ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট তিন মামলায় জামিন পেলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় আটকে গেছেন। গতকাল ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ মামলায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। ফলে, এখনই মুক্তি মিলছে না সম্রাটের।
এদিন সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানিতে
‘অসুস্থতা, দীর্ঘ করাবাস এবং মামলার ত্রুটি বিবেচনায়’ জামিন দেয়ার আর্জি জানান। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এই জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এই মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য ১১ মে তারিখ ধার্য করে আদালত।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এবং অস্ত্র মামলায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালত থেকে জামিন পান। পরদিন মাদক মামলায় ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘আমার জানা মতে, সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। মানিলন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক- এই তিনটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে দুদকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এই মামলায় জামিন নাকচ হওয়ায় আপাতত তার মুক্তি হচ্ছে না।’
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব)। তখন র?্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।
বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২ , ০১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ রমাদ্বান ১৪৪৩
আদালত বার্তা পরিবেশক
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট তিন মামলায় জামিন পেলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় আটকে গেছেন। গতকাল ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ মামলায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। ফলে, এখনই মুক্তি মিলছে না সম্রাটের।
এদিন সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানিতে
‘অসুস্থতা, দীর্ঘ করাবাস এবং মামলার ত্রুটি বিবেচনায়’ জামিন দেয়ার আর্জি জানান। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এই জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এই মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য ১১ মে তারিখ ধার্য করে আদালত।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এবং অস্ত্র মামলায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালত থেকে জামিন পান। পরদিন মাদক মামলায় ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘আমার জানা মতে, সম্রাটের বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। মানিলন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক- এই তিনটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তবে দুদকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এই মামলায় জামিন নাকচ হওয়ায় আপাতত তার মুক্তি হচ্ছে না।’
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব)। তখন র?্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।