আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক উৎসবের দ্বিতীয় দিন উদযাপিত

পাহাড়ে প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রাণের দ্বিতীয় দিন গতকাল মূল বিজুতে বাড়িতে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া আর আনন্দ-ফূর্তির মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১১ ভাষাভাষীর ১৪টি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের গত মঙ্গলবার নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়। গতকাল ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এতে পাহাড়িদের প্রতিটি ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয়েছিল রকমারি স্বাদের খাবার-দাবার। আগত শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বয়স্ক সবার জন্য খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের অন্যতম ছিল পাজন তরকারি, পিঠা পায়েস ও এক ছোনি-দোছোনির মদসহ রকমারি খাবার।

এর মধ্যে আকর্ষণ ছিল ২০ থেকে ৪০ প্রকারের সবজি মিশিয়ে রান্না করা পাজন তরকারি। সকাল থেকে রাত পর্ষন্ত পাহাড়ি শিশু থেকে যুবক-যুবতীরা নতুন জামা কাপড় করে দল বেঁধে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ উৎসবটি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের শুধু আনন্দের নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে।

এদিকে উৎসবের আজ শেষ দিন ‘গজ্যাপজ্যা বিজু।’ এ দিন সারাদিন ঘরে বসে বিশ্রাম নেয়া ছাড়াও বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে যতœসহকারে ভাত খাওয়ানোসহ আশীর্বাদ নেয়া। আবার মারমা সম্প্রদায় এদিন ঐতিহ্যবাহী পানি খেলার আয়োজন করে থাকে। তারা পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সব গ্ল­ানি ও দুঃখ কষ্টকে দূর করে নতুন বছরকে বরণ করে থাকে। আগামী ১৬ এপ্রিল কাউখালী বেতবুনিয়া মারমা সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগের পানি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩

আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক উৎসবের দ্বিতীয় দিন উদযাপিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পার্বত্যাঞ্চল

পাহাড়ে প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রাণের দ্বিতীয় দিন গতকাল মূল বিজুতে বাড়িতে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া আর আনন্দ-ফূর্তির মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১১ ভাষাভাষীর ১৪টি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের গত মঙ্গলবার নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়। গতকাল ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এতে পাহাড়িদের প্রতিটি ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয়েছিল রকমারি স্বাদের খাবার-দাবার। আগত শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বয়স্ক সবার জন্য খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের অন্যতম ছিল পাজন তরকারি, পিঠা পায়েস ও এক ছোনি-দোছোনির মদসহ রকমারি খাবার।

এর মধ্যে আকর্ষণ ছিল ২০ থেকে ৪০ প্রকারের সবজি মিশিয়ে রান্না করা পাজন তরকারি। সকাল থেকে রাত পর্ষন্ত পাহাড়ি শিশু থেকে যুবক-যুবতীরা নতুন জামা কাপড় করে দল বেঁধে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠে।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ উৎসবটি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের শুধু আনন্দের নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে।

এদিকে উৎসবের আজ শেষ দিন ‘গজ্যাপজ্যা বিজু।’ এ দিন সারাদিন ঘরে বসে বিশ্রাম নেয়া ছাড়াও বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে যতœসহকারে ভাত খাওয়ানোসহ আশীর্বাদ নেয়া। আবার মারমা সম্প্রদায় এদিন ঐতিহ্যবাহী পানি খেলার আয়োজন করে থাকে। তারা পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সব গ্ল­ানি ও দুঃখ কষ্টকে দূর করে নতুন বছরকে বরণ করে থাকে। আগামী ১৬ এপ্রিল কাউখালী বেতবুনিয়া মারমা সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগের পানি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।