লালমাই পাহাড়ে বৈসু উৎসবে মেতেছিল ত্রিপুরা উপজাতি

চৈত্রের শেষ দিনে আনন্দ র‌্যালি, ফুল ভাসিয়ে, গানে সুর, নূপুরের ছন্দে, নাচের তালে তালে মেতেছে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীর তরুণ-তরুণীরা। দিনটিকে উদযাপন করতে গতকাল সকাল থেকেই নিজেদের সাজিয়েছে হরেক রকম পোশাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা পল্লীর ঘরে ঘরে এখন জমজমাট বৈসু উৎসবের আসর। প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিনে বর্ষবরণের এ উৎসবে মেতে উঠেন তারা। উৎসবমুখর হয়ে ওঠে লালমাই পাহাড়। সম্প্রীতির মিলনমেলায় মিশে যায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরা।

জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ত্রিপুরা পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ঘরে রান্না হয় পাঁচন (হরেক রকম সবজির সংমিশ্রণ), লুচি-মিষ্টান্নসহ নানান রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার। এর আগে সকালে ত্রিপুরা পল্লী থেকে তরুণ-তরুণীরা দল বেধে র?্যালি নিয়ে আসে কুমিল্লার কোটবাড়ির বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) পুকুরে। সেখানে তারা ফুল ভাসিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সম্পন্ন করেন গঙ্গা পূজা। এ সময় র?্যালিতে অংশগ্রহণ করেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।

সালমানপুর ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি সজীব চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর চৈত্রের শেষ দিনে এই উৎসব করি। এবারেও করেছি। আমরা এখন গঙ্গা পূজার পরে আমাদের পল্লীতে বৃদ্ধস্নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, তারপর আয়োজন করি অতিথি আপ্যায়নের। এরপর সারাদিন চলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে আমাদের ঘরে ঘরে সবাই নারায়ণ পূজা করে।

সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা পল্লীতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বাংলা বর্ষবরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। পাহাড়িদের এসব অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম। আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছি তাদের যেমন সাহায্য দরকার উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের পাশে থাকবো।

image

কুমিল্লা : লালমাই পাহাড়ি এলাকায় ত্রিপুরা পল্লীতে আনন্দে মেতেছে তরুণ-তরুণীরা -সংবাদ

আরও খবর
হঠাৎ শ্রমিক ধর্মঘট : ৮ ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ, দুর্ভোগ যাত্রীদের
মুক্তাঞ্চল সফরের জন্য বিদেশিদের প্রতি আহ্বান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
ডায়রিয়া মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ লোক টিকা পাবেন
সাড়ে ৩শ’ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪৮টি নিবন্ধিত
২৩ দিন পর কর্মস্থলে ফিরলেন বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল
আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক উৎসবের দ্বিতীয় দিন উদযাপিত
আটকে গেল সম্রাটের মুক্তি
খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

লালমাই পাহাড়ে বৈসু উৎসবে মেতেছিল ত্রিপুরা উপজাতি

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

image

কুমিল্লা : লালমাই পাহাড়ি এলাকায় ত্রিপুরা পল্লীতে আনন্দে মেতেছে তরুণ-তরুণীরা -সংবাদ

চৈত্রের শেষ দিনে আনন্দ র‌্যালি, ফুল ভাসিয়ে, গানে সুর, নূপুরের ছন্দে, নাচের তালে তালে মেতেছে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীর তরুণ-তরুণীরা। দিনটিকে উদযাপন করতে গতকাল সকাল থেকেই নিজেদের সাজিয়েছে হরেক রকম পোশাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা পল্লীর ঘরে ঘরে এখন জমজমাট বৈসু উৎসবের আসর। প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিনে বর্ষবরণের এ উৎসবে মেতে উঠেন তারা। উৎসবমুখর হয়ে ওঠে লালমাই পাহাড়। সম্প্রীতির মিলনমেলায় মিশে যায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরা।

জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ত্রিপুরা পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ঘরে রান্না হয় পাঁচন (হরেক রকম সবজির সংমিশ্রণ), লুচি-মিষ্টান্নসহ নানান রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার। এর আগে সকালে ত্রিপুরা পল্লী থেকে তরুণ-তরুণীরা দল বেধে র?্যালি নিয়ে আসে কুমিল্লার কোটবাড়ির বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) পুকুরে। সেখানে তারা ফুল ভাসিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সম্পন্ন করেন গঙ্গা পূজা। এ সময় র?্যালিতে অংশগ্রহণ করেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।

সালমানপুর ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি সজীব চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর চৈত্রের শেষ দিনে এই উৎসব করি। এবারেও করেছি। আমরা এখন গঙ্গা পূজার পরে আমাদের পল্লীতে বৃদ্ধস্নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, তারপর আয়োজন করি অতিথি আপ্যায়নের। এরপর সারাদিন চলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে আমাদের ঘরে ঘরে সবাই নারায়ণ পূজা করে।

সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা পল্লীতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বাংলা বর্ষবরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। পাহাড়িদের এসব অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম। আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছি তাদের যেমন সাহায্য দরকার উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের পাশে থাকবো।